আপনি কথা বলছেন কিন্তু কেউ বুঝতেই পারছে না যে আপনি কথা বলছেন । আপনার ঠোঁট কাঁপছে না , মুখমন্ডলের কোন পরিবর্তন হচ্ছে না । আপনার সামনে বসে থাকা মানুষটি স্পষ্ট কথা শুনতে পাচ্ছে কিন্তু বুঝতে পারছে না কথা আসলে বলছে কে ? কেমন হবে এমন হয় ? অবাক লাগলেও এটা অসম্ভয় নয় । কিন্তু এটা সম্ভব মায়াস্বরীদের কাছে । মায়াস্বরীরা কোন ঠোঁট না নাড়িয়েই স্পষ্ট ভাবে কথা বলে যেতে পারে ঘন্টার পর ঘন্টা ।
ফ্রেড রাসেল নামক একজন ব্যক্তি সর্বপ্রথ মায়াস্বর চর্চাকে পেশা হিসাবে নিয়েছিলেন । এরপর থেকেই মূলত মঞ্চে মায়াস্বরের ব্যবহার শুরু হয় । চীন এর জন্য খুব প্রসিদ্ধ ছিল এই চর্চা । সেখানে এটি পরিচিত ছিল ‘কৌজি’ নামে । মায়াস্বরের বিস্তার ও অগ্রগতি বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘটেছে। ইউরোপে মায়াস্বর মূলত বাচ্চাদের বিনোদনের জন্য ব্যবহার হয়েছে। এভাবেই বিনোদনের সাথে মায়াস্বরীরা নিবিড় ভাবে জড়িয়ে যান ।
প্রথমে মায়াস্বর চর্চা কেবল ধর্মীয় একটা অংশ ছিল । কিন্তু আঠারোশ দশকে এর আরো বিস্তার লাভ করে । শুরু হয় এর শৈল্পিক চর্চা । মঞ্চে অনুষ্ঠান করে হাতে কোন পাপেট নিয়ে শো করাটাও সেসময় থেকেই শুরু হয় ।
ইংরেজি - বাংলা বর্ণমালায় এমন কিছু বর্ণ আছে যা ঠোঁট না নাড়িয়ে বলা অসম্ভব । মায়াস্বরীরা তাই কথা বলার সময় এই বর্ণগুলোকে দারুন বুদ্ধিমত্তার সাথে এড়িয়ে যান । তারা বেশিরভাগ সময় তাদের সাথে বাচ্চা আদলের কোন পাপেট ব্যবহার করেন , যেন তাদের কথা একটু আধোবুলির মতো হলেও দর্শক সেটা বাচ্চাদের কন্ঠভবে সহজেই গ্রহণ করে নেয় । আমেরিকার মায়াস্বরীরা মানুষ, পশুপাখি, ফল, সবজি, বক্সসহ বিভিন্ন ধরনের পুতুল ব্যবহার করেন । এই পুতুলগুলো কখনো মায়াস্বরীর হাতে বা কোলে আবার কখনো বা দূরে থাকে । এই কলার মাধ্যমে তারা বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন ও দর্শকদের বিনোদন দেন ।
অনেকে মনে করেন মায়াস্বরীরা তাদের পেট থেকে কথা বলেন । কিন্তু এটি একদম ভুল একটি ধারণা । পেট দিয়ে কি কথা বলা যায় ? তারা তাদের কণ্ঠ দিয়েই কথা বলেন । তারা কেবল তাদের কণ্ঠস্বর এমন ভাবে পরিবর্তন করে যেন মনে হয় শব্দটি অন্য কোনো উৎস থেকে আসছে । জেনে অবাক হবেন যে বিভিন্ন ধর্মে মায়াস্বরীর ব্যবহার দেখা যায় । মূলত প্ল্যানচেটে মৃত আত্মা হাজিরের কাজে এই কন্ঠচর্চা সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয়েছে । তখন এই বিদ্যাটি সবাই জাদুবিদ্যা বলে মনে করতো ।
টানা নয়, কেনাকাটা সারুন বুঝে-শুনে
সোনামনিদের নিয়ে ঝক্কিহীন শপিং যেভাবে করবেন
ঈদ শপিংয়ে সতর্ক থাকুন
ইফতারে ঠান্ডা পানি পান ঝুঁকিপূর্ণ
ইফতারে সিদ্ধ ডিমে চাঙ্গা হোন
ইফতারে আনুন ভিন্নতা: ক্রিমি ফ্রুট ফিউশন
ইফতারে হালিম রেখেছেন কি?
ইফতারে খান বেলের শরবত
রোজায় সুস্থ থাকতে দই-চিড়া খান
রোজায় সুস্থ থাকতে মেনে চলবেন যে বিষয়গুলো
গুণের শেষ নেই ক্যাপসিকামে
বিটরুট হলো ‘সুপার ফুড’, তবে...
টমেটো খান, তবে অপরিমিত নয়
প্রতিদিন অন্তত একটি গাজর খান
দারুণ উপকারী দারুচিনি
সুস্থ থাকতে আদা খান
আগাছা হিসেবে জন্মালেও পুষ্টিগুণে ঠাঁসা বথুয়া শাক
মেথি শাকের জাদুকরী প্রভাব
পাট শাকে যেসব উপকার
পুষ্টিকর ও সুস্বাদু ডাঁটা শাক
রোজায় সুস্থ থাকতে চিয়া সিডের সঠিক ব্যবহার
গুণের অভাব নেই কলমি শাকে
অবহেলা করবেন না নুনে শাক
পুষ্টির খনি লাউ শাক
লাউ যেন এক মহৌষধ!
এই গরমে পাতে রাখুন পটোল
খেতে ভুলবেন না গিমা শাক
কাদা পানিতে জন্মালেও হেলেঞ্চা কিন্তু উপকারী
কচুর ছড়া বা কচুমুখির নানা গুণ
পুষ্টিগুণে ভরপুর কচুর লতি