পবিত্র রমজান মাসে খাদ্য গ্রহণের সময় বদলে যায়। ইফতার ও সাহ্রির মধ্যে অল্প সময়ে পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার খাওয়া হয়।আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশন (আইডিএফ) রমজান মাসে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ও চিকিৎসাপদ্ধতি নিয়ে গাইডলাইন প্রকাশ করেছে।
রোজায় ডায়াবেটিক রোগী
কিছুসংখ্যক জটিল রোগী বাদে অধিকাংশ ডায়াবেটিক রোগী বড় ধরনের কোনো সমস্যা ছাড়াই রোজা পালন করতে পারেন। রোজা পালনের কারণে ডায়াবেটিক রোগীরা কিছু স্বাস্থ্যঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারেন। যেমন ১. হাইপোগ্লাইসেমিয়া বা রক্তে শর্করা স্বল্পতা, ২. হাইপারগ্লাইসেমিয়া বা রক্তে শর্করা অত্যধিক বেড়ে যাওয়া, ৩. ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা, ৪. কিটো অ্যাসিডোসিস এবং ৫. থ্রম্বোসিস বা রক্ত জমাট বাঁধা।
ঝুঁকি বিবেচনা করে কিছু রোগীকে চিকিৎসকেরা উচ্চ ঝুঁকিসম্পন্ন হিসেবে চিহ্নিত করেছেন, যাঁদের রোজা পালন না করাই ভালো, তাঁরা হলেন, রোজার আগে তিন মাসের মধ্যে যাঁদের তীব্র হাইপোগ্লাইসেমিয়া বা হাইপারগ্লাইসেমিয়াজনিত জটিলতা হয়েছে, যাঁদের বারবার রক্তে শর্করা কমে যাওয়ার প্রবণতা রয়েছে বা যাঁরা রক্তে শর্করা কমে গেলে টের পান না, ডায়াবেটিসজনিত কিডনি রোগ বা হৃদ্রোগ আছে যাঁদের, রমজানরে সময় আকস্মিক অসুস্থতা (জ্বর, সংক্রমণ ইত্যাদি), বয়স্ক রোগী ও অন্তঃসত্ত্বা ডায়াবেটিকে রোগী যাঁরা ইনসুলিন গ্রহণ করেন।
রমজানে খাদ্যাভ্যাস ও ব্যায়াম
রমজান মাসে সাধারণত ইফতার ও সাহ্রিতে দুটি মূল খাবার গ্রহণ করা হয়। লক্ষ রাখতে হবে যে রমজান মাসেও দৈনিক ক্যালরি চাহিদা একই রকম থাকবে, কেবল সময়সূচিতে পরিবর্তন আসতে পারে। অন্য সময়ের মতোই চিনি বা চিনিযুক্ত খাবার খাওয়া নিষেধ। জটিল শর্করা যেমন: লাল চালের ভাত, রুটি, ওটস, কর্নফ্লেক্স খাওয়া ভালো। যথেষ্ট পরিমাণে শাকসবজি, তাজা ফলমূল খেতে হবে।
ইফতারে অতিরিক্ত ভাজা-পোড়া ও তেলযুক্ত উচ্চ ক্যালরি খাবার পরিহার করা উচিত। একসঙ্গে অনেক খাবার না খেয়ে ভাগ করে খাওয়া উচিত। রমজান মাসে প্রযোজ্য দুটি খাদ্যতালিকা এখানে সংযুক্ত করা হলো। এ ছাড়া কয়েকটি বিষয়ের দিকে লক্ষ রাখুন।
* সাহ্রি না খেয়ে রোজা রাখবেন না। সাহ্রিতে ভাত বা রুটি, সবজি, মাছ বা মাংসসহ একটি পূর্ণাঙ্গ খাবার খেতে হবে।
* ইফতারে শরবত বা মিষ্টি জুস না খেয়ে ডাবের পানি, ফলের রস, লেবুপানি পান করতে পারেন।
* ইফতার ও সাহ্রির মাঝখানে দুধ, ফলমূল, চিড়া, দই ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে।
* রাতের বেলা পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
রমজান মাসে দিনের বেলায় ব্যায়াম বা ব্যায়ামের উদ্দেশ্যে হাঁটাহাঁটি না করাই ভালো। সন্ধ্যার পর হালকা ব্যায়াম করা যেতে পারে।
রমজানে রক্তে সুগার পরিমাপ করুন
ডায়াবেটিস রোগীরা যখনই রক্তে গ্লোকোজের মাত্রা কমে যাওয়ার লক্ষণ অনুভব করবেন, তখনই তাঁরা গ্লোকোজের মাত্রা পরীক্ষা করবেন। রক্তে গ্লোকোজের মাত্রা প্রতি লিটারে ৩ দশমিক ৯ মিলি মোলের নিচে নেমে গেলে গ্লোকোজ বা চিনির শরবত খেয়ে রোজা ভেঙে ফেলবেন। আবার রক্তে গ্লোকোজের মাত্রা ১৬ দশমিক ৬ মিমি মোলের ওপরে চলে গেলে জটিলতা দেখা দিতে পারে। এ অবস্থায় রোজা রাখা ঝুঁকিপূর্ণ। তখন রোজা ভেঙে ফেলতে হবে।
লে. কর্নেল ডা. নাসির উদ্দিন আহমদ, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, সিএমএইচ, ঢাকা
দেশের সব হাসপাতালে হচ্ছে সরকারি ফার্মেসি, মিলবে কম দামে ওষুধ
যক্ষ্মার নতুন ঝুঁকিতে দেশ
খাদ্যে ক্ষতিকর উপাদান শনাক্তে কঠোর নীতিমালার আহ্বান
অসংক্রামক রোগ মোকাবিলায় বাজেট বৃদ্ধির আহ্বান
‘নতুন মহামারির’ হানা যুক্তরাষ্ট্রে, মৃত্যুহার ৩৯ শতাংশ
বন্ধ হতে পারে সরকারি ৬ মেডিকেল কলেজ
বকশিশ না দেওয়ায় অক্সিজেন বন্ধ, নবজাতকের মৃত্যু
২ কোটি ২৬ লাখ শিশুকে ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে
বরুণ ফুলের ঔষধি গুণ—প্রাকৃতিক চিকিৎসার এক বিস্ময়
স্বাস্থ্য ক্যাডারের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কর্মবিরতি শুরু
অব্যবস্থাপনা ও লুটপাটে স্বাস্থ্যসেবা ভেঙে পড়েছে: ডা. ফরহাদ হালিম
দেশে প্রথমবার জিকা ভাইরাসের ক্লাস্টার শনাক্ত
দেশের সব মেডিকেল কলেজে ‘একাডেমিক শাটডাউন’ সোমবার
চীনে নতুন করোনা ভাইরাস শনাক্ত, মহামারির শঙ্কা
শোল্ডার সার্জারির উন্নয়নে বাংলাদেশে বিশেষ কর্মশালা
ফিরে দেখা: ‘ভারতে মেয়েদের জন্য ৬ মাসের মধ্যে ক্যান্সারের ভ্যাকসিন’
আজ বায়ুদূষণে বিশ্বে দ্বিতীয় ঢাকা
বিপজ্জনক হয়ে উঠছে ঢাকার বাতাস, জানালা বন্ধের পরামর্শ!
অস্বচ্ছল চক্ষু রোগীদের ফ্রি চিকিৎসা সেবা প্রদান
জরায়ু ক্যানসারে আক্রান্তের অর্ধেকের বেশি নারী প্রতি বছর মারা যান
এইচএমপিভি ভাইরাস সুরক্ষায় করণীয়
দেশে এইচএমপিভি ভাইরাস আক্রান্তে প্রথম মৃত্যু
ভিটামিন ই ক্যাপসুলের বিকল্প তিন খাবার
এইচএমপি ভাইরাস নিয়ে জনমনে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে
দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ঢাকাবাসী, মন্ত্রণালয়ের সতর্কবার্তা
দেশে এইচএমপিভি আক্রান্ত রোগী শনাক্ত
গোমস্তাপুরে নার্সের অবহেলায় শিশুর মৃত্যু, তিন নার্স সাময়িক বরখাস্ত
দেশে ৫ জনের শরীরে রিওভাইরাস শনাক্ত
শীতের তীব্রতায় ঠান্ডাজনিত রোগে কাবু শিশু-বয়স্করা
শ্বাসতন্ত্রে নতুন ভাইরাস: বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা নতুন মহামারির