সংস্কার নাকি নতুন সংবিধান, ছাত্র-জনতা থেকেই প্রস্তাব আসতে হবে: হাসান আরিফ

এনএস ডেস্ক : স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ. এফ. হাসান আরিফ সংবিধানের সংস্কার নাকি নতুন সংবিধান প্রণয়ন হবে সেটি ছাত্র-জনতার থেকেই প্রস্তাব আসতে হবে।

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগ সম্মেলন কক্ষে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
 
উপদেষ্টা এ. এফ. হাসান আরিফ বলেন, ছাত্র-জনতা কোন প্রক্রিয়ায় সংবিধান সংস্কার চায় সেজন্য তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। তারা কি নতুন কোনো সংবিধান চায়, নাকি আগের সংবিধানের সংস্কার চায়, সেটা ছাত্র-জনতাই বলতে পারবে। আমরা আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেব।
 
তিনি আরও বলেন, সংস্কার হলো চলমান প্রক্রিয়া। ১৫-১৬ বছর এ প্রক্রিয়া স্তব্ধ হয়ে ছিল। সেটা ১৫ ঘণ্টা, ১৫ দিনে অর্জিত হয়ে যাবে, ১৫ বছরের জঞ্জাল পরিষ্কার হয়ে যাবে, সেটি স্বাভাবিক নয়। সংস্কার কাজটা ধীরে ধীরে আগাতে থাকবে। সবচেয়ে বড় সংস্কার দাবি আসছে সংবিধানের। আমাদের পুরনো যে সংবিধান ১৯৭২ সালের আদৌ কী সেই সংবিধান আছে আজকে। ১৫তম সংশোধনে দেখেছি অত্যন্ত ৫০টি জায়গায় পরিবর্তন আনা হয়ছে। তাহলে আমার ১৯৭২ এর সংবিধান কোথায়। আমরা যদি পেছনের দিকে যেতে চাই তাহলে চতুর্থ সংশোধনে গিয়ে আটকে যাব। সেটি কি কাম্য? সেখানে বাকশাল'র কথা বলা হয়েছে, যা ওয়ানপার্টি গভর্নমেন্ট, সেটাতো সংবিধানেই ছিল। সেটা কি সংবিধান সম্মত? ৭১ সালে ৩০ লাখ লোক শহীদ হয়েছেন, এই চতুর্থ সংশোধনের জন্য অবশ্যই না।
 
সংবিধান সংস্কার বিষয়ক অপর এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, আমাদের সংবিধান সংস্কার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আর এটা অনেক বড় বিষয়, সংবিধান সংশোধন করতে গেলে আগে যাচাই-বাছাই করতে হবে, আলোচনা করতে হবে। বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। একটা নতুন পার্লামেন্ট করতে হবে। আসলে বিষয়টি ব্যাপক।
 
এ সময় রাষ্ট্র সংস্কারের ওপর গুরুত্ব দিয়ে উপদেষ্টা আরিফ বলেন, বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক না। এই বাহিনীকে জনসেবার পরিবর্তে, জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয়া হয়েছিল। গণঅভ্যুত্থানে এক হাজারের বেশি হত্যা হয়েছে। তার বিনিময়ে আমরা এখানে আছি। ছাত্র, জনতা, শ্রমিক তারা হচ্ছে দেশের মূল মালিক। তাদের দাবি হচ্ছে সংস্কার। তারা যেসব জায়গায় সংস্কারের দাবি করেছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে সবক্ষেত্রেই সংস্কারের প্রয়োজন।