MA ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১২:০৫ এ.এম
এনএস ডেস্ক
শীতকাল এলেই সবজি আর নানরকম ফলের সমারোহ দেখা যায় বাংলাদেশে। এর প্রায় সবগুলোরই রয়েছে পুষ্টিগুণ। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সতর্কতার প্রয়োজন হলেও শীতের সবজি ও ফলমুল শরীরকে চাঙ্গা করে তোলে। শরীরের নানা সমস্যা দূর করে দিতে পারে অপার শান্তি।
প্রকৃতির তেমনই একটি উপাদান হলো শসা। শসার উপকারিতা জানলে আপনি অবাক হবেন। তাই বলে বেশি উপকারের আশায় অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া ঠিক হবে না। শসা সালাদে বা কাঁচা দু’ভাবেই খাওয়া হয়। সবুজ রংয়ের এই সবজিটি কেউ কেউ চামড়াসহ খান, আবার কেউ চামড়া ফেলে খেতে পছন্দ করেন। তবে যেভাবেই খান না কেন উপকারিতা কমবে না।
প্রতি ১০০ গ্রাম শসার মধ্যে পানির পরিমাণ ৯৪.৯ গ্রাম এবং ক্যালরি ২২ কিলো ক্যালরি। এছাড়া শসা একটি ভালো মানের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট জাতীয় খাবার। পুষ্টিবিদদের মতে, শসা শরীরকে ডিটক্সিফাই করে। শসায় থাকা পানি মানবদেহের বর্জ্য ও বিষাক্ত পদার্থ অপসারণ করে শরীরকে আরো চাঙ্গা করে তোলে। নিয়মিত শসা খেলে কিডনির পাথর গলে যায়। শসায় থাকা ৩টি খনিজ উপাদান জরায়ু, স্তন ও মূত্রগ্রন্থিসহ বিভিন্নস্থানে ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি কমাতে পারে। ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে শসা ভালো ভূমিকা রাখতে পারে। শসায় সিলিকা বলে একটি উপাদান রয়েছে, যা ইউরিক এসিড কমাতে পারে। ফলে বাতের ব্যাথা কমার সম্ভাবনা দেখা দেয়।
আয়ুর্বেদ মতে, গাজরের রসের সঙ্গে শসার রস মিশিয়ে খেলে ইউরিক এসিডের মাত্রা কমে যায়। যার ফলে গেঁটেবাতের সমস্যা থেকে রেহাই মেলে। মানবদেহে প্রতিদিন যেসব ভিটামিনের প্রয়োজন হয়, তার অনেকগুলোই শসার মধ্যে রয়েছে। শসায় উচ্চমাত্রায় পানি আর নিম্নমাত্রার ক্যালোরিযুক্ত উপাদান রয়েছে। তাই ওজন কমাতে শসার জড়ি নেই। আপনি যদি নিয়মিত শাসা খান তাহলে হজমশক্তি বাড়ার পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্য দুর হবে।
রূপচর্চার ক্ষেত্রে শসার ব্যবহার অনেক পুরনো। গ্রাম কিংবা শহর সবখানেই রূপচর্চায় শসার বহুবিধ ব্যবহার লক্ষ্যণীয়।চোখের উপর শসা কেটে বা এর পেস্ট করে দিলে চোখের ময়লা পরিস্কার হয়। চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতেও শসার ব্যবহার হয়ে থাকে। চোখের জ্যোতি বাড়াতে শসার ভূমিকা রয়েছে। শসায় চোখের প্রদাহ প্রতিরোধ করার মতো উপাদান থাকায় এটি চোখের ছানি পড়া ঠেকাতে কাজ করে। শসার মধ্যে থাকা উচ্চমাত্রার পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও সিলিকন ত্বকের পরিচর্যায় বিশেষ ভূমিকা রাখে। শসা পেস্ট করে মুখে মাখলে ত্বকের নানা সমস্যা দূর হয়। শসার মধ্যে থাকা সিলিকা নখ ও চুলকে সতেজ করে। চুলের যত্নে শসার ব্যবহার করে থাকেন অনেকে।
তবে শসা বেশি খেলে বা অতিরিক্তি ব্যবহার করলে কিছু বিপত্তি ঘটতে পারে। অতিরিক্ত শসা খেলে শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা বাড়তে পারে; যা কিডনির ওপর প্রভাব ফেলবে। এছাড়া শরীরে জমা হতে পারে টক্সিন। অনেকে ওজন কমাতে শসা খান সারাদিন। অন্য খাবার কম খেয়ে অতিরিক্ত পরিমাণে শসা খাওয়ার ফলে বদহজম, পেট ফাঁপা, পেট ব্যাথা, বমি বমি ভাব ইত্যাদি হতে পারে। তাই শুধুমাত্র শসার উপর নির্ভর না করে পুষ্টিবিদের পরামর্শ মতো ডায়েট চার্ট অনুসরণ করা ভালো।
টানা নয়, কেনাকাটা সারুন বুঝে-শুনে
সোনামনিদের নিয়ে ঝক্কিহীন শপিং যেভাবে করবেন
ঈদ শপিংয়ে সতর্ক থাকুন
ইফতারে ঠান্ডা পানি পান ঝুঁকিপূর্ণ
ইফতারে সিদ্ধ ডিমে চাঙ্গা হোন
ইফতারে আনুন ভিন্নতা: ক্রিমি ফ্রুট ফিউশন
ইফতারে হালিম রেখেছেন কি?
ইফতারে খান বেলের শরবত
রোজায় সুস্থ থাকতে দই-চিড়া খান
রোজায় সুস্থ থাকতে মেনে চলবেন যে বিষয়গুলো
গুণের শেষ নেই ক্যাপসিকামে
বিটরুট হলো ‘সুপার ফুড’, তবে...
টমেটো খান, তবে অপরিমিত নয়
প্রতিদিন অন্তত একটি গাজর খান
দারুণ উপকারী দারুচিনি
সুস্থ থাকতে আদা খান
আগাছা হিসেবে জন্মালেও পুষ্টিগুণে ঠাঁসা বথুয়া শাক
মেথি শাকের জাদুকরী প্রভাব
পাট শাকে যেসব উপকার
পুষ্টিকর ও সুস্বাদু ডাঁটা শাক
রোজায় সুস্থ থাকতে চিয়া সিডের সঠিক ব্যবহার
গুণের অভাব নেই কলমি শাকে
অবহেলা করবেন না নুনে শাক
পুষ্টির খনি লাউ শাক
লাউ যেন এক মহৌষধ!
এই গরমে পাতে রাখুন পটোল
খেতে ভুলবেন না গিমা শাক
কাদা পানিতে জন্মালেও হেলেঞ্চা কিন্তু উপকারী
কচুর ছড়া বা কচুমুখির নানা গুণ
পুষ্টিগুণে ভরপুর কচুর লতি