ইফতারে ঠান্ডা পানি পান ঝুঁকিপূর্ণ

MA ২২ মার্চ ২০২৫ ১২:৪২ এ.এম

প্রতীকী ছবি

এনএস ডেস্ক
রোজা প্রায় শেষ হয়ে এলো। আজ থেকে শুরু হলো নাজাতের দশক। এই রোজায় সারাদিন খাদ্য ও পানীয় গ্রহণ না করার কারণে সবাই ক্ষুধার্ত ও তৃষ্ণার্ত থাকেন। আর তাই অনেকেই ইফতারের শুরুতেই ঠান্ডা পানি বা শরবত খেতে পছন্দ করেন।

কেউ ফ্রিজে দীর্ঘসময় পানি রেখে তা ঠান্ডা করেন, আবার কেউ বরফ বা বরফকুচি দিয়ে ঠান্ডা পানি পান করতে ভালোবাসেন। এতে সাময়িক স্বস্তি পাওয়া গেলেও শরীরে তৈরি হতে পারে নানা সমস্যা। তাই ইফতারে স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি পান করা স্বাস্থ্যসম্মত।

সারাদিন রোজা রাখার কারণে আপনার পেট খালি থাকে। খালি পেটে ঠান্ডা পানি পান করলে শরীরের তাপমাত্রায় হঠাৎ পরিবর্তন আসে, যা বিপাক প্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলতে পারে। কমিয়ে দিতে পারে শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কার্যক্ষমতা। হঠাৎ ঠান্ডা পানি পান করার ফলে পেটে ব্যাথা, গ্যাস ও অস্তস্তিতে ভূগতে পারেন আপনি। ঠাণ্ডা পানি রক্তনালী সংকুচিত করে দেয়, দাঁতে সমস্যা তৈরি করে। এমনকি শ্বাসনালীতেও প্রভাব ফেলে।

যারা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভূগছেন, তারা ইফতারে ঠান্ডা পানি এড়িয়ে চলুন। ঠান্ডা পানি পাকস্থলীতে দ্রুত গ্যাস উৎপন্ন করতে পারে। ফলে পেটের ভেতরে চাপ সৃষ্টি হওয়ায় গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বেড়ে যায়। সারদিন রোজা রাখার কারণে শরীরে পানিশূন্যতা তৈরি হয়। এর পর ইফতারে ঠান্ডা পানি পান করলে পানিশূন্যতা নিয়ন্ত্রণের যে প্রক্রিয়া শরীরে রয়েছে, তা ব্যাহত হতে পারে। যা শরীরের কার্যক্ষমতায় প্রভাব ফেলে।

যাদের শ্বাসকষ্ট ও অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য স্বাভাবিক সময়েও ঠান্ডা পানি পান করা ঠিক নয়, আর সারাদিন পর ঠান্ডা পানি পান করলে তা আরও ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। তাই ইফতারে চেষ্টা করুন স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি পান করতে। এক্ষেত্রে লেবু পানি হতে পারে আপনার জন্য আদর্শ পানীয়।

এ ছাড়া ইফতারে একসঙ্গে বেশি পানি পান করবেন না। ধীরে ধীরে পানি পানের মাত্রা বাড়ান, যা অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর।

রোজা ইফতার পানি