যুক্তরাজ্যের লাফবারাহ ইউনিভার্সিটির ক্লিনিক্যাল স্লিপ রিসার্চ ইউনিটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক কেভিন মরগান এবং স্লিপ কাউন্সিলের লিসা আর্টিস এ বিষয়ে যেসব পরামর্শ দিয়েছেন তা তুলে ধরা হল।
১. কোন দিবানিদ্রা নয়
গরম আবহাওয়ায় দিনের বেলা এমনিতেই সব সময়ই কেমন যেন আলসেমি ভাব থাকে। এর কারণ হচ্ছে, দেহের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা ঠিক রাখতেই আমাদের বেশি শক্তি খরচ করতে হয়।
কিন্তু রাতের বেলা যদি ভালোভাবে ঘুম না হয় তাহলে দিনের বেলা মোটেও একটু ঘুমিয়ে নেয়ার কথা ভাবা যাবে না। গরম আবহাওয়ায় বেশি সময় ধরে ঘুম হয় না। বরং ওই সময়টুকু রাতের জন্য রেখে দেয়াটাই ভালো।
২. সময়
গরম আবহাওয়ার কারণে প্রতিদিনের অভ্যাসে বদলের প্রবণতা তৈরি হতে পারে। তবে এটা করা যাবে না। কারণ দৈনন্দিন অভ্যাস বদলালে সেটি ঘুমে সমস্যা তৈরি করতে পারে।
আর সেজন্যই নিয়মিত সময়ে ঘুমাতে যেতে হবে। আর ঘুমাতে যাওয়ার আগে যে কাজগুলো আপনি করে অভ্যস্ত সেগুলো নিয়ম করেই করতে হবে।
৩. শোয়ার ঘর ঠাণ্ডা রাখতে হবে
রাতে যাতে শোয়ার ঘরটি ঠাণ্ডা থাকে তার জন্য ছোট-খাটো কিছু ব্যবস্থা নিতে হবে।
যেমন, দিনের বেলা সূর্যের আলো সরাসরি যাতে ঘরে ঢুকতে না পারে তার জন্য পর্দাগুলো টেনে রাখা যেতে পারে।
বাড়ির যে দিকটায় সবচেয়ে বেশি রোদ পড়ে, সেদিকের জানালা বন্ধ রাখা যেতে পারে। এতে করে বাইরে গরম বাতাস ঘরের ভেতর ঢুকতে পারবে না।
ঘুমাতে যাওয়ার আগে জানালা গুলো খুলে দিতে হবে যাতে ঠাণ্ডা বাতাস ঘরে ঢুকতে পারে।
৪. বিছানা
বিছানায় ঘুমানোর জিনিসপত্র যেমন অতিরিক্ত বালিশ, কাঁথা এগুলো যতটা সম্ভব কমিয়ে আনতে হবে।
পাতলা সুতি কাপড় বিছানার চাদর হিসেবে ব্যবহার করলে তা শরীরের ঘাম দ্রুত শুষে নেয়।
তবে গরমে ঘরের পরিবেশ গরম থাকলে মানুষের শরীরের তাপমাত্রা নিচে নেমে যায়। যার কারণে মাঝে মাঝে শীত লাগতে পারে। সে ক্ষেত্রে পাতলা কাঁথা রাখা যেতে পারে।
৫. পাখার ব্যবহার
গরম আবহাওয়ায় ছোট একটি পাখাও বেশ কাজে আসতে পারে। বিশেষ করে যখন ঘাম হয়।
পাখার বাতাস ঘাম দ্রুত ঘাম শুকিয়ে যেতে সাহায্য করে। যা দেহের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
যদি হাতের কাছে পাখা না থাকে তাহলে বিকল্প হিসেবে পানি গরম রাখার ব্যাগে গরম পানির পরিবর্তে ঠাণ্ডা পানি রেখে সেটি ব্যবহার করা যেতে পারে।
শুনতে অদ্ভুত হলেও গরমে শরীর ঠাণ্ডা রাখতে কাজ করে ভেজা মোজা। যে মোজাটি পরবেন সেটি আগে থেকেই ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করে নিয়ে তারপর পরুন।
এতে আপনার ত্বক ও শরীরের তাপমাত্রা নিচে নেমে আসবে।
৬. বেশি করে পানি পান করুন
সারা দিন ঘন ঘন পানি পান করুন। তবে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক সাথে বেশি পরিমাণে পানি পান করা থেকে বিরত থাকুন।
একদিকে আপনি যেমন তৃষ্ণার্ত হয়ে ঘুম থেকে জাগতে চাইবেন না, ঠিক সেভাবে বেশি পরিমাণে পানি পান করে নিশ্চয়ই রাতে বেশ কয়েক বার বাথরুমে যাওয়া এড়াতে চাইবেন আপনি।
৭. কোমল পানীয়ের বিষয়ে সতর্ক থাকুন
কোমল পানীয় পান করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ কিছু কিছু কোমল পানীয়তে বেশি মাত্রায় ক্যাফেইন থাকে। এতে মানুষের মূল স্নায়ুতন্ত্রে উদ্দীপনা সৃষ্টি করার কারণে ঘুম আসে না।
৮. শান্ত থাকুন
ঘুম হচ্ছে না বলে উত্তেজিত হয়ে পড়লে ঘুম আরো দূরে চলে যাবে। তার চেয়ে এ ধরণের পরিস্থিতিতে শান্ত থাকার চেষ্টা করুন।
বই পড়া, লেখা এমনকি মোজা ভাঁজ করার মতো কাজও এ সময়ে শান্ত থাকতে সহায়তা করতে পারে।
তবে কোন ভাবেই মোবাইল ফোন ব্যবহার বা ভিডিও গেম খেলা যাবে না। কারণ নীল আলো ঘুমের সহায়ক নয় এবং এ ধরণের কর্মকাণ্ড উত্তেজক হিসেবে কাজ করে।
আর ঘুম আসলে সঙ্গে সঙ্গে বিছানায় চলে যেতে হবে।
৯. শিশুদের দিকে খেয়াল রাখুন
বলা হয় যে, সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ ঘুম হয় শিশুদের। তবে পরিবারের মধ্যে ছোট কিছুর পরিবর্তনও তাদের মধ্যে নিদ্রাহীনতা তৈরি করতে পারে।
গরমের কারণে ঘুম থেকে বঞ্চিত হয় শিশুরাও
তাই তাদের ঘুমাতে যাওয়ার এবং গোসল করার সময় ও অভ্যাসের দিকে খেয়াল রাখুন।
গরমের কারণে খুব বেশি ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল করানো যাবে না তাদের। কারণ এটি রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে শরীরের তাপমাত্রায় পরিবর্তন আনে।
ঘুমাতে যাওয়ার আগে কুসুম গরম পানিতে গোসল খুব ভালো ঘুমে সহায়ক।
শিশুরা যেহেতু বলতে পারে না তাই শিশু ঘুমালে তার কপাল, পিঠ এবং পেটে হাত দিয়ে দেখতে হবে যে সে অতিরিক্ত গরম অনুভব করছে কিনা।
১০. ঘুম নিয়ে দুশ্চিন্তা বন্ধ করুন
বেশিরভাগ মানুষেরই ঠিকঠাক ভাবে কাজ করতে হলে প্রতি রাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুম দরকার হয়।
কিন্তু ঘুম না হলে এটি নিয়ে দুশ্চিন্তা করে লাভ হবে না। মনে রাখতে হবে যে, পর পর এক-দুই রাত ঠিকভাবে ঘুম না হলেও বেশ ভালোভাবেই দৈনন্দিন কাজ করতে পারে মানুষ।
টানা নয়, কেনাকাটা সারুন বুঝে-শুনে
সোনামনিদের নিয়ে ঝক্কিহীন শপিং যেভাবে করবেন
ঈদ শপিংয়ে সতর্ক থাকুন
ইফতারে ঠান্ডা পানি পান ঝুঁকিপূর্ণ
ইফতারে সিদ্ধ ডিমে চাঙ্গা হোন
ইফতারে আনুন ভিন্নতা: ক্রিমি ফ্রুট ফিউশন
ইফতারে হালিম রেখেছেন কি?
ইফতারে খান বেলের শরবত
রোজায় সুস্থ থাকতে দই-চিড়া খান
রোজায় সুস্থ থাকতে মেনে চলবেন যে বিষয়গুলো
গুণের শেষ নেই ক্যাপসিকামে
বিটরুট হলো ‘সুপার ফুড’, তবে...
টমেটো খান, তবে অপরিমিত নয়
প্রতিদিন অন্তত একটি গাজর খান
দারুণ উপকারী দারুচিনি
সুস্থ থাকতে আদা খান
আগাছা হিসেবে জন্মালেও পুষ্টিগুণে ঠাঁসা বথুয়া শাক
মেথি শাকের জাদুকরী প্রভাব
পাট শাকে যেসব উপকার
পুষ্টিকর ও সুস্বাদু ডাঁটা শাক
রোজায় সুস্থ থাকতে চিয়া সিডের সঠিক ব্যবহার
গুণের অভাব নেই কলমি শাকে
অবহেলা করবেন না নুনে শাক
পুষ্টির খনি লাউ শাক
লাউ যেন এক মহৌষধ!
এই গরমে পাতে রাখুন পটোল
খেতে ভুলবেন না গিমা শাক
কাদা পানিতে জন্মালেও হেলেঞ্চা কিন্তু উপকারী
কচুর ছড়া বা কচুমুখির নানা গুণ
পুষ্টিগুণে ভরপুর কচুর লতি