মঙ্গলবার ১৪ জানু ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বঙ্গাব্দ
আন্তর্জাতিক

যেভাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করা হয়

কেবি ২৮ অক্টোবার ২০২৪ ১০:৩৬ এ.এম

আগামী ৫ নভেম্বর ভোট দেবেন দেশটির নাগরিকের যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আগামী ৫ নভেম্বর ভোট দেবেন দেশটির নাগরিকেরা। এ নির্বাচন কীভাবে অনুষ্ঠিত হয়, তা নিয়ে কিছু প্রশ্নের উত্তর থাকছে এই লেখায়। খবর: ডয়েচে ভেলের।

কারা প্রার্থী হতে পারেন
সংবিধান অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হতে তিনটি শর্ত পূরণ করতে হবে। প্রার্থীকে জন্মসূত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হতে হবে, বয়স হতে হবে অন্তত ৩৫ বছর এবং ১৪ বছর যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করতে হবে। তবে মার্কিন সেনাবাহিনীর সদস্যদের জন্য শেষ শর্তটির ব্যতিক্রম রয়েছে।

প্রার্থীদের যোগ্যতা
ইলিনয় স্টেটের ডেপল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ওয়েন স্টেগার ডয়চে ভেলেকে বলেন, যেকোনো প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে পারেন। এমনকি অপরাধী সাব্যস্ত হওয়া ব্যক্তিরও প্রার্থী হতে বাধা নেই। স্টেগার জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে প্রকৃতপক্ষে আলাদা বিধান রয়েছে। যাতে রাজনৈতিক বন্দীরা প্রার্থী হওয়া থেকে বঞ্চিত না হন।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ১৪তম সংশোধনীতে রাজনৈতিক পদে থাকা ব্যক্তি দেশের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে যুক্ত হলে বা শত্রুদের সহায়তা করলে তিনি প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে পারবেন না। কিন্তু আসন্ন নির্বাচনে এই ধারার প্রভাবের সম্ভাবনা তেমন দেখছেন না স্টেগার।

প্রাইমারি ও ককাস কী?
নির্বাচনে লড়াইয়ে উন্মুক্ত থাকলেও প্রাইমারি ও ককাসের মাধ্যমে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীর সংখ্যা কমিয়ে আনা হয়। এই দুই পদ্ধতির মাধ্যমে দলগুলো তাদের প্রার্থী বাছাই করে। নির্বাচনী বছরের বসন্তের শুরুর দিকে অঙ্গরাজ্য পর্যায়ে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। স্বাধীনভাবে কেউ প্রার্থী না হলে কোনো একটি রাজনৈতিক দলের অধীনে তাঁকে নিজ অঙ্গরাজ্যে নিবন্ধন করতে হয়।

প্রাইমারিতে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে দলের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ককাস প্রক্রিয়াটি আরও জটিল। এ জন্য অঙ্গরাজ্যগুলোতে রাজনৈতিক দলের সদস্যরা একত্র হন। সেখানে তাঁরা ভোটাভুটির মাধ্যমে নিজেদের প্রার্থী বাছাই করেন। অঙ্গরাজ্য ও দলভেদে প্রাইমারি ও ককাসের ভিন্নতা থাকলেও মূল লক্ষ্য একই। প্রার্থীর সমর্থন নির্ধারণ ও সাধারণ নির্বাচনের জন্য একজন প্রার্থী বাছাই করা।

জাতীয় কনভেনশনের ভূমিকা
অঙ্গরাজ্য পর্যায়ে প্রাইমারি ও ককাস শেষ হলে রাজনৈতিক দলগুলো জাতীয় কনভেনশনের (সম্মেলন) মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ও তার রানিংমেট বা ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বাছাই করে।

কনভেনশনে যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি রাজ্য থেকে আসা ডেলিগেটরা (প্রতিনিধি) প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বাছাইয়ে ভোট দেন। একজন প্রার্থীকে মনোনয়ন পেতে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পেতে হয়।

ডেলিগেটদের মধ্যেও দুটি ভাগ রয়েছে। ডেমোক্র্যাটদের ক্ষেত্রে বলা হয় প্লেজড বা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আনপ্লেজড বা অপ্রতিশ্রুতিবদ্ধ। রিপাবলিকানদের ক্ষেত্রে বাউন্ড বা বাধ্যতামূলক এবং আনবাউন্ড বা বাধ্যতামূলক নন। প্রতিশ্রুতিবদ্ধ/বাধ্যতামূলক ডেলিগেটরা অঙ্গরাজ্য পর্যায়ে প্রাইমারিতে জিতে আসা প্রার্থীদেরই শুধু ভোট দিতে পারেন।

চলতি বছরের জুলাইতে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নির্বাচনে নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে সমর্থন দেন। 

নির্বাচনে কী ঘটে
নির্বাচনের দিনে দেশজুড়ে কয়েক হাজার শহরে ভোট গ্রহণ চলে। জাতীয় কনভেনশনের পরই নির্বাচনের উত্তাপ শুরু হয়। নিবন্ধিত যেকোনো মার্কিন নাগরিক এই নির্বাচনে ভোট দিতে পারেন।

ইলেকটোরাল কলেজ
সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট নয়, বরং মার্কিন প্রেসিডেন্ট কে হবেন, তা নির্ধারণ করে ‘ইলেকটোরাল কলেজ’। ইলেকটোরাল কলেজ নামের ব্যবস্থায় ৫৩৮ জন ইলেকটর নির্বাচিত হন। তারাই শেষমেশ নির্ধারণ করবেন, যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট কে হবেন।

ইলেকটোরাল কলেজে ৫০টি অঙ্গরাজ্যের নির্দিষ্টসংখ্যক প্রতিনিধি থাকবেন। যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের উভয় কক্ষ মিলিয়ে রাজ্যটির যত প্রতিনিধি, সেটাই হলো তার ইলেকটরদের সংখ্যা।

হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসে (কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ) একটি রাজ্যের প্রতিনিধি সংখ্যা নির্ভর করে রাজ্যটির জনসংখ্যার ওপর। অপর দিকে সিনেটে প্রতি রাজ্যের দুটি করে আসন থাকে। সব মিলিয়ে ৫০টি রাজ্যের ৪৩৫ জন রিপ্রেজেন্টেটেটিভ ও সেই সঙ্গে ১০০ জন সিনেটর। 

নির্বাচনে জিততে হলে কোনো প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে সংখ্যাগরিষ্ঠ বা অন্তত ২৭০টি ইলেকটোরাল ভোট পেতে হবে।

মেইন আর নেব্রাস্কা ছাড়া বাকি অঙ্গরাজ্যগুলোতে ‘উইনার টেকস অল’ ভিত্তিতে ইলেকটোরাল ভোট নির্ধারিত হয়। অর্থাৎ কোনো প্রেসিডেন্ট প্রার্থী যে রাজ্যে এগিয়ে থাকবেন, তিনি সেই রাজ্যের সব কজন ইলেকটরের সমর্থন পাবেন।

এই সম্পর্কিত আরও খবর

আরও খবর

news image

ট্রাম্পের শপথের আগ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রমুখী অভিবাসী ঢল

news image

শেখ হাসিনাকে আমৃত্যু ভারতে থাকতে দেওয়া উচিত : কংগ্রেস নেতা শংকর

news image

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় আরও ৩২ ফিলিস্তিনি নিহত

news image

১৯ সন্তানের মা হয়েও সৌদি নারীর ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন 

news image

ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত, মিরাটে একই পরিবারের ৫ জন খুন

news image

টিউলিপ সিদ্দিক হারাতে পারেন মন্ত্রিত্ব

news image

দাবানলের তাণ্ডবে পুড়ছে ক্যালিফোর্নিয়া, সরানো হয়েছে ১ লাখ ৩৭ হাজার মানুষ

news image

লস অ্যাঞ্জেলেসে ভয়াবহ দাবানল: পুড়েছে ঘরবাড়ি, নিহত ৫

news image

কানাডাকে যুক্ত করে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন মানচিত্র প্রকাশ ট্রাম্পের

news image

যুক্তরাষ্ট্রের অংশ হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই কানাডার : জাস্টিন ট্রুডো

news image

লস অ্যাঞ্জেলেসে বিধ্বংসী দাবানল, জরুরি অবস্থা ঘোষণা

news image

৬.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে তিব্বতের পার্বত্য অঞ্চলে ধ্বংসযজ্ঞ

news image

চীনের তিব্বতে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৩

news image

গাজায় ইসরাইলের হামলায় নিহতের সংখ্যা ৪৫ হাজার ছাড়াল

news image

আফগান-পাকিস্তান বাহিনীর ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ 

news image

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একই পরিবারের ১১ জন নিহত

news image

শেষ বিদেশ সফরে যে সব দেশে যাচ্ছেন ব্লিঙ্কেন

news image

যুক্তরাষ্ট্রে বাণিজ্যিক ভবনের ওপর বিমান বিধ্বস্ত, নিহত ২

news image

৭ মে থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভ্যন্তরীণ ভ্রমণে প্রয়োজন ‘রিয়েল আইডি’

news image

বর্ণিল আয়োজনে নতুন বছরকে স্বাগত জানালো বিশ্ব

news image

অর্থনীতিকে চাঙা করতে ২০২৫ সালে আরও সক্রিয় পদক্ষেপের ঘোষণা শি জিনপিংয়ের

news image

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

news image

সৌদি আরবে আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ২৩ হাজারের বেশি অভিবাসী গ্রেফতার

news image

১০০ বছর বয়সে কার্টারের মৃত্যু

news image

দক্ষিণ কোরিয়ায় বিমান বিধ্বস্তে দুজন ছাড়া সবাই নিহত

news image

গাজায় ধ্বংসস্তূপে আটকা হাজারো প্রাণ

news image

জার্মানির পার্লামেন্ট ভেঙে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা

news image

ইসরায়েলি হামলায় গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতালের কাছে নিহত ৫০

news image

ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং মারা গেছেন

news image

ভারতের মহারাষ্ট্রে ১৭ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার