খাগড়াছড়িতে তৃতীয় দিনের সড়ক অবরোধ স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন

কেবি ২৩ সেপ্টেম্বার ২০২৪ ০৫:৫০ পি.এম

খাগড়াছড়িতে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : খাগড়াছড়িতে একটি হত্যাকান্ডকে পুঁজি করে পাহাড়ি বাঙ্গালীদের মধ্যে সংঘাতের প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ উপজাতিয় ছাত্র-জনতার ডাকা ৭২ ঘণ্টার অবরোধ চলছে। টানা অবরোধে স্থবির হয়ে পড়েছে পাহাড়ের জনজীবন। তবে বাজারে বাঙ্গালী ও পাহাড়িদের উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে।

অবরোধে তৃতীয় দিনেও খাগড়াছড়ির সঙ্গে ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। শহর কেন্দ্রিক টমটম ও অটোরিকশা চলাচল করলেও বন্ধ রয়েছে আভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগ

৭২ ঘণ্টা সড়ক ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানিয়ে কর্মসূচি সফল করতে নেতাকর্মী, সমর্থকসহ সর্বস্তরের জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)।

সকালে খাগড়াছড়ি জেলার দিঘীনালা সাজেক সড়ক, পানছড়ি, রামগড়, মানিকছড়ি সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন অবরোধকারীরা। তবে অবরোধকে কেন্দ্র করে এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

অবরোধকে কেন্দ্র করে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন খাগড়াছড়ি সদর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধা। অবরোধে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সেনাবাহিনী ও বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে।

এদিকে অবরোধের কারণে সাজেকে আটকে পড়া পর্যটকদের এখনো ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। সেখানে এক হাজার পাঁচশ পর্যটক আটকে আছেন। তবে পর্যটকদের সুবিধার জন্য ৭৫%কমিশন ছাড় দিয়েছে সাজেক রিসোর্ট মালিক কর্তৃপক্ষ। সাজেক রিসোর্ট মালিক সমিতির সভাপতি চাইথোয়াই মারমা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বুধবার জেলা সদরের নিউজিল্যান্ড নামক এলাকা মামুন নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল বের করে দীঘিনালা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ মিছিলটি লারমা স্কয়ারের দিকে যাওয়ার সময় পাহাড়িরা বাধা দিলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে লারমা স্কয়ারে দোকানপাট ও বসত বাড়িতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে পুড়ে যায় শতাধিক দোকান। এ ঘটনায় তিনজন নিহত হয়।

খাগড়াছড়ি তৃতীয় দিন সড়ক অবরোধ স্থবির হয়েছে জনজীবন