বুধবার ১৬ এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বঙ্গাব্দ
সারাদেশ

পীড়ন-হত্যার ৭ বছর, সেফজোনে' ফিরতে চান রোহিঙ্গারা

কেবি ২৫ আগষ্ট ২০২৪ ০৩:১৬ পি.এম

পীড়ন-হত্যার ৭ বছর সেফজোনে' ফিরতে চান রোহিঙ্গারা

টেকনাফ  (কক্সবাজার) প্রতিনিধি : মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা দমন-পীড়নের সাত বছর আজ। দিনটিকে রোহিঙ্গারা কালো দিবস আখ্যা দিয়ে রোহিঙ্গা গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন করে আসছেন। এ উপলক্ষে আজ রবিবার সকালে প্রবল বৃষ্টি উপেক্ষা করে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালংয়ের ফোর এক্সটেনশন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের খেলা মাঠে ‘হোফ ইজ হোম’ ব্যানারে বিশাল এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন ক্যাম্পে থেকে কিশোর-কিশোরীসহ প্রায় অর্ধলাখ মানুষ সমাবেশে অংশ নেয়। 

সরেজমিনে কুতুপালংয়ে ফোর এক্সটেনশন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দেখা যায়, ‘প্রবল বৃষ্টিতে 'হোম ইজ হোম’ ক্যাম্পেইন উপলক্ষে আশপাশের ক্যাম্প থেকে সকাল থেকে লোকজন খেলার মাঠে জড়ো হতে শুরু করেন। ক্যাম্পেইন সমাবেশে পুরুষদের পাশাপাশি রোহিঙ্গা নারী, শিশুরাও যোগ দেন। এবার আরকা আর্মিসহ জান্তা সরকারে বিচার চেয়ে পোস্টার, প্ল্যাকার্ডে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার দাবি তুলেন।

রোহিঙ্গা ঢলের সাত বছরে রোহিঙ্গা গণহত্যা দিবসের সমাবেশে বক্তব্য রাখেন রোহিঙ্গা নেতা মাস্টার আব্দুর রশিদ, 
সৈয়দ উল্লাহ, মোহাম্মদ মুসা, মাস্টার কামাল প্রমুখ। সমাবেশের শুরুতে মিয়ানমার 'জেনোসাইডে' নিহত সকলের 

সমাবেশে বক্তৃতায় সৈয়দ উল্লাহ বলেন,' মিয়ানমারের জান্তা সরকরের পর এবার ২০২৪ সালে এসে সেদেশে থাকা রোহিঙ্গাদের 'জেনোসাইড' করছে আরকান আর্মি। আরকানের জমিতে আরকান আর্মি মে মাসে বুথেডংয়ে ২ হাজারের উপর মানুষ হত্যা করেছে। এছাড়া আগস্ট মাসে বোম হামলায় বহু মানুষ মেরে ফেলেছে। যার কারনে এখনো টেকনাফের নাফনদীতে রোহিঙ্গাদের মৃতদেহ ভাসছে। বর্তমান যোগে ছাত্রদের হাত ধরে দেশ বদলে যাচ্ছে।  আমাদের ছাত্রদের আরকান আজাদী করতে প্রস্তুত থাকতে হবে। ' 
তিনি বলেন, 'বাংলাদেশে সাত বছর পার হয়ে গেছে,  কোন সমাধান হয়নি। আমরা নিজ দেশে ফিরে যেতে চায়। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বলছি, আমরা সেফজোন ফেলে ফিরে যাব, নিজ দেশে।'

এদিকে সমাবেশে আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যানিটির কোন সদস্যকে দেখা যায়নি। এমনকি অনুষ্ঠানে প্রত্যাবাসনে পক্ষ কাজ করা নিহত মাস্টার মুহিব উল্লাহকে স্বরণ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে অনেক রোহিঙ্গা নেতা।

এ বিষয়ে আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যানিটির সভাপতি মোহাম্মদ জোবায়ের বলেন, ‘ক্যাম্পে সাত বর উপলক্ষে আজকে 'গণহত্যা' দিবসে পালন করা হয়েছে। কিন্তু যেই এই দিনটি পালন করতে ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে তাঁর (মাস্টার মুহিব উল্লাহ) নাম পর্যন্ত স্বরণ করা হয়া না। এটট খুব দুঃখজনক। 

 এ রোহিঙ্গা নেতা বলেন, 'ইচ্ছার থাকার সত্ত্বেও নিরাপত্তার কারনে সেখানে (সমাবেশে) যাওয়া সম্ভব হয়নি। ২০১৭ সালে ২৫ আগস্টে 'জেনোসাইডের' কারনে সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গাদের বিতাড়িত করা হয়েছে। তখন সেখানে আরও সড়ে ৬ লাখ রোহিঙ্গা ছিল। কিন্তু এখন জান্তা সরকার এবং আরকান আর্মি মিলে ফের যুদ্ধের নামে সেখানে থাকা রোহিঙ্গাদের দেশ ছাড়া করছে এখন। এটির শক্ত প্রমান রয়েছে। বোমা এবং ড্রোন হামলায় এখন রোহিঙ্গাদের মেরে ফেলা হচ্ছে। ' 
তিনি বলেন, ' আমরা আর বাংলাদেশের বোঝা হয়ে থাকতে চায় না। আর টু পি দিয়ে 'সেফজোন' ফেলে আমরা এখনিই মিয়ানমারে ফিরে যাব। তবে আমাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকার এবং জনগণকে ধন্যবাদ জানায়।’

ক্যাম্পে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (এডিআইজি) মোহাম্মদ ইকবাল বলেন, ‘ক্যাম্পে শান্তিপূর্ণভাবে ‘রোহিঙ্গাদের জেনোসাইড রিমেম্বার ডে’ কর্মসূচি শেষ হয়েছে। ক্যাম্পে যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সেজন্য নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বৃষ্টির কারনে রোহিঙ্গারা দ্রুত কর্মসূচি শেষ করেছে। কর্মসূচিতে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে যেতে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন।' 

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট দেশটির সেনাবাহিনী রাখাইন অঞ্চলের মংডু, বুচিথং ও রাসেথং জেলার রোহিঙ্গাদের ওপর নির্বিচারে হত্যা ও নির্যাতন শুরু করে। সে সময় বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ঢল নামে। তখন সীমান্ত অতিক্রম করে প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশের কক্সবাজারে এসে আশ্রয় নেয়। ওই দিনটিকে স্মরণে কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা ‘রোহিঙ্গা জেনোসাইড রিমেম্বার ডে’ পালন করে আসছে।

কক্সবাজারের অতিরিক্তি শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার সামসু-দৌজা বলেন,' রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন ক্যাম্পে 'জেনোসাইড ডে' পালন করেছে। শান্তি পূর্ণভাবে তাদের কর্মসূচি শেষ হয়েছে। সেখানে তাঁরা নিজ দেশে ফিরে যেতে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন।' 

জানা গেছে, রোহিঙ্গা ‘গণহত্যা’র পাঁচ বছর পূর্তির উপলক্ষ্যে কক্সবাজারের আশ্রিত ১, ৩, ৫, ৭, ৯, ১২, ১৩, ৮, ১৮,১৯, নম্বর ক্যাম্পসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় (রবিবার) একসঙ্গে পৃথকভাবে দিবসটি পালন করেন। তাঁরা সেখানে মিয়ানমারে গণহত্যার বিচার, দ্রুত প্রত্যাবাসনসহ কয়েকটি দাবি তুলে ধরেন।

আরও খবর

news image

ঝিনাইগাতীতে নিহত দুইজনের পরিবারের পাশে ইউএনও

news image

চার জেলায় দুপুরের মধ্যে ঝড়ের পূর্বাভাস

news image

খুলনায় আটক হওয়া আওয়ামী লীগ নেতাকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ

news image

দিনাজপুরে গ্রেপ্তার হলেন গাইবান্ধার সাবেক এমপি

news image

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৭ দিনব্যাপী বৈশাখী উৎসবের উদ্বোধন

news image

গৃহবধূর লাশ হাসপাতালে রেখে পালালেন শশুর বাড়ির লোকজন

news image

থাইল্যান্ডের নারী এলেন বিয়ে করতে, হলেন ধর্ষণের শিকার!

news image

শরীয়তপুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৫

news image

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জরিমানার টাকা দেওয়া নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ২০

news image

বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে রায়পুরায় বাংলা নববর্ষ উদযাপন

news image

সালথায় বিএনপি'র দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ২০

news image

চট্টগ্রামে বর্ষবরণের মঞ্চ ভাঙচুর

news image

বাঞ্ছারামপুরে অবৈধ বালু উত্তোলনের প্রতিবাদে মানববন্ধন

news image

পাঁচবিবিতে প্রকল্পের নামে জমি দখলের পায়তারা: দুদকে অভিযোগ

news image

চট্টগ্রামে এখন রাশিয়ার ৩ যুদ্ধজাহাজ

news image

'পাগলা চাচা শেখ হাসিনা কোথায়'

news image

রায়পুরায় ইউপি সদস্যকে লক্ষ করে গুলি বর্ষণ, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

news image

গাজীপুরে কৃষক দল নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

news image

গজনী অবকাশ কেন্দ্রে অভিযান, ১৭ বন্যপ্রাণী জব্দ

news image

চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতি: হচ্ছে না ভোট, বিএনপি-জামায়াতের পদ ‘ভাগাভাগি’

news image

ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে নোয়াখালী শহরে বিক্ষোভ

news image

পুকুর পাড়ে পড়েছিল বস্তাবন্দী খণ্ড-বিখণ্ড ৩ মরদেহ

news image

আখাউড়ায় ট্রেনে তেলচুরি: চালক ও পরিচালকসহ ৮ জনের নামে মামলা

news image

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আড়াই হাজার কৃষক পেলেন বিনামুল্যের সার-বীজ

news image

সীমান্তে বিএসএফের নির্যাতনে বাংলাদেশির মৃত্যুর অভিযোগ

news image

বান্দরবানের পাহাড় থেকে ৯ জনকে অপহরণ

news image

সরাইলে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ইউএনও, ওসিসহ আহত অর্থ শতাধিক

news image

নববর্ষ ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার

news image

গাজায় ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলা ও হত্যার প্রতিবাদে উত্তাল পঞ্চগড়

news image

ইসরাইলি গণহত্যার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দিনভর বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশ