বিয়ের মাধ্যমেই পূর্ণতা পায় দুটি মানুষের সাথে দুটি মনের মিলন । বিয়ের পর দুজনের হাতে হাত রেখে কেটে যায় জীবনের বড় একটি অধ্যায়। এ বাঁধনেই যেন জড়িয়ে পড়ে দুটো হৃদয় । কাজেই এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে ভেবে চিন্তে নেয়াই শ্রেয়, বিশেষ করে স্বাস্থ্যগত দিক থেকে।
যে মানুষটির সঙ্গে সারাজীবন কাটাবেন তার মনের পাশাপাশি শারীরিক বিষয়গুলোও জানা দরকার। তাই বিয়ের আগে শারীরিক ও মানসিক সবকিছু পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া প্রয়োজন। নয়তো বিভিন্ন ধরনের রোগ একপ্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে ছড়িয়ে যাবে। তাই বিয়ের আগে মেডিকেল টেস্ট করালে ভবিষ্যৎ জীবন এবং পরের প্রজন্ম আশঙ্কা মুক্ত থাকবে। কিন্তু কি পরীক্ষা গুলো করতে হবে তা কি আমরা জানি? চলুন জেনে নেওয়া যাক......
রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা
রক্তের বিভিন্ন গ্রুপ রয়েছে এগুলো হলো এ, বি, ও এবং এবি। সাথে পজেটিভ বা নেগেটিভ তো আছেই। যেমন- বি পজেটিভ,বি নেগেটিভ। যেকোনো গ্রুপের রক্তের কেউ অন্য যেকোনো গ্রুপের কাউকে বিয়ে করতে পারবেন। কিন্তু পজেটিভ-নেগেটিভের মিলনের ফলে জন্ম নেয়া সন্তানের ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে স্ত্রী নেগেটিভ এবং স্বামী যদি পজেটিভ গ্রুপের হলে সন্তান হতে পারে নেগেটিভ বা পজেটিভ রক্তের গ্রুপের। সন্তান নেগেটিভ গ্রুপের হলে সমস্যা নেই, তবে পজেটিভ হলেই বিপদ।তবে প্রথম সন্তানের ক্ষেত্রে বিপদের সম্ভাবনা কম। সন্তান প্রসবের সময় সন্তানের রক্ত মায়ের শরীরে প্রবেশ করে বিভিন্নভাবে। এতে মায়ের শরীরে এন্টিবডি বাসা বাঁধে। পরবর্তীতে আরেকটি সন্তান যদি পজেটিভ গ্রুপের হয় তবে সেই এন্টিবডিপ্লাসেন্টার মাধ্যমে ভ্রুণে প্রবেশ করে তার রক্তকণিকাগুলো ধ্বংস করে ফেলে। তখন গর্ভস্থ শিশু গর্ভেই মারা যেতে পারে। কিংবা জন্মের পর মারাত্মক জন্ডিস, মস্তিষ্কের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই বিয়ের আগে রক্ত পরীক্ষা করিয়ে নিন। স্ত্রীর নেগেটিভ ও স্বামীর রক্তের গ্রুপ পজেটিভ হলেও ভয়ের কিছু নেই। এমনটি হলে সন্তান প্রসব পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এরপর তার রক্ত পরীক্ষা করান। সন্তান পজেটিভ হলে মায়ের শরীরে এন্টি-ডি ইনজেকশন দিয়ে নিতে হবে, অবশ্যই তা চিকিৎসকের পরামর্শে।
মানসিক রোগ
মানসিক সমস্যা হলে অনেক সময় সেই রোগীকে তার পরিবার বিয়ে করিয়ে দেয়, তারা ভাবে বিয়ে দিলে সব ঠিক হয়ে যাবে ।মানসিক রোগকে খুব একটা বড় করে দেখে না কেউ। কিন্তু এটি মোটেও হেলাফেলার বিষয় নয়। এভাবে কিছু ঠিক হয় না বরং সমস্যা আরও বাড়ে যায়। তাই মানসিক রোগ আছে কি না তা জেনে নেয়া জরুরি।
এইডস
অনিয়ন্ত্রিত যৌনাচারের কারণে দেখা দিতে পরে এইডস। সেইসঙ্গে হতে পারে সিফিলিস, হেপাটাইটিস বি, সি, গনোরিয়াসহ নানা অসুখ। যদিও আমাদের দেশে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা খুব বেশি নয় তবে ঝুঁকিমুক্ত থাকাই উত্তম। সঙ্গীর যেকোনো একজনের এই অসুখ থাকলে তা ছড়াবে অপরজনের শরীরেও। তাই আগেভাগে পরীক্ষা করিয়ে নেয়াই উত্তম।
সিমেন পরীক্ষা
সিমেন মানে বন্ধ্যাত্ব হতে পারে নারী কিংবা পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই। তাই বিয়ের আগেই পুরুষের সিমেন পরীক্ষা করিয়ে নেয়া ভালো। সেইসঙ্গে দুজনের রক্তের হরমোন যেমন এফএসএইচ, টিএইচএস, টেস্টেটেরোন, ইস্ট্রোজেন, প্রোল্যাকটিন পরীক্ষা করিয়ে নিতে পারেন। নারীর ক্ষেত্রে জরুরি পেলভিক আলট্রাসনোগ্রাম। এতে বিয়ের পরে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি বেছে নেয়া সহজ হয়।
নারীর ওভারি পরীক্ষা
বর্তমানে অনেক নারীই বেশি বয়সে বিয়ে করেন। অনেকেই এখন ধূমপান, মদ্যপান বা অন্যান্য নেশায় আসক্ত। ওভারিতে সমস্যা থাকলে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডিম্বাণু তৈরির পরিমাণ কমতে শুরু থাকে। এতে বিয়ের পর সন্তান ধারণে সমস্যা হতে পারে। তাই বিয়ের আগে নারীরর ওভারি টেস্ট করানো একান্ত প্রয়োজন।
জেনেটিক টেস্ট
হবু বর ও কনে উভয়েরই জেনেটিক পরীক্ষা করলে জানা যাবে সঙ্গীর কোনো জিনঘটিত সমস্যা আছে কি না।তাই অবশ্যই বিয়ের আগে জেনেটিক টেস্ট করিয়ে নিবেন।
ব্লাড ডিসঅর্ডার
বিয়ের আগে নারীর ব্লাড ডিসঅর্ডার পরীক্ষা করানো মাধ্যমে জানা যাবে হবু কনের রক্ত স্বল্পতায় ভুগছেন কি না। কারণ সন্তান ধারণের জন্য নারীর শরীরে রক্তের পরিমাণ ঠিক থাকা দরকার।
থ্যালাসেমিয়া
দু’জনের মধ্যে একজনের শরীরেও যদি এই রোগ থাকে তাহলে সন্তানও এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। তাই বিয়ের আগে হবু বর ও কনের থ্যালাসেমিয়ার পরীক্ষা করানোটাও জরুরি।
বিভিন্ন দেশে বিয়ের আগেই পাত্রপাত্রীরা জেনে নেন তার হবু জীবন সঙ্গী কোনো ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত কি না। আমাদের দেশের জনগণ এ ব্যাপারে সচেতন না হলেও তরুণ-তরুণীদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আগ্রহ বাড়ছে। কারণ বিয়ের পর কোনো সমস্যা সামনে এলে তা নিয়ে হতে পারে পারিবারিক অশান্তি, এমনকি ডিভোর্স পর্যন্তও হতে পারে।তাই বিয়ের আগে অবশ্যই এ পরীক্ষাগুলো করে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
দেশের সব হাসপাতালে হচ্ছে সরকারি ফার্মেসি, মিলবে কম দামে ওষুধ
যক্ষ্মার নতুন ঝুঁকিতে দেশ
খাদ্যে ক্ষতিকর উপাদান শনাক্তে কঠোর নীতিমালার আহ্বান
অসংক্রামক রোগ মোকাবিলায় বাজেট বৃদ্ধির আহ্বান
‘নতুন মহামারির’ হানা যুক্তরাষ্ট্রে, মৃত্যুহার ৩৯ শতাংশ
বন্ধ হতে পারে সরকারি ৬ মেডিকেল কলেজ
বকশিশ না দেওয়ায় অক্সিজেন বন্ধ, নবজাতকের মৃত্যু
২ কোটি ২৬ লাখ শিশুকে ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে
বরুণ ফুলের ঔষধি গুণ—প্রাকৃতিক চিকিৎসার এক বিস্ময়
স্বাস্থ্য ক্যাডারের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কর্মবিরতি শুরু
অব্যবস্থাপনা ও লুটপাটে স্বাস্থ্যসেবা ভেঙে পড়েছে: ডা. ফরহাদ হালিম
দেশে প্রথমবার জিকা ভাইরাসের ক্লাস্টার শনাক্ত
দেশের সব মেডিকেল কলেজে ‘একাডেমিক শাটডাউন’ সোমবার
চীনে নতুন করোনা ভাইরাস শনাক্ত, মহামারির শঙ্কা
শোল্ডার সার্জারির উন্নয়নে বাংলাদেশে বিশেষ কর্মশালা
ফিরে দেখা: ‘ভারতে মেয়েদের জন্য ৬ মাসের মধ্যে ক্যান্সারের ভ্যাকসিন’
আজ বায়ুদূষণে বিশ্বে দ্বিতীয় ঢাকা
বিপজ্জনক হয়ে উঠছে ঢাকার বাতাস, জানালা বন্ধের পরামর্শ!
অস্বচ্ছল চক্ষু রোগীদের ফ্রি চিকিৎসা সেবা প্রদান
জরায়ু ক্যানসারে আক্রান্তের অর্ধেকের বেশি নারী প্রতি বছর মারা যান
এইচএমপিভি ভাইরাস সুরক্ষায় করণীয়
দেশে এইচএমপিভি ভাইরাস আক্রান্তে প্রথম মৃত্যু
ভিটামিন ই ক্যাপসুলের বিকল্প তিন খাবার
এইচএমপি ভাইরাস নিয়ে জনমনে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে
দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ঢাকাবাসী, মন্ত্রণালয়ের সতর্কবার্তা
দেশে এইচএমপিভি আক্রান্ত রোগী শনাক্ত
গোমস্তাপুরে নার্সের অবহেলায় শিশুর মৃত্যু, তিন নার্স সাময়িক বরখাস্ত
দেশে ৫ জনের শরীরে রিওভাইরাস শনাক্ত
শীতের তীব্রতায় ঠান্ডাজনিত রোগে কাবু শিশু-বয়স্করা
শ্বাসতন্ত্রে নতুন ভাইরাস: বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা নতুন মহামারির