M.A. ২২ জানু ২০২৫ ১০:১৫ পি.এম
বিশেষ প্রতিনিধি
আগামী নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক না হলেও প্রকাশ্য ও গোপনে রাজনৈতিক মেরুকরণ নিয়ে নানা ধরণের কর্মকাণ্ড শুরু হয়েছে। সমমনা বা সম আদর্শের দলগুলো যুথবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পরিকল্পনাকে সামনে রেখে নানা প্রক্রিয়া শুরু করেছে। বিষয়টিকে সামনে রেখে এরই মধ্যে একাধিক বৈঠক করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। সেক্ষেত্রে দলগুলো রাজনৈতিক সন্ধি করে নির্বাচনের পরে জোট সরকার গঠন করবে নাকি নির্বাচনের আগেই জোটবদ্ধ হবে সেটা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে এটা নিশ্চিত যে, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে ইসলামী দলগুলো এক ছাতার নিচে আসতে চাইছে।
বিভিন্ন সূত্র বলছে, আগামী নির্বাচনের আগে ইসলামী ধারার দলগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন, হেফাজতে ইসলামসহ বেশ কিছু সসমনা দল একাধিক বৈঠক করেছে। সেসব বৈঠকে আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে ঐক্যবদ্ধ হবার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এখন এ বিষয়ে চুড়ান্ত কোনো কাঠামো তৈরি হয়নি। তবে নিজেদের মধ্যে তারা নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। যার সূত্র ধরে যে কোনো সময় আসতে পারে চমকে ওঠার মতো ঘোষণা।
জানা গেছে, ইসলামী ধারার দলগুলোর নেতারা আপাতত নিজেদের মধ্যে থাকা ভুল বোঝাবুঝি নিরসন করতে চান। দূরত্ব কমিয়ে পরস্পরের কাছে আসতে চাইছেন তারা। এরই অংশ হিসেবে সৌজন্য সাক্ষাত, নিজেদের মধ্যে ভাব বিনিময় এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যৌথভাবে উপস্থিত থাকার চেষ্টা করছেন। এর মাধ্যমে সম্পর্কের পারদ উর্ধ্বমুখী হলে এবং বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের মধ্যে থাকা দূরত্ব কমে এলে তারা প্রকাশ্য একটি কাঠামোর দিকে নজর দেবেন।
সংবাদসূত্র বলছে, এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে অতি সম্প্রতি জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনের শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। বরিশালের চরমোনাই মাদরাসায় অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময় সভায় আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে ইসলামী দলগুলোর ঐক্য নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। মতবিনিময় শেষে উভয় দলের শীর্ষ নেতারা চরমোনাই দরবার শরীফের মসজিদে একসঙ্গে জোহরের নামাজ আদায় করেন। পরে দুই দলের দুই শীর্ষ নেতা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। সেখানে তারা বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচনে এক হয়ে লড়বে ইসলামি দলগুলো। তবে কোন প্রক্রিয়ায় বা কোন কাঠামোতে ঐক্য হবে সে বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়নি।
এ সময় জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘সবাইকে সামনে রেখে বলতে চাই আমরা শুধু আল্লাহর জন্য পরস্পরকে ভালোবাসি। আল্লাহ যেন আমাদের এই ভালোবাসাকে কবুল করেন।’
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীর আমিরসহ অন্য নেতারা চরমোনাই এসেছেন। আল্লাহ যেন আমাদের ইসলামের পক্ষে, দেশের পক্ষে, মানবতার পক্ষে ভালো কাজ করার তৌফিক দান করেন।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইসলামী আন্দোলনের আমির বলেন, ‘রাজনীতির মাঠে চিন্তার ব্যবধান থাকতে পারে। ভিন্নতা থাকতে পারে। আমাদের উদ্দেশ্য ঢাকা পৌঁছার।’