মঙ্গলবার ১৪ জানু ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বঙ্গাব্দ
শিক্ষা

নতুন শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যবইয়ে থাকছে বঙ্গবন্ধু ও ৭ মার্চ

কেবি ০১ জানু ২০২৫ ১১:৪৩ এ.এম

নতুন শিক্ষাবর্ষ পাঠ্যবইয়ে থাকছে বঙ্গবন্ধু ও ৭ মার্চ

এনএস ডেস্ক : ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে পাঠ্যবইয়ে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে ‘বঙ্গবন্ধু’ হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমানও থাকছেন যথাযথ মর্যাদায়। থাকছে ঐতিহাসিক ৭ মার্চও। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস যৌক্তিকভাবে তুলে ধরা হবে সরকারের বিনামূল্যের পাঠ্যবইয়ে। ১৯৬৯ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের বঙ্গবন্ধু খেতাব পাওয়ার বিষয়টিও বাদ যাচ্ছে না।

সংবাদমাধ্যম অনুযায়ী, এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে এ রিয়াজুল হাসান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু আছেন ৭ মার্চের জায়গায়, উনি বঙ্গবন্ধু হিসেবে আছেন। ১৯৬৯ সালে তাকে বঙ্গবন্ধু খেতাব দেওয়া হয়েছে সেটাও আছে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে যার যতটুকু অবদান ততটুকুই আছে।’

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

জাতির পিতা হিসেবে থাকছেন কি না সে বিষয়ে রিয়াজুল হাসান বলেন, ‘জাতির পিতা’ ব্যবহার করা হয়নি। বিষয়টি পাঠ্যবইয়ে রাখতে সবাই একমত হননি।

তিনি আরও বলেন, ‘এক নেতার এক দেশ— এই ধারণা থেকে আমরা বের হয়ে আসতে চাচ্ছি। মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখা আরও অনেক নেতা রয়েছেন, তাদের রাখা হচ্ছে। মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী, তাজউদ্দিন আহমেদসহ যার যতটুকু আবদান তা রাখা হচ্ছে। অতিরঞ্জিত ইতিহাস বাদ যাচ্ছে।’ 

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পেক্ষাপটে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে — বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, অবিভক্ত বাংলার প্রথম প্রধানমন্ত্রী শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও প্রভাবশালী চরিত্র মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান সেনাপতি এম এ জি ওসমানী ও জাতীয় নেতা তাজউদ্দিন আহমেদ।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পেক্ষাপটে ১১ নম্বর সেক্টর কমান্ডার মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে পাঠ্যবইয়ে।

এনসিটিবি সূত্রে জানা যায়, পাঠ্যবইয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরতে গিয়ে অতিরঞ্জিত করে কাউকে উপস্থাপন না করে যার যতটুকু অবদান তাকে ততটুকুই রাখা হচ্ছে। কাউকে খাটো করা হচ্ছে না।

জিয়াউর রহমানের ইতিহাস তুলে ধরার ক্ষেত্রে তাকে বেশি করে দেখানো হচ্ছে কি না জানতে চাইলে এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান বলেন, ‘কারও ক্ষেত্রেই অতিরঞ্জিত কিছু থাকছে না। পাঠ্যবইয়ে ইতিহাস তুলে ধরার ক্ষেত্রে মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানের যতটুকু রাখা যায়, ততটুকুই থাকছে।’

জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত আবু সাঈদকে সংক্ষিপ্ত পরিসরে হলেও গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরা হবে ।

নতুন পাঠ্যবইয়ে যুক্ত হচ্ছে ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের দেয়াল লিখন ও দেয়ালচিত্র। থাকছে ধর্মীয়সহ নীতিবাক্য। পাঠ্যইয়ের ভেতরে আবু সাঈদের ছবিসহ তার ওপর লেখা যুক্ত করা হচ্ছে।

ইসলাম ধর্মীয় পাঠ্যবইয়ে নতুন করে যুক্ত হচ্ছে ক্যালিওগ্রাফি। অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান বলেন, ‘পাঠ্যবইয়ে ক্যালিওগ্রাফির ধরনে আল কোরআন ও আল হাদিস থাকছে। এছাড়া বৌদ্ধ ধর্মীয় পাঠ্যবইয়ে গৌতম বুদ্ধের বাণী, একইভাবে খ্রিষ্টান ধর্মের বইতে খ্রিষ্টের বাণী ও হিন্দু ধর্মীয় বইয়ে তাদের বাণী থাকছে।

‘গ্রাফিতি’ নামে নতুন তিনটি অধ্যায় যুক্ত হচ্ছে। এছাড়া পঞ্চম থেকে নবম-দশম শ্রেণির বাংলা ও ইংরেজি বইয়ে কিছু পাঠ্য বাদ যাচ্ছে এবং নতুন করে যুক্তও হচ্ছে কিছু বিষয়।

পাঠ্যবইয়ের পেছনের প্রচ্ছদে এবং প্রথম দিকে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ও তার উদ্ধৃতি বাদ যাচ্ছে।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) জানায়, বর্তমানে নতুন শিক্ষাক্রম চলছে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে। তবে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নতুন শিক্ষাক্রমটি স্থগিত করে পুরনো শিক্ষাক্রমে ফিরেছে। ২০১২ সালের শিক্ষাক্রমের সর্বশেষ সংস্করণ পরিমার্জন করে শিক্ষার্থীদের হাতে ২০২৫ সালের পাঠ্যবই তুলে দেওয়া হবে।

প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী প্রণীত পাঠ্যবইয়ে কিছু পরিমার্জন এনে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। অপরদিকে চতুর্থ থেকে দশম শ্রেণির পাঠ্যবই নতুন ও পুরনো শিক্ষাক্রমের আলোকে সর্বশেষ সংস্করণ পরিমার্জন করে দেওয়া হবে।

২০১২ সালে প্রণীত শিক্ষাক্রমের আলোকে ২০১৩ সালে পাঠ্যবই প্রণয়ন করে শিক্ষাক্রম চালু করা হয়েছিল। ওই শিক্ষাক্রমের সর্বশেষ সংস্করণ ২০২২ ও ২০২৩ সালের বইয়ে পরিমার্জন করা হচ্ছে।

বর্তমানে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। আর আগামী বছর চতুর্থ, পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালুর মধ্য দিয়ে মাধ্যমিক পর্যন্ত সব শ্রেণিতেই তা চালুর কথা ছিল, তা স্থগিত করেছে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

নবম ও দশম শ্রেণিতে বিভাগ বিভাজন বাদ দেওয়া হয়েছিল। পুরনো কারিকুলামে ফেরায় বিভাগ বিভাজন (বিজ্ঞান, বাণিজ্য ও মানবিক বিভাগ) থাকছে।

আরও খবর

news image

বদলি হলেন চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের উপ-সচিব ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক

news image

তিন দফা দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের অনশন, শহীদ সাজিদ ভবনে তালা

news image

আগামী বছর প্রথম দিনই বই পাবে শিক্ষার্থীরা : শিক্ষা উপদেষ্টা 

news image

পৌষ্য কোটা বহালের দাবিতে চবি কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের মানববন্ধন 

news image

ডাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম

news image

এবার শিক্ষাবর্ষের নতুন অধ্যায় ‘আমাদের চার নেতা’

news image

নতুন শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যবইয়ে থাকছে বঙ্গবন্ধু ও ৭ মার্চ

news image

শিক্ষা কার্যক্রম শুরু অনিশ্চিত

news image

২০২৫ সালে নিম্নমাধ্যমিক ও মাধ্যমিকে ছুটি ৭৬ দিন

news image

শিক্ষাকে বাদ দিয়ে কোন কিছু সম্ভব নয় : ড. মামুন আহমেদ

news image

৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে স্কুলে ভর্তি শেষ করার নির্দেশ

news image

সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিকের স্কুল ভর্তির লটারি আজ

news image

ছাত্র সংসদ নির্বাচনের সময় নিয়ে মতানৈক্য

news image

মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজ কর্তৃপক্ষ প্রস্তুতি নিচ্ছে মামলার 

news image

সাত কলেজের পরীক্ষা স্থগিত মঙ্গলবার

news image

জাবিতে পরিসংখ্যান বিভাগের ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত 

news image

জাবিতে চলছে প্রাণ-রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র সংসদ নির্বাচন

news image

সৃজনশীল শিক্ষা মানুষ হতে সাহায্য করে : প্রধান উপদেষ্টা

news image

আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি মওকুফের নির্দেশ

news image

নির্ভুল পাঠ্যবই বের করা হচ্ছে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা

news image

এখনো নতুন একটি বইও আসেনি

news image

চবিতে শিবিরের নবীনবরণ  অনুষ্ঠান 

news image

ঢাকা সিটি কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ, অনিশ্চয়তায় শিক্ষার্থীরা

news image

এসএসসির ফরম ফিলআপ শুরু ১ ডিসেম্বর

news image

ষষ্ঠ ও সপ্তমের নতুন পাঠ্যবই মিলবে জানুয়ারিতে

news image

জবি শিক্ষার্থীদের ৩ দফা দাবিতে সচিবালয়ের সামনে অবস্থান

news image

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু 

news image

৭ কলেজের শিক্ষার্থীদের নতুন কর্মসূচির ঘোষণা 

news image

৬টি মেডিকেল কলেজের নতুন নামকরণ 

news image

শিক্ষার্থীদের ফের সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ