কেবি ২৯ আগষ্ট ২০২৪ ০১:৪৪ পি.এম
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : এখানকার ১৭টি পদের বিপরীতে চিকিৎসক রয়েছেন মাত্র ৪ জন। প্রতিদিন গড়ে মাত্র ৫ জন করে রোগী আসেন।
রোগী নেই, ডাক্তার নেই। নেই কোনো অপারেশনের যন্ত্রপাতি। একটি মাত্র অ্যাম্বুলেন্স। তাও নষ্ট হয়ে পড়ে আছে অনেক দিন ধরে। সরেজমিনে গত ২৮ ও ২৯আগষ্ট চট্টগ্রাম রেলওয়ে হাসপাতালে গিয়ে চোখে পড়লো এমনই দৃশ্য।
চট্টগ্রামের অপর দুটি সরকারি হাসপাতাল (চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল) যেখানে রোগীতে ঠাসা, সেখানে একেবারেই ভিন্ন চিত্র সিআরবি এলাকায় অবস্থিত রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল চট্টগ্রামের প্রধান এই হাসপাতালের।
কর্তৃপক্ষ জানায়, পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা না থাকায় দিনদিন রোগী কমে আসছে সেখানে। প্রতিদিন গড়ে মাত্র ৫ জন করে রোগী আসেন। চিকিৎসক, বিশেষজ্ঞ, সার্জন, ল্যাব ও ডায়াগনস্টিক যন্ত্রপাতির সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। গত ১০ বছর ধরে হাসপাতালের রোগী কমে আসছে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।
রেলওয়ে হাসপাতালের চিফ মেডিকেল অফিসার (সিএমও) আব্দুল আহাদ বলেন, হাসপাতালে কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই। যন্ত্রপাতিরও অভাব রয়েছে। তাই পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা না থাকায় এখানে গুরুতর রোগী ভর্তি করানো যাচ্ছে না।
রোগী সংকটের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন মহলকে একাধিকবার জানানোর পরও কোনো প্রতিকার হয়নি বলে তিনি জানান।
নাজুক অবস্থা স্বাস্থ্য সেবার:
একসময় চট্টগ্রাম রেলওয়ে হাসপাতালের সুনাম জেলার গন্ডি ছাড়িয়ে ছড়িয়ে পড়েছিল দেশের আনাচে-কানাচে। রেলওয়ের নিজস্ব স্টাফদের পাশাপাশি বহিরাগতরাও কম খরচে এখানে চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ পেতেন। এখন রোগীদের চলাচল কমে যাওয়ায় হাসপাতালটি তার গুরুত্ব হারিয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রেলওয়ের ১১,০০০ কর্মী এবং ১০,০০০ থেকে ১৫,০০০ অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ পূর্বাঞ্চলের প্রত্যেকে সিআরবিতে অবস্থিত এই হাসপাতালের চিকিৎসা সেবার উপর নির্ভরশীল। পুরো হাসপাতালটি ৯৫ শয্যাবিশিষ্ট।
এখানকার ১৭টি পদের বিপরীতে চিকিৎসক রয়েছেন মাত্র ৪ জন। তাদের একজন ডা. ইবনে সাফি আব্দুল আহাদ। তিনি প্রধান বা চীফ মেডিক্যাল অফিসার (সিএমও)। এছাড়া ডা. ফাতেমা আক্তার (এএস এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্ট) প্রায় এক বছর ধরে শিক্ষাছুটিতে আছেন।
আরেকজন, ডা. শিবু নাথ বর্তমানে তিনি চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন রোগিদের, আছেন ডেন্টাল ডা. আনোয়ার হোসেন তিনি এই হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা না দিলেও পাহাড়তলী হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করছেন। এই ছাড়া ডা. জামাল হোসেনকে মাঝেমধ্যেই লাকসাম রেলওয়ে হাসপাতাল থেকে চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয়।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল চট্টগ্রামের মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম বলেন, "বিষয়টি মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে। চিকিৎসক সংকট রয়েছে। এই দিকে মনোযোগ বাড়ালে হাসপাতালটি আবার রোগীদের আস্থা অর্জন করতে পারবে।"
এই হাসপাতালের বাইরে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ১০ শয্যা বিশিষ্ট হালিশহর পোর্ট ইয়ার্ড হাসপাতাল, ঢাকায় ৭৫ শয্যা বিশিষ্ট রেলওয়ে হাসপাতাল ও চট্টগ্রামে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট বিশেষায়িত একটি বক্ষব্যাধি হাসপাতালসহ আরও ৩টি চিকিৎসা কেন্দ্র রয়েছে; যার সবকটিতেই বিরাজ করছে নানান সমস্যা। ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে পোর্ট ইয়ার্ড হাসপাতালের কার্যক্রম। বাকি দুটিতেও রোগী নেই বললেই চলে।
যন্ত্রপাতি ও লোকবল সংকট।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে হাসপাতালে চিকিৎসক সংকটের পাশাপাশি যন্ত্রপাতি সংকটও প্রকট আকার ধারণ করেছে। একটি অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও তা দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট। অপারেশনের জন্য কোন যন্ত্রপাতি নেই।
গাইনী বিভাগ, সার্জারি বিভাগ ও মেডিসিন বিভাগে কোনো রোগী ও চিকিৎসক দেখা যায়নি। হাসপাতালের একপাশে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট এ এম হামিদুর রহমানের ল্যাব রুম। তিনি চেয়ারে বসে তিন সহকর্মীর সঙ্গে কথা বলছিলেন।
হামিদুর রহমান বলেন, "গত দেড় বছর ধরে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ল্যাবে অলস সময় কাটাচ্ছি। কেউ আসে না এখানে।"
বাংলাদেশ রেলওয়ে শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, "জ্বর, মাথাব্যথার মতো ছোটখাটো অসুখের চিকিৎসা ছাড়া অন্য কোনো অসুখে এখানে কারও আসার খবর পাইনি।"
চট্টগ্রামের সচেতন মহলের ধারণা, সিআরবি এলাকায় বেসরকারি হাসপাতাল নিয়ে অনেকখানি সক্রিয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। অথচ নিজেদের হাসপাতালটি নতুনভাবে চালু করার ক্ষেত্রে নেই কোনো সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা।
চট্টগ্রাম জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা কমিটির সমন্বয়ক ডা. মাহফুজুর রহমান মনে করেন, নতুনভাবে উদ্যোগ নিলে রেলওয়ের এই হাসপাতালটি আবারও স্বাস্থ্য সেবায় সুনাম ছড়িয়ে দিতে পারবে।
অপরদিকে পাহাড়তলী রেলওয়ে হাসপাতালে ও বিভিন্ন সমাস্যায় জর্জরিত চলছে র্দূনীতি, সেখানেও নেই কোন ডাক্তার একজন ডেন্টাল ডাক্তারকে দিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।সেখানে ডাক্তার আনোয়ার হোসেন চিকিৎসা দিচ্ছেন। তিনি আছেন অতিরিক্ত দায়িত্বে,তাকেও সময় মতো পাওয়া যায় না বলে রোগিদের অভিযোগ । নেই কোন ঔষধ, সেখানকার কর্মচারীরা সময় মতো অফিসে আসেন না।
পরিচ্ছন্নতাকর্মী তপন চন্দ্র দাশ, চন্দন চন্দ্র দাশ সহ অফিরে অন্যন্য কর্মচারীরা সকাল ৮ টায় অফিসে আসার সময় হলে ও তারা আসে ৯ টা বা ১০ টার মধ্যে, সময় মতো অফিসে আসেন না বলে অভিযোগ পাওয়া যায়, তারা মাঝে মধ্যে সকাল টাইমে অফিসে আসলেও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে অন্য জায়গায় চলে যায়। তাদের বিরুদ্ধেও পাওয়া যায় বিভিন্ন র্দূনীতির অভিযোগএই দুজন পরিচ্ছনতাকর্মী হলেও চীফ মেডিকেল অফিসার ডা. ইবনে সফি আব্দুল আহাদ নিয়ম নীতির তোয়াক্তা না করে মোটা অংকের টাকা বিনিময়ে তাদের কে সহকারী সেনিটারী ইন্সপেক্টরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।দায়িত্ব দেওয়ার পর থেকে তারা অফিসের বিভিন্ন জনের সাথে র্দুব্যবহার করছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
ভিটামিন ই ক্যাপসুলের বিকল্প তিন খাবার
এইচএমপি ভাইরাস নিয়ে জনমনে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে
দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ঢাকাবাসী, মন্ত্রণালয়ের সতর্কবার্তা
দেশে এইচএমপিভি আক্রান্ত রোগী শনাক্ত
গোমস্তাপুরে নার্সের অবহেলায় শিশুর মৃত্যু, তিন নার্স সাময়িক বরখাস্ত
দেশে ৫ জনের শরীরে রিওভাইরাস শনাক্ত
শীতের তীব্রতায় ঠান্ডাজনিত রোগে কাবু শিশু-বয়স্করা
শ্বাসতন্ত্রে নতুন ভাইরাস: বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা নতুন মহামারির
ইটনায় তিন চিকিৎসকে চলছে ২ লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা
চিকুনগুনিয়ায় ৬৭, জিকা ভাইরাসে ১১ রোগী শনাক্ত
চট্টগ্রামে আরও ৫১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত
চট্টগ্রামে আরও ৫১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত
চমেক হাসপাতালে স্যালাইন সংকট
চট্টগ্রামে দিন দিন রেড়েই চলেছে ডেঙ্গু রুগী
জন্মনিয়ন্ত্রণে ইনজেকশন নিয়ে ঝুঁকিতে নারীরা
ডেঙ্গুতে রেকর্ড মৃত্যু
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসকসহ ৭৫ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
কুমিল্লায় ১১৭ গ্রামে আর্সেনিক আতংক
বৃহস্পতিবার থেকে সিলেটে শুরু হচ্ছে এইচপিভি টিকা
ডেঙ্গুতে ২৫০ জনের মৃত্যু
লক্ষ্মীপুরে কিশোরীদের দেওয়া হবে এইচপিভি টিকা
ডেঙ্গুতে ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ১১২১
ডেঙ্গুতে আরও তিনজনের মৃত্যু, ১১৮৬ রোগী হাসপাতালে ভর্তি
ডেঙ্গুতে দুই শতাধিক মৃত্যু : স্বাস্থ্য অধিদফতর
চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্তের ২০ শতাংশই শিশু
ডেঙ্গুতে আরও ৪ জনের মৃত্যু
ডেঙ্গুতে বেশি মারা যাচ্ছে তরুণরা
সমগ্র ঢাকায় ডেঙ্গুর উচ্চ ঝুঁকিতে : বিশেষজ্ঞরা
ডেঙ্গু প্রতিরোধে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন
চোখে গুলিবিদ্ধ সবার সফল অস্ত্রোপচার দেশেই হয়েছে