ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ডাকাত আতঙ্ক, পুলিশি টহল বৃদ্ধি

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি    
একাধিক ডাকাতির ঘটনায় বর্তমানে আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে টাঙ্গাইল জেলা। এই জেলার ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক জুড়ে বিরাজ করছে ডাকাত আতঙ্ক। শুধু মহাসড়কই নয়, আঞ্চলিক ও উপজেলা সড়কগুলোতে রাত হলেই বেড়ে যায় ডাকাত আতঙ্ক। এই আতঙ্কের মধ্যেই যাতায়াত করছেন গাড়ির যাত্রীরা। 

এদিকে ডাকাতি বন্ধে তৎপরতা বাড়িয়েছে টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ। বিশেষ করে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে পুলিশের কার্যক্রম আগের তুলনায় বাড়ানো হয়েছে। এ মহাসড়ক দিয়ে সাধারণ যাত্রীদের নির্বিঘ্নে যাতায়াতের জন্য বাড়ানো হয়েছে পুলিশি টহল।

পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়ক দিয়ে ২৩-২৪ জেলার যানবাহন চলাচল করে। এর ফলে এই মহাসড়ক দিয়ে চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে চলেছে। সম্প্রতি ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে রাজশাহীগামী যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। 

জেলা পুলিশ জানায়, পুলিশের ১৫টি টিম ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে কাজ করছে। পুলিশের পাশাপাশি ডিবি এবং সাদা পোশাকের টিমও যাত্রীদের নিরাপত্তায় কাজ করছে। দায়িত্ব পালন করছেন পুলিশ এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। এছাড়াও হাইওয়ে পুলিশও তাদের নিজস্ব কার্যক্রম বাড়িয়েছে।

সরেজমিনে বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে দেখা যায়, মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত টহল কার্যক্রমের পাশাপাশি অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। কয়েকটি স্থানে পুলিশি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।

টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আব্দুল্লাহ আল মামুন একটি গণমাধ্যমকে বলেন, মহাসড়কে বিশেষ করে রাতের বেলা পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে। মহাসড়কের আওতাধীন মির্জাপুর, দেলদুয়ার , বাসাইল, সদর, কালিহাতী এবং যমুনা সেতু পশ্চিম থানা এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশ। এছাড়াও মাঠে রয়েছেনহাইওয়ে পুলিশ ও বিভিন্ন গোয়েন্দা বিভাগের সদস্যরা৷’