নির্বাচনী প্রস্তুতিতে মাঠে সক্রিয় জাতীয় নাগরিক পার্টি

এনএস ডেস্ক : আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নবগঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ইতোমধ্যে মাঠপর্যায়ে কার্যক্রম শুরু করেছে। জানা গেছে, দলটির আহ্বায়ক এবং জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রধান ব্যক্তি নাহিদ ইসলাম রাজধানীর দুটি গুরুত্বপূর্ণ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

যে দুটি আসনে তিনি প্রার্থী হওয়ার পরিকল্পনা করছেন, সেগুলো হলো—ঢাকা-৯ (যা খিলগাঁও, সবুজবাগ ও মুগদা থানা নিয়ে গঠিত) এবং ঢাকা-১১ (যা রামপুরা, বাড্ডা ও ভাটারা থানা নিয়ে গঠিত)। দলটির শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা জানান, এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা ইতোমধ্যে নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় তৎপরতা শুরু করেছেন এবং বিভিন্ন স্তরে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।

জোট নাকি এককভাবে নির্বাচন?

এনসিপির সিদ্ধান্তগ্রহণকারী মহল এখনো চূড়ান্ত করেনি যে তারা নির্বাচনে জোটবদ্ধ হয়ে নামবে নাকি এককভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। তবে দলীয় নেতারা নিজ নিজ এলাকায় শক্তিশালী ভিত্তি তৈরির ওপর জোর দিচ্ছেন, যাতে জোট গঠনের পরিস্থিতি এলে দরকষাকষির ক্ষেত্রে সুবিধা পাওয়া যায়।

দলটির দায়িত্বশীল নেতাদের মতে, ৩০০ আসনের জন্য যোগ্য প্রার্থী প্রস্তুত করতে কাজ চলছে। রমজানের মধ্যেই সাংগঠনিক কাঠামো আরও শক্তিশালী করার পরিকল্পনা রয়েছে। এরই মধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজেদের এলাকায় কর্মীবাহিনী গড়ে তুলতে শুরু করেছেন, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডভিত্তিক টিম তৈরি করছেন এবং জনসংযোগ বাড়াচ্ছেন।

জনসংযোগ ও সাংগঠনিক কার্যক্রম:

এনসিপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা এলাকায় সরব উপস্থিতি নিশ্চিত করতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছেন। ইফতার ও রমজানের উপহার বিতরণ, সামাজিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণসহ বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমে জনগণের কাছে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। যারা সরাসরি মাঠে যেতে পারছেন না, তারা নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করছেন তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে।

নির্বাচনী প্রস্তুতি আরও জোরদার হবে ঈদের পর:

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ঈদের পর এনসিপি জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে সমাবেশ আয়োজন করবে, যেখানে সাংগঠনিক শক্তি প্রদর্শন এবং সম্ভাব্য প্রার্থীদের আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। বিএনপি-জামায়াতসহ অন্যান্য হেভিওয়েট প্রার্থীদের চ্যালেঞ্জ জানানোর লক্ষ্যে দলটি সক্রিয়ভাবে নির্বাচনী পরিকল্পনা সাজাচ্ছে।

জাতীয় রাজনীতিতে এনসিপির প্রভাব কতটা বিস্তৃত হবে এবং তারা নির্বাচনে কতটা সফল হতে পারবে, তা সময়ই বলে দেবে। তবে দলটি এখন থেকেই সুসংগঠিত হওয়ার দিকেই মনোযোগ দিচ্ছে, যা ভবিষ্যতে তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।