আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ নয়, তবে অপরাধীদের বিচার হবে: প্রধান উপদেষ্টা

মে.হো ২০ মার্চ ২০২৫ ১১:১৮ পি.এম

ছবি : সংগৃহীত

এনএস ডেস্ক

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্পষ্ট করেছেন যে, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার কোনো পরিকল্পনা নেই। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) আন্তর্জাতিক সংকট সংস্থার (ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ) প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কমফোর্ট ইরোর সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা জানান।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দল হিসেবে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হবে না, তবে যারা মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে যুক্ত, তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে। নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি জানান, দুটি সময়সীমা নির্ধারিত হয়েছে—যদি রাজনৈতিক দলগুলো সীমিত সংস্কার চায়, তাহলে নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। আর যদি বৃহত্তর সংস্কারের দাবি উঠে, তবে আগামী বছরের জুনের মধ্যে ভোট হবে।

জাতিসংঘের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘জুলাইয়ের গণবিক্ষোভ-সংক্রান্ত জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনের প্রতিবেদনের আলোকে আওয়ামী লীগ নেতাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে পাঠানোর বিষয়টি আলোচনায় রয়েছে এবং তা বাতিল করা হয়নি।’

এছাড়া, ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছে বলে উল্লেখ করে তিনি জানান, ‘জুলাই সনদ চূড়ান্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে, যা সরকারের ভবিষ্যৎ নীতিগুলোর রূপরেখা তৈরি করবে।’

এ বৈঠকে আন্তর্জাতিক সংকট সংস্থার কর্মকর্তারা রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার লক্ষ্যে বিদ্রোহী নেতা আতাউল্লাহর গ্রেপ্তারকে ইতিবাচক পদক্ষেপ বলে প্রশংসা করেন। পাশাপাশি, তারা রাখাইন রাজ্যে সক্রিয় আরাকান আর্মির সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের ওপর গুরুত্ব দেন।

প্রধান উপদেষ্টা জানান, বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা পেতে কাজ করছে এবং জাতিসংঘের আসন্ন বিশেষ সম্মেলনের মাধ্যমে এই সংকটের প্রতি বৈশ্বিক মনোযোগ আকৃষ্ট হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

কমফোর্ট ইরো বৈঠকে উল্লেখ করেন, আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলাদেশ ও অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে ছড়ানো ভুল তথ্য মোকাবিলায় তার সংস্থা সহায়তা করবে। তবে ড. ইউনূস দুঃখ প্রকাশ করে বলেন যে, বেশির ভাগ বিভ্রান্তিকর তথ্য ভারতীয় গণমাধ্যম থেকে ছড়ানো হচ্ছে, যদিও তিনি বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে দৃঢ় সম্পর্ক গড়ার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেন।

প্রধান উপদেষ্টা আওয়ামী লীগ