শুক্রবার ২৫ এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

১২ বৈশাখ ১৪৩২বঙ্গাব্দ
লাইফস্টাইল

টাইটানিক ডুবার দৃশ্যে ব্যবহার হয়েছিল ১৩ লাখ লিটার পানি

নিউজ ডেক্স ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৪:৩৯ পি.এম

টাইটানিক নামটি শুনলে যেন চোখের সামনে ভেস উঠে হাজারো মানুষের আর্তনাতের কথা, সকালে বাঁচার লড়াই...... সেই বিস্ময়কেই রূপালী পর্দায় ১৯৯৭ সালে বিশ্ববাসীর কাছে নতুনভাবে প্রদর্শন করেছিলেন প্রখ্যাত পরিচালক জাহাজপ্রেমী জেমস ক্যামেরন। 

ব্যবসা-বানিজ্য হোক কিংবা ভ্রমন একসময় ইংল্যান্ড জলপথেই করতো এসবকিছু বৃহতম জাহাজ রয়েল মেল স্টিমার টাইটানিক তাদের আবিষ্কার বিখ্যাত এই জাহাজের নাম জানে না এমন মানুষ পৃথিবীতে বিরল তবে যাত্রা সুখকর ছিল না জাহাজের সে সাথে এর সাথে জড়িয়ে আছে অজানা অনেক কাহীনি। কি সেগুলো ? আসুন জেনে নেই

১৯১২ সালের ১০ এপ্রিল সমুদ্রে যাত্রা করেছিলো টাইটানিক।  আটলান্টিক মহাসাগরের অতলে গহ্বরে তলিয়ে যাওয়ার প্রায় ৭৩বছর পর আবার এর সন্ধান মিলে কেউ কখনো ভাবেননি, বিলাসবহুল এই বাহনের এমন পরিণতি হবে।

টাইটেনিক সিনেমার মূল চরিত্র জ্যাক ডসনের জন্য ক্রিশ্চিয়ান বেলসহ মোট খানেক অভিনেতা এবং রোজ চরিত্রের জন্য ড্রিউ ব্যারিমোর, জেনিফার অ্যানিস্টোন, ক্যামেরন ডিয়াজ, ম্যাডোনা, অ্যাঞ্জেলিনা জোলির মতো অভিনেত্রীরা অডিশন দিলেও এই সিনামা শেষে গিয়ে পরে ম্যাথিউ ম্যাককোনাগেহেই এবং কেট উইন্সলেট এর ঝুড়িতে

টাইটানিক সিনেমায় সবার প্রথমে শুট করা হয়েছিল মুভির বিখ্যাত সেই পেইন্টিং এর দৃশ্যকে, যেখানে নগ্ন রোজের ছবি এঁকেছিল জ্যাক। শুরুতে এই দৃশ্য নেওয়ার কারণ হলো, বাকি সকল শুটিং সেট তখনও নির্মাণাধীন। মুভিতে চিত্রাঙ্কনের সময় জ্যাকের যে হাত দেখা গিয়েছিল, তা মূলত জেমস ক্যামেরনের। সিনেমায় জ্যাকের যতগুলো স্কেচ দেখানো হয়েছে, সবগুলো তিনি নিজ হাতে এঁকেছিলেন। পরিচালনার পাশাপাশি জেমসের স্কেচের হাতও ছিল পাক্কা। রোজের বিখ্যাত সেই স্কেচ ২০১২ সালে ১৬ হাজার ডলারে বিক্রি হয়।

সিনেমায় জ্যাক, রোজসহ প্রায় দশটি কাল্পনিক চরিত্রের উপস্থিতি ছিল। তবে অনেক চরিত্র নির্মাণ করা হয়েছিল ইতিহাসের পাতা থেকে। কারণ, জেমস ক্যামেরন এই ফিকশনকে ইতিহাসের এক বাস্তব অংশ বানাতে চেয়েছিলেন। ইতিহাসকে নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলতে তিনি সর্বোচ্চ চেষ্টাটাই করেছেন।

মুভির ভিতরের টাইটানিককে পর্দায় দেখানোর জন্য জেমস ক্যামেরন আসল টাইটানিকের আকারে প্রাক্টিক্যাল মডেল সেট বানিয়েছিলেন। তবে চলচ্চিত্রে অনেক কিছুর আকার হেরফের করা হয়েছিল। লাইফ বোট, স্মোক ফানেলকে ছোট করে বানানো হয়েছিল। সিঁড়ি চওড়া করা হয়েছিলো সিনেমার ইন্টেরিয়র সেট নির্মাণ করা হয়েছিল মেক্সিকোর বাজা স্টুডিওতে।

শেষের অংকে দুই টুকরো হওয়া জাহাজের এক অংশ পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার দৃশ্য ধারণা করা যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং ছিল। ক্লাইম্যাক্স সিনের জন্য ৪৫ ফুট লম্বা মডেল শিপ ব্যবহার করা হয়েছিল। জাহাজ ডুবার দৃশ্যে ব্যবহার করা হয়েছিল ১৩ লাখ লিটার পানি। পানিতে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করতে করতে অনেকের সর্দি-কাশি, ফ্লু ছাড়াও কিডনি ইনফেকশন পর্যন্ত হয়েছিল। পুরো জাহাজের ভেতরের অংশ ডোবাতে দরকার হয়েছিল মোট কোটি ৯০ লক্ষ লিটার পানি

টাইটানিকের সাথে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে ‘My heart will go on’ গানটির সুর। অথচ তুমুল জনপ্রিয় এই গানটির সিনেমাতে ঠাঁই পাওয়ারই কথা নয়। জেমস ক্যামেরন শুরু থেকেই টাইটানিকের মিউজিক কম্পোজার জেমস হর্নারকে বলেছিলেন, সিনেমায় কোনো গান থাকবে না। তাই, হর্নার ক্যামেরনের অগোচরে গোপনে সেলেন ডিয়নকে নিয়ে এই গান কম্পোজ করেছিলেন। সব কাজ শেষে যখন জেমসের সামনে এই গান পরিবেশন করা হয়েছিল, ক্যামেরন তখন বিমোহিত হয়েছিলেন। মজার ব্যাপার হলো, এই গানটি অস্কারও অর্জন করেছিল।

সিনেমার শেষের দিকে , রোজ এবং জ্যাককে একটি পাটাতনের উপর ভেসে থাকতে দেখা যায়। ওই পাটাতনের ধারণা পরিচালক নিয়েছিলেন আসল টাইটানিকের এক ওডেন প্যানেলিংয়ের মডেল থেকে, যেটার খোঁজ মিলেছিল টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ থেকে। বর্তমানে এটি কানাডার নোভা স্কোটিয়ার ম্যারিটাইম মিউজিয়াম অভ দ্য আটলান্টিক সংরক্ষিত আছে।

অস্কারে দুর্দান্ত চমক দেখায় টাইটানিক। একসাথে অস্কারের ১৪টি ক্যাটাগরিতে মনোনয়ন পায় মুভিটি। টক্কর দেয় ১৯৫০ সালের ‘All About Eve’ সিনেমাকে। সবাইকে অবাক করে ১৪টি মনোনয়নের মধ্যে ১১টি ক্যাটাগরিতে অস্কার বাগিয়ে নেয় বিশ্বের অন্যতম সেরা কাল্ট ক্লাসিক টাইটানিক।

আরও খবর

news image

টানা নয়, কেনাকাটা সারুন বুঝে-শুনে

news image

সোনামনিদের নিয়ে ঝক্কিহীন শপিং যেভাবে করবেন

news image

ঈদ শপিংয়ে সতর্ক থাকুন

news image

ইফতারে ঠান্ডা পানি পান ঝুঁকিপূর্ণ

news image

ইফতারে সিদ্ধ ডিমে চাঙ্গা হোন

news image

ইফতারে আনুন ভিন্নতা: ক্রিমি ফ্রুট ফিউশন

news image

ইফতারে হালিম রেখেছেন কি?

news image

ইফতারে খান বেলের শরবত

news image

রোজায় সুস্থ থাকতে দই-চিড়া খান

news image

রোজায় সুস্থ থাকতে মেনে চলবেন যে বিষয়গুলো

news image

গুণের শেষ নেই ক্যাপসিকামে

news image

বিটরুট হলো ‘সুপার ফুড’, তবে...

news image

টমেটো খান, তবে অপরিমিত নয়

news image

প্রতিদিন অন্তত একটি গাজর খান

news image

দারুণ উপকারী দারুচিনি

news image

সুস্থ থাকতে আদা খান

news image

আগাছা হিসেবে জন্মালেও পুষ্টিগুণে ঠাঁসা বথুয়া শাক

news image

মেথি শাকের জাদুকরী প্রভাব

news image

পাট শাকে যেসব উপকার

news image

পুষ্টিকর ও সুস্বাদু ডাঁটা শাক

news image

রোজায় সুস্থ থাকতে চিয়া সিডের সঠিক ব্যবহার

news image

গুণের অভাব নেই কলমি শাকে

news image

অবহেলা করবেন না নুনে শাক

news image

পুষ্টির খনি লাউ শাক

news image

লাউ যেন এক মহৌষধ!

news image

এই গরমে পাতে রাখুন পটোল

news image

খেতে ভুলবেন না গিমা শাক

news image

কাদা পানিতে জন্মালেও হেলেঞ্চা কিন্তু উপকারী

news image

কচুর ছড়া বা কচুমুখির নানা গুণ

news image

পুষ্টিগুণে ভরপুর কচুর লতি