হাতিকে সবচেয়ে বড় প্রাণী বলা হয়। এরা বন-পাহাড়ি এলাকায় দলবদ্ধভাবে থাকতে পছন্দ করে। আমাদের দেশে যে হাতিদের দেখা যায়, এরা হলো ‘এশীয় হাতি’। এছাড়াও আফ্রিকান প্রজাতীয় হাতিও রয়েছে। মানুষের মতো হাতিদের মধ্যেও অনুভূতি বিরাজমান।
মানুষের মধ্যে শোকের প্রকাশ হিসেবে কেউ কাঁদে, কেউবা চুপ করে বসে থাকে। মানুষের মতো অন্য অনেক প্রাণীও শোক প্রকাশ করে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, শোক প্রকাশের মাত্রা সবচেয়ে বেশি হাতিদের মধ্যে। মৃত্যুর শোক প্রকাশ করে হাতিরা।
হাতির শাবকের বা বাচ্চার মৃত্যুতে অনেকটা মানুষের মতো আচরণ করে এশীয় প্রজাতির হাতি। হাতিগুলো এদের শাবকের মৃত্যুতে শোকাহত হয়। চিৎকার করে শোক প্রকাশ করে। এমনকি শাবকের মরদেহ মাটিচাপা দেয়। ইদানিং প্রকাশিত ভারতের একটি গবেষণায় এমনটাই বলা হয়েছে।
জার্নাল অব থ্রেটেনড ট্যাক্সায় হাতির শোক নিয়ে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করা হয়েছে। সমীক্ষা অনুসারে গবেষকেরা ২০২২ ও ২০২৩ সালে সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তরাঞ্চলে বিশালাকার স্তন্যপায়ী প্রাণীদের আচরণ পর্যবেক্ষণ করেন। পাঁচটি হাতি শাবকের কবর শনাক্ত করেছেন গবেষকেরা।
গবেষকেরা বলেন, অবাক করা বিষয় হচ্ছে, হাতির শাবককে মাটিচাপা দেওয়ার আগে শুঁড় আর পা দিয়ে মরদেহ বেশ দূরে টেনে নেওয়া হয়েছে। পরে পা ওপরের দিকে দিয়ে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে।
গবেষণায় আরও বলা হয়, ‘হাতিগুলো যত্নশীল এবং সামাজিক প্রাণী। হাতির শাবকের মৃতদেহের পরীক্ষা শেষে আমাদের মনে হয়েছে, হাতির দলের একাধিক সদস্য একটি বা একাধিক পা ধরে তাদের মাটির গর্তে সযত্নে রেখেছে।’
জানা যায়,বিভিন্ন শাবক তিন মাস থেকে এক বছরের মধ্যে একাধিক অঙ্গপ্রত্যঙ্গের দুর্বলতার কারণে মারা যায়। হাতিরা মানুষের বাসস্থান থেকে কয়েক শ মিটার দূরে চা-বাগানের খালে তাদের শাবকদের মৃতদেহ সমাহিত করেছে।
গবেষণায় বলা হয়, হাতির পাল ৩০ থেকে ৪০ মিনিট জোরে জোরে চিৎকার করে, শুঁড়ে আওয়াজ করতে থাকে। চা-বাগানের অনেক নিরাপত্তারক্ষী তাদের আওয়াজ শুনেছেন বলে জানিয়েছেন। এর আগে শাবক কবর দেওয়ার বিষয়টি শুধু আফ্রিকান হাতিদের মধ্যে দেখা গিয়েছিল। পাঁচটি নমুনা কবর থেকে জানা যায়, মাটিতে কবর দেওয়ার ৪০ মিনিটের মধ্যে সেখান থেকে হাতিরা চলে যায়।
বিজ্ঞানী পারভীন কাসওয়ান ও আকাশদীপ রায় বলেন, ‘ডিজিটাল ফটোগ্রাফি, ফিল্ডনোট ও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের মাধ্যমে আমরা হাতির শোক প্রকাশের বিষয়টি বোঝার চেষ্টা করেছি। মৃত্যুর ভিন্ন কারণ থাকলেও দেখা যায় শাবকের মৃতদেহ একইভাবে সমাহিত করা হয়।
এক ভিডিও চিত্রে দেখা যায় শাবকের মৃতদেহের চারপাশে জোরে জোরে গর্জন করছে হাতি। আমাদের গবেষণায় পাঁচটি হাতি শাবকের মৃত্যুর পর কোনো মানুষের হস্তক্ষেপ পাওয়া যায়নি। কবর দেওয়ার আশপাশে ও মৃতদেহর ওপরের মাটিতে ১৫-২০টি হাতির পায়ের ছাপ স্পষ্ট দেখা গেছে।
ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচারের ভাষ্যে এশীয় হাতি বিপন্ন হিসেবে স্বীকৃত। তাদের মধ্যে আনুমানিক ২৬ হাজার হাতি বন্য অঞ্চলে বাস করে। বেশির ভাগ এশীয় হাতি ভারত ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বাস করে। বিবিসির তথ্য অনুসারে, বাংলাদেশে প্রায় দুই শর মতো এশীয় হাতি বাস করে।
টানা নয়, কেনাকাটা সারুন বুঝে-শুনে
সোনামনিদের নিয়ে ঝক্কিহীন শপিং যেভাবে করবেন
ঈদ শপিংয়ে সতর্ক থাকুন
ইফতারে ঠান্ডা পানি পান ঝুঁকিপূর্ণ
ইফতারে সিদ্ধ ডিমে চাঙ্গা হোন
ইফতারে আনুন ভিন্নতা: ক্রিমি ফ্রুট ফিউশন
ইফতারে হালিম রেখেছেন কি?
ইফতারে খান বেলের শরবত
রোজায় সুস্থ থাকতে দই-চিড়া খান
রোজায় সুস্থ থাকতে মেনে চলবেন যে বিষয়গুলো
গুণের শেষ নেই ক্যাপসিকামে
বিটরুট হলো ‘সুপার ফুড’, তবে...
টমেটো খান, তবে অপরিমিত নয়
প্রতিদিন অন্তত একটি গাজর খান
দারুণ উপকারী দারুচিনি
সুস্থ থাকতে আদা খান
আগাছা হিসেবে জন্মালেও পুষ্টিগুণে ঠাঁসা বথুয়া শাক
মেথি শাকের জাদুকরী প্রভাব
পাট শাকে যেসব উপকার
পুষ্টিকর ও সুস্বাদু ডাঁটা শাক
রোজায় সুস্থ থাকতে চিয়া সিডের সঠিক ব্যবহার
গুণের অভাব নেই কলমি শাকে
অবহেলা করবেন না নুনে শাক
পুষ্টির খনি লাউ শাক
লাউ যেন এক মহৌষধ!
এই গরমে পাতে রাখুন পটোল
খেতে ভুলবেন না গিমা শাক
কাদা পানিতে জন্মালেও হেলেঞ্চা কিন্তু উপকারী
কচুর ছড়া বা কচুমুখির নানা গুণ
পুষ্টিগুণে ভরপুর কচুর লতি