বুধবার ১৬ এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বঙ্গাব্দ
লাইফস্টাইল

দাজ্জাল পৃথিবীতে আসার আর কত দিন বাকি আছে?

নিউজ ডেক্স ০১ মার্চ ২০২৪ ০৩:১৭ পি.এম

সকল নবী ও রাসূলগন  যার ভয়াবহতা সম্পর্কে তাদের উম্মতকে সতর্ক করেছেন। এবং তিনি দেখতে  খুব ভয়ঙ্কর হবেন। তার ডান চোখটি হবে অন্ধ।এটি  যেন ঝুলে থাকা ফোলা আঙ্গুর। বাম চোখটি হবে  ত্রুটিপূর্ণ তবুও এই চোখ দিয়ে সেসব দেখতে পারবে।বলছিলাম আখেরী যামানায় কিয়ামতের নিকটবর্তী সময়ে মিথ্যুক দাজ্জালের কথা।
কেয়ামতের দশটি আলামতের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভয়াবহ প্রধান আলামত হল দাজ্জালের  আগমন। ইসলাম ধর্মানুযায়ী  ইমাম মাহদী আসার পরেই সবচেয়ে বড় যে লক্ষণ প্রকাশ  পাওয়া যাবে তা হলো দাজ্জাল। এখন প্রশ্ন হল  দাজ্জালের আগমন কি ঘনিয়ে  এসেছে,দাজ্জাল  কোথায় আছে এবং কি অবস্থায় আছে? 
করোনাভাইরাস চলাকালীন নানা গুজব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে। এ সব গুজবের ভেতর একটি হচ্ছে দাজ্জাল বেরিয়ে পড়েছে। একদল আলেমগণের মতে, দাজ্জাল জীবিত আছে এবং আল্লাহ তায়ালার নির্দেশে কোথাও বন্দী আছে। অন্য দলের মতে, ৩০ বছর পর্যন্ত  নিঃসন্তান  এমন এক দম্পতির ঘরের জন্ম নিবেন দাজ্জাল, তার কপালের মাঝে লেখা থাকবে কাফ্ফারা বা কাফির। কোন ঈমানদার শিক্ষিত বা অশিক্ষিত লোক ছাড়া সে লেখা আর কেউ দেখতে পারবে না।
দাজ্জাল বের হওয়ার স্থান সম্পর্কেও রাসূল (সা.) বর্ণনা দিয়েছেন। সে পূর্ব দিকের পারস্য দেশ থেকে বের হবে। সে স্থানটির নাম হবে খোরাসান। সেখান থেকে বের হয়ে সমগ্র দুনিয়া ভ্রমণ করবে। তবে মক্কা এবং মদীনায় প্রবেশ করতে পারবেনা। ফেরেশতাগণ সেদিন মক্কা-মদীনার প্রবেশ পথসমূহে তরবারি নিয়ে পাহারা দিবে। নবী (সা.) বলেন- “পূর্বের কোন একটি দেশ থেকে দাজ্জালের আবির্ভাব ঘটবে যার বর্তমান নাম খোরাসানমুমিন।
সে সময় মদীনা শরীফ তিনবার কেঁপে উঠবে এবং প্রত্যেক মুনাফেক এবং কাফেরকে বের করে দিবে। যারা দাজ্জালের নিকট যাবে এবং তার ফিতনায় পড়বে তাদের অধিকাংশই হবে মহিলা। দাজ্জালের ফিতনা থেকে বাঁচানোর জন্য পুরুষেরা তাদের স্ত্রী, মা, বোন, কন্যাসহ অন্য মহিলাদেরকে রশি দিয়ে বেঁধে রাখবে।
দাজ্জাল ২৫ বা তার চেয়ে কম বয়সের তরতাজা যুবক হবে ।নবী (সা.) দাজ্জালকে স্বপ্নে দেখে তার শারীরিক গঠনের বর্ণনাও  করেছেন। তিনি বলেন- দাজ্জাল হবে বৃহদাকার একজন যুবক পুরুষ, শরীরের রং হবে লাল, বেঁটে, মাথার চুল হবে কোঁকড়া, কপাল হবে উঁচু, বক্ষ হবে প্রশস্ত, চক্ষু হবে টেরা এবং আঙ্গুর ফলের মত উঁচু। দাজ্জাল নির্বংশ হবে। তার কোন সন্তান থাকবেনা ।
দাজ্জালের  বিশেষ কিছু ক্ষমতা থাকবে। দাজ্জাল তার এক হাতে থাকবে জান্নাত আর অন্য হাতে থাকবে জাহান্নাম।তবে তার জান্নাত হবে জাহান্নাম আর জান্নাত হবে জাহান্নাম। দাজ্জাল নিজেকে প্রভু ও আল্লাহ হিসেবে দাবী করবে। আদম সৃষ্টি থেকে কিয়ামত পর্যন্ত মানব জাতির জন্য দাজ্জালের চেয়ে বড় ফিতনা আর নেই। সে এমন অলৌকিক বিষয় দেখাবে যা দেখে মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়বে। কিন্তু কবরের মানুষও কি দাজ্জালের ফেতনায় পড়বে?
দাজ্জাল মৃত ব্যক্তিকে জীবিত করতে পারবে। দাজ্জাল তার কর্মকান্ডে শয়তানের সহযোগীতা নিবে। শয়তান কেবল মিথ্যা ও গোমরাহী এবং কুফরী কাজেই সাহায্য করে থাকে। তবে যারা দাজ্জালের আগমনের আগে মারা যাবে; সেসব কবরের লোকজনকে দাজ্জালের ফেতনা স্পর্শ করতে পারবে না। এমনকি জড় পদার্থ ও পশুরাও দাজ্জালের ডাকে সাড়া দেবে।
 দাজ্জালের আগমণের পূর্বে মুসলমানদের অবস্থা খুব ভাল থাকবে। তারা পৃথিবীতে শক্তিশালী এবং বিজয়ী থাকবে। সম্ভবতঃ এই শক্তির পতন ঘটানোর জন্যই দাজ্জালের আবির্ভাব ঘটবে। সাহাবীগণ রাসূল (সা.)কে জিজ্ঞেস করেছেন দাজ্জাল পৃথিবীতে কত দিন অবস্থান করবে? উত্তরে তিনি বলেছেন- সে চল্লিশ দিন অবস্থান করবে। প্রথম দিনটি হবে এক বছরের মত লম্বা। দ্বিতীয় দিনটি হবে এক মাসের মত। তৃতীয় দিনটি হবে এক সপ্তাহের মত। আর বাকী দিনগুলো দুনিয়ার স্বাভাবিক দিনের মতই হবে। 
নবী (সা.) বললেনঃ দাজ্জাল ছাড়া তোমাদের উপর আমার আরো ভয় রয়েছে। আমি তোমাদের মাঝে জীবিত থাকতেই যদি দাজ্জাল আগমণ করে তাহলে তোমাদেরকে ছাড়া আমি একাই তার বিরুদ্ধে ঝগড়া করবো। আর আমি চলে যাওয়ার পর যদি সে আগমণ করে তাহলে প্রত্যেক ব্যক্তিই নিজেকে হেফাযত করবে। আর আমি চলে গেলে আল্লাহই প্রতিটি মুসলিমকে হেফাযতকারী হিসেবে যথেষ্ট ।
সহীহ হাদীছের বিবরণ অনুযায়ী ঈসা ইবনে মারইয়াম (আঃ)এর হাতে দাজ্জাল নিহত হবে। সমগ্র দুনিয়ায় তার ফিতনা ছড়িয়ে পড়বে। সামান্য সংখ্যক মুমিনই তার ফিতনা থেকে রেহাই পাবে। ঠিক সে সময় দামেস্ক শহরের পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত এক মসজিদের সাদা মিনারের উপর ঈসা (আঃ) আকাশ থেকে অবতরণ করবেন। মুসলমানগণ তার পার্শ্বে একত্রিত হবে। তাদেরকে সাথে নিয়ে তিনি দাজ্জালের দিকে রওনা দিবেন। 
দাজ্জাল সে সময় বায়তুল মাকদিসের দিকে অগ্রসর হতে থাকবে। অতঃপর ঈসা (আঃ) ফিলিস্তীনের লুদ্দ শহরের গেইটে দাজ্জালের সম্মুখীন হবেন। ঈসা (আঃ) কে দেখে সে পানিতে লবন গলার ন্যায় গলতে শুরু করবে। ঈসা (আঃ) তাকে লক্ষ্য করে বলবেনঃ “তোমাকে আমি একটি আঘাত করবো যা থেকে তুমি কখনও রেহাই পাবেনা।মুমিন ঈসা (আঃ) তাকে বর্শা দিয়ে আঘাত করবেন। অতঃপর মুসলমানেরা তাঁর নেতৃত্বে ইহুদীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে। 
মুসলমানদের হাতে দাজ্জালের বাহিনী ইহুদীর দল পরাজিত হবে। গাছের আড়ালে পালানোর চেষ্টা করলে ,সকল গাছ বলবেঃ হে মুসলিম! আসো, আমার পিছনে একজন ইহুদী  লুকিয়ে আছে। আসো এবং তাকে হত্যা কর। তবে গারকাদ নামক গাছ ইহুদীদেরকে গোপন করার চেষ্টা করবে। কেননা সেটি ইহুদীদের বৃক্ষ বলে পরিচিত।

এই সম্পর্কিত আরও খবর

আরও খবর

news image

টানা নয়, কেনাকাটা সারুন বুঝে-শুনে

news image

সোনামনিদের নিয়ে ঝক্কিহীন শপিং যেভাবে করবেন

news image

ঈদ শপিংয়ে সতর্ক থাকুন

news image

ইফতারে ঠান্ডা পানি পান ঝুঁকিপূর্ণ

news image

ইফতারে সিদ্ধ ডিমে চাঙ্গা হোন

news image

ইফতারে আনুন ভিন্নতা: ক্রিমি ফ্রুট ফিউশন

news image

ইফতারে হালিম রেখেছেন কি?

news image

ইফতারে খান বেলের শরবত

news image

রোজায় সুস্থ থাকতে দই-চিড়া খান

news image

রোজায় সুস্থ থাকতে মেনে চলবেন যে বিষয়গুলো

news image

গুণের শেষ নেই ক্যাপসিকামে

news image

বিটরুট হলো ‘সুপার ফুড’, তবে...

news image

টমেটো খান, তবে অপরিমিত নয়

news image

প্রতিদিন অন্তত একটি গাজর খান

news image

দারুণ উপকারী দারুচিনি

news image

সুস্থ থাকতে আদা খান

news image

আগাছা হিসেবে জন্মালেও পুষ্টিগুণে ঠাঁসা বথুয়া শাক

news image

মেথি শাকের জাদুকরী প্রভাব

news image

পাট শাকে যেসব উপকার

news image

পুষ্টিকর ও সুস্বাদু ডাঁটা শাক

news image

রোজায় সুস্থ থাকতে চিয়া সিডের সঠিক ব্যবহার

news image

গুণের অভাব নেই কলমি শাকে

news image

অবহেলা করবেন না নুনে শাক

news image

পুষ্টির খনি লাউ শাক

news image

লাউ যেন এক মহৌষধ!

news image

এই গরমে পাতে রাখুন পটোল

news image

খেতে ভুলবেন না গিমা শাক

news image

কাদা পানিতে জন্মালেও হেলেঞ্চা কিন্তু উপকারী

news image

কচুর ছড়া বা কচুমুখির নানা গুণ

news image

পুষ্টিগুণে ভরপুর কচুর লতি