আমরা বাড়ি -গাড়ি বা নামিদামী বস্তু নিলাম হওয়া কথা জানি। বাজারে গরু, ছাগল বিক্রি হওয়া কথা জানি।কিন্তু কখনোও কি বাজারে নিলামের মাধ্যমে বউ বিক্রি হওয়ার কথা শুনেছি?
বর্তমান উন্নত দেশগুলোতে নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য অনেক আন্দোলনের কথা আমরা জানি,
কিন্তু তেমনি এক উন্নত দেশে নারীদেরকে নিয়ে করা হতো জঘন্যতম অপরাধ। নারীদের কোমড়ে আর গলায় দড়ি বেধে বাজারে নিলামের জন্য আনা হতো। বলছিলাম,ইংল্যান্ডের বউ নিলামি প্রথার কথা।
এ প্রথা কবে শুরু হয়েছিল তার সঠিক তথ্য এখনও জানা যায় নি।১৬৯২সালের নভেম্বরে জন নামের এ ব্যক্তি তার স্ত্রীকে মি.ব্রেস গার্ডেল নামক এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেয়। তবে এটির কোনো লিখিত তথ্য পাওয়া যায় নি।
লিখিত ভাবে, ১৭৩৩ সালে ইংল্যান্ডের বিলসটোন নামক এক গ্রামে সামুইল হোয়াইট হাউজ নামে এক ব্যক্তি তার স্ত্রী মেরী হোয়াইট হাউজকে থমাস গ্রীফিত নামক এক ব্যক্তির কাছে মাত্র ১পাউন্ডের বিনিময়ে বিক্রি করে দেয়,যার বর্তমান মূল্য মাত্র ১০০০-২০০০টাকা।
বউ বিক্রির আগে লোকাল খবরের কাগজে ,মহিলাদের বিভিন্ন বিষয় ও নূন্যতম মূল্যে উল্ল্যেখ করে বিজ্ঞাপন প্রচার করা হতো এবং নির্ধারিত দিনে সেই নারীদের বাজারে আনা হতো। তারপর নিলামের প্রক্রিয়া শুরু হতো।
যে ব্যক্তি সব থেকে বেশি দাম দিত, ইংরেজ পুরুষরা নিজের বিয়ে করা স্ত্রীকে তুলে দিত সে ব্যক্তির হাতে। বেশির ভাগক্ষেত্রেই নারীদের সর্বোচ্চ মূল্য ১০পাউন্ড হতো। তবে নারী যদি অল্প বয়স্ক বা সুন্দরী হতেন সেক্ষেত্রে দাম ১০০-২০০পাউন্ডও হতো। নিলামের শেষে নারীর সম্মতি নেয়া হতো যে, সে ওই পুরুষের কাছে বিক্রিত হতে চায় কি না।
১৮২৪ সালে এক সংবাদত্রে প্রকাশিত হয়েছে,এক নারীর দাম নিলামে ৫পাউন্ড উঠে ছিল,কিন্তু ক্রেতাকে তার পছন্দ হয়েনি বলে , তিনি তার পছন্দের এক ব্যক্তির সাথে যেতে সম্মতি প্রকাশ করেন। সে ব্যক্তি নিলামে তার দাম তুলেছিল ৩পাউন্ড। অনেক সয়ম স্ত্রীরা নিজে থেকেই নিলামে উঠতে চাইতো। কিন্তু এমন প্রথার কারণ কি?
বর্তমানে আমাদের সমাজে যেমন বিয়ে হয় ,তেমনি বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনাও ঘটে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্কের বোঝাপরা না মিললে ,তারা আদালতে গিয়ে আইনগত ভাবে আলাদা হয়ে যায়। কিন্তু আজ থেকে প্রায় ২০০বছর আগে বিবাহ বিচ্ছেদ খুব ব্যয়বহুল ছিল। প্রায় ৩০০পাউন্ড খরচ হতো শুধু মাত্র বিচ্ছেদের আবেদন করতেই। যার বর্তমান মূল্য প্রায় ২০লক্ষ টাকা।তাই তাদের মতে তালাক নেওয়ার থেকে বউ বিক্রি করা সহজ আর লাভ জনক ছিল।
আর ইংরেজদের বিবাহের যে আইন ছিল তার উপর ভিত্তি করে স্বামীরা তার স্ত্রীদের উপর সব রকমের অধিকার খাটাতে পারতো আর সে অধিকার থেকেই ইংরেজ স্বামীরা তার স্ত্রীদের নিলামে তুলতো। তবে নতুন স্বামীর কাছে নারীরা কতোটা সুরক্ষিত ছিল সেটা নিয়ে থাকতো যথেষ্ট সন্দেহ ।
বউ নিলামের শুরুর দিকে ইংল্যান্ডের ইমেজে তেমন একটি প্রভাব না পরলেও পরবর্তীতে এটি ইংল্যান্ডের ইমেজকে খুব খারাপ প্রভাব ফেলেছিল। তাই ইংল্যান্ডের সরকার ১৮৫৭ সালে বিবাহ বিচ্ছেদের আইনটি সহজ করে দেয়। তবে বহু দিন বউ নিলামের প্রথা থাকায় এটি আরও বেশ কিছু সময় প্রচলিত ছিল।
টানা নয়, কেনাকাটা সারুন বুঝে-শুনে
সোনামনিদের নিয়ে ঝক্কিহীন শপিং যেভাবে করবেন
ঈদ শপিংয়ে সতর্ক থাকুন
ইফতারে ঠান্ডা পানি পান ঝুঁকিপূর্ণ
ইফতারে সিদ্ধ ডিমে চাঙ্গা হোন
ইফতারে আনুন ভিন্নতা: ক্রিমি ফ্রুট ফিউশন
ইফতারে হালিম রেখেছেন কি?
ইফতারে খান বেলের শরবত
রোজায় সুস্থ থাকতে দই-চিড়া খান
রোজায় সুস্থ থাকতে মেনে চলবেন যে বিষয়গুলো
গুণের শেষ নেই ক্যাপসিকামে
বিটরুট হলো ‘সুপার ফুড’, তবে...
টমেটো খান, তবে অপরিমিত নয়
প্রতিদিন অন্তত একটি গাজর খান
দারুণ উপকারী দারুচিনি
সুস্থ থাকতে আদা খান
আগাছা হিসেবে জন্মালেও পুষ্টিগুণে ঠাঁসা বথুয়া শাক
মেথি শাকের জাদুকরী প্রভাব
পাট শাকে যেসব উপকার
পুষ্টিকর ও সুস্বাদু ডাঁটা শাক
রোজায় সুস্থ থাকতে চিয়া সিডের সঠিক ব্যবহার
গুণের অভাব নেই কলমি শাকে
অবহেলা করবেন না নুনে শাক
পুষ্টির খনি লাউ শাক
লাউ যেন এক মহৌষধ!
এই গরমে পাতে রাখুন পটোল
খেতে ভুলবেন না গিমা শাক
কাদা পানিতে জন্মালেও হেলেঞ্চা কিন্তু উপকারী
কচুর ছড়া বা কচুমুখির নানা গুণ
পুষ্টিগুণে ভরপুর কচুর লতি