মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বঙ্গাব্দ
আন্তর্জাতিক

যেভাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করা হয়

কেবি ২৮ অক্টোবার ২০২৪ ১০:৩৬ এ.এম

আগামী ৫ নভেম্বর ভোট দেবেন দেশটির নাগরিকের যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আগামী ৫ নভেম্বর ভোট দেবেন দেশটির নাগরিকেরা। এ নির্বাচন কীভাবে অনুষ্ঠিত হয়, তা নিয়ে কিছু প্রশ্নের উত্তর থাকছে এই লেখায়। খবর: ডয়েচে ভেলের।

কারা প্রার্থী হতে পারেন
সংবিধান অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হতে তিনটি শর্ত পূরণ করতে হবে। প্রার্থীকে জন্মসূত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হতে হবে, বয়স হতে হবে অন্তত ৩৫ বছর এবং ১৪ বছর যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করতে হবে। তবে মার্কিন সেনাবাহিনীর সদস্যদের জন্য শেষ শর্তটির ব্যতিক্রম রয়েছে।

প্রার্থীদের যোগ্যতা
ইলিনয় স্টেটের ডেপল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ওয়েন স্টেগার ডয়চে ভেলেকে বলেন, যেকোনো প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে পারেন। এমনকি অপরাধী সাব্যস্ত হওয়া ব্যক্তিরও প্রার্থী হতে বাধা নেই। স্টেগার জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে প্রকৃতপক্ষে আলাদা বিধান রয়েছে। যাতে রাজনৈতিক বন্দীরা প্রার্থী হওয়া থেকে বঞ্চিত না হন।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ১৪তম সংশোধনীতে রাজনৈতিক পদে থাকা ব্যক্তি দেশের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে যুক্ত হলে বা শত্রুদের সহায়তা করলে তিনি প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে পারবেন না। কিন্তু আসন্ন নির্বাচনে এই ধারার প্রভাবের সম্ভাবনা তেমন দেখছেন না স্টেগার।

প্রাইমারি ও ককাস কী?
নির্বাচনে লড়াইয়ে উন্মুক্ত থাকলেও প্রাইমারি ও ককাসের মাধ্যমে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীর সংখ্যা কমিয়ে আনা হয়। এই দুই পদ্ধতির মাধ্যমে দলগুলো তাদের প্রার্থী বাছাই করে। নির্বাচনী বছরের বসন্তের শুরুর দিকে অঙ্গরাজ্য পর্যায়ে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। স্বাধীনভাবে কেউ প্রার্থী না হলে কোনো একটি রাজনৈতিক দলের অধীনে তাঁকে নিজ অঙ্গরাজ্যে নিবন্ধন করতে হয়।

প্রাইমারিতে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে দলের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ককাস প্রক্রিয়াটি আরও জটিল। এ জন্য অঙ্গরাজ্যগুলোতে রাজনৈতিক দলের সদস্যরা একত্র হন। সেখানে তাঁরা ভোটাভুটির মাধ্যমে নিজেদের প্রার্থী বাছাই করেন। অঙ্গরাজ্য ও দলভেদে প্রাইমারি ও ককাসের ভিন্নতা থাকলেও মূল লক্ষ্য একই। প্রার্থীর সমর্থন নির্ধারণ ও সাধারণ নির্বাচনের জন্য একজন প্রার্থী বাছাই করা।

জাতীয় কনভেনশনের ভূমিকা
অঙ্গরাজ্য পর্যায়ে প্রাইমারি ও ককাস শেষ হলে রাজনৈতিক দলগুলো জাতীয় কনভেনশনের (সম্মেলন) মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ও তার রানিংমেট বা ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বাছাই করে।

কনভেনশনে যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি রাজ্য থেকে আসা ডেলিগেটরা (প্রতিনিধি) প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বাছাইয়ে ভোট দেন। একজন প্রার্থীকে মনোনয়ন পেতে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পেতে হয়।

ডেলিগেটদের মধ্যেও দুটি ভাগ রয়েছে। ডেমোক্র্যাটদের ক্ষেত্রে বলা হয় প্লেজড বা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আনপ্লেজড বা অপ্রতিশ্রুতিবদ্ধ। রিপাবলিকানদের ক্ষেত্রে বাউন্ড বা বাধ্যতামূলক এবং আনবাউন্ড বা বাধ্যতামূলক নন। প্রতিশ্রুতিবদ্ধ/বাধ্যতামূলক ডেলিগেটরা অঙ্গরাজ্য পর্যায়ে প্রাইমারিতে জিতে আসা প্রার্থীদেরই শুধু ভোট দিতে পারেন।

চলতি বছরের জুলাইতে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নির্বাচনে নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে সমর্থন দেন। 

নির্বাচনে কী ঘটে
নির্বাচনের দিনে দেশজুড়ে কয়েক হাজার শহরে ভোট গ্রহণ চলে। জাতীয় কনভেনশনের পরই নির্বাচনের উত্তাপ শুরু হয়। নিবন্ধিত যেকোনো মার্কিন নাগরিক এই নির্বাচনে ভোট দিতে পারেন।

ইলেকটোরাল কলেজ
সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট নয়, বরং মার্কিন প্রেসিডেন্ট কে হবেন, তা নির্ধারণ করে ‘ইলেকটোরাল কলেজ’। ইলেকটোরাল কলেজ নামের ব্যবস্থায় ৫৩৮ জন ইলেকটর নির্বাচিত হন। তারাই শেষমেশ নির্ধারণ করবেন, যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট কে হবেন।

ইলেকটোরাল কলেজে ৫০টি অঙ্গরাজ্যের নির্দিষ্টসংখ্যক প্রতিনিধি থাকবেন। যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের উভয় কক্ষ মিলিয়ে রাজ্যটির যত প্রতিনিধি, সেটাই হলো তার ইলেকটরদের সংখ্যা।

হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসে (কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ) একটি রাজ্যের প্রতিনিধি সংখ্যা নির্ভর করে রাজ্যটির জনসংখ্যার ওপর। অপর দিকে সিনেটে প্রতি রাজ্যের দুটি করে আসন থাকে। সব মিলিয়ে ৫০টি রাজ্যের ৪৩৫ জন রিপ্রেজেন্টেটেটিভ ও সেই সঙ্গে ১০০ জন সিনেটর। 

নির্বাচনে জিততে হলে কোনো প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে সংখ্যাগরিষ্ঠ বা অন্তত ২৭০টি ইলেকটোরাল ভোট পেতে হবে।

মেইন আর নেব্রাস্কা ছাড়া বাকি অঙ্গরাজ্যগুলোতে ‘উইনার টেকস অল’ ভিত্তিতে ইলেকটোরাল ভোট নির্ধারিত হয়। অর্থাৎ কোনো প্রেসিডেন্ট প্রার্থী যে রাজ্যে এগিয়ে থাকবেন, তিনি সেই রাজ্যের সব কজন ইলেকটরের সমর্থন পাবেন।

আরও খবর

news image

যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক ‘সম্পূর্ণ বাতিল’ চায় চীন

news image

ইরানে ৮ পাকিস্তানিকে গুলি করে হত্যা

news image

এবার মার্কিন পণ্যের শুল্ক বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ করলো চীন

news image

নিউইয়র্কে নদীতে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, শিশুসহ ৬ জনের প্রাণহানি

news image

ডোমিনিকান রিপাবলিকে নাইট ক্লাবের ছাদ ধসে নিহত ৬৬, আহত ১৫৫

news image

৩ জুন অনুষ্ঠিত হবে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

news image

বিশ্বের প্রভাবশালী ৫০ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ

news image

নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক শেষে যা জানালেন ট্রাম্প

news image

গাজা থেকে রকেট হামলায় ইসরায়েলি শহরে আতঙ্ক

news image

ইসরায়েলকে শক্তিশালী করছে কারা? মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর দ্বিমুখী ভূমিকা

news image

আরব বিশ্বের নীরবতা, গাজার পাশে দাঁড়ালো আমেরিকা

news image

‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’ স্লোগানে মুখর যুক্তরাষ্ট্রের রাজপথ

news image

গাজায় ১৫ স্বাস্থ্যকর্মীর হত্যার ঘটনায় ভুল স্বীকার ইসরাইলের

news image

বাংলাদেশসহ ১৩ দেশের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা সৌদির

news image

ওড়িশায় বাংলাদেশি পর্যটকবাহী বাস দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ১৫

news image

গাজায় প্রতিদিন ১০০ শিশু হতাহতের শিকার : জাতিসংঘ

news image

ইউক্রেনে রাশিয়ান বাহিনীর হামলায় নিহত ১৮ 

news image

সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট আয়ারল্যান্ডের

news image

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ১১২ ফিলিস্তিনি নিহত

news image

সাংবিধানিক লঙ্ঘনের দায়ে প্রেসিডেন্ট ইউনের বিদায়

news image

দক্ষিণ এশিয়ার কোন দেশে কত শুল্ক আরোপ করল যুক্তরাষ্ট্র

news image

নরেন্দ্র মোদির অবসর নিয়ে জল্পনা, উত্তরসূরি নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে

news image

ভারতে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তে পাইলটের মৃত্যু

news image

মিয়ানমারে ভূমিকম্পে প্রাণহানি বেড়ে ২৮৮৬ জন

news image

পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জারদারি করোনায় আক্রান্ত

news image

গাজার ‘বিস্তৃত এলাকা’ দখলের পরিকল্পনা ইসরাইলের

news image

মার্কিন পরিকল্পনায় বাধা: উপসাগরীয় মিত্রদের নিষেধাজ্ঞা

news image

মিয়ানমারে ৭ দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা

news image

প্রধান উপদেষ্টাকে ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন মোদি

news image

সৌদিসহ ১১ দেশে আজ ঈদ