পৃথিবী জুড়ে লাখ লাখ মসজিদের মধ্যে এমন কিছু মসজিদ আছে যা দেখার কৌতূহল সব মানুষের মধ্যে। চলুন জেনে নেওয়া যাক তেমন বিশ্ব সেরা পাঁচ মসজিদ সম্পর্কে।
১. মসজিদুল হারাম, মক্কা, সৌদি আরব
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মানুষ যে মসজিদটি পরিদর্শন করতে আসে তার তালিকায় পবিত্র মক্কার মসজিদুল হারাম প্রথম স্থানে রয়েছে। প্রতিবছর প্রায় ৮০ লাখ মানুষ এই মসজিদে যান।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় মসজিদ এটি। এখানে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ একসঙ্গে প্রবেশ করে ঘুরে দেখতে পারেন। মুসলমানদের কাছে সবচেয়ে পবিত্র তিন স্থানের মধ্যে মসজিদুল হারাম অন্যতম।
তবে যে কেউ চাইলেই এই মসজিদে প্রবেশ করতে পারেন না। অমুসলিমদের জন্য মক্কা নগরীতে প্রবেশ পুরোপুরি নিষিদ্ধ।
২. শেখ জায়েদ মসজিদ, আবুধাবি, সংযুক্ত আরব আমিরাত
বিশ্বের সবচেয়ে বড় মসজিদগুলোর একটি এটি। ২০০৭ সালে স্থাপিত হয় এই মসজিদটি। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ঝাড়বাতি ও সবচেয়ে বড় গালিচাও রয়েছে এখানে।
ব্রিটিশ, ইতালীয় ও আমিরাতি স্থপতিরা মিসর, মরক্কো, তুরস্ক, পাকিস্তানসহ বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম দেশের মসজিদের নকশা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে শেখ জায়েদ মসজিদের নকশা এঁকেছেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাসকারী বেশিরভাগ মানুষই প্রবাসী, যারা মূলত বিভিন্ন দেশ থেকে শ্রমিক হিসেবে সেখানে আসেন।
নামাজের সময় ছাড়া অন্য সময় অমুসলিম দর্শনার্থীরাও মসজিদ ঘুরে দেখতে পারেন।প্রতিবছর এই মসজিদটি দেখতে প্রচুর দর্শনার্থী আসেন।
তবে শুক্রবার অমুসলিম দর্শনার্থীদের এই মসজিদে প্রবেশ নিষেধ।
৩. আয়া সোফিয়া, ইস্তাম্বুল, তুরস্ক
ইউরোপের সবচেয়ে আকর্ষণীয় শহরগুলোর মধ্যে তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুল অন্যতম। আর পুরো ইউরোপের অন্যতম সুন্দর মসজিদ হলো আয়া সোফিয়া।
৩৬০ খ্রিষ্ট-পূর্বাব্দে স্থাপিত এ স্থাপনা শুরুতে মসজিদ ছিল না। ১৪৬৩ সালে সুলতান মেহমেদ এটিকে মসজিদ হিসেবে স্বীকৃতি দেন। পরে ১৯৩৪ সালে এই মসজিদকে জাদুঘরে রূপান্তরিত করে তৎকালীন তুরস্ক সরকার।
২০২০ সালে তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান পুনোরায় এটিকে নামাজ আদায়ের জন্য মুসল্লিদের কাছে উন্মুক্ত করে দেন। ১৯৮৫ সালে ইউনেসকো আয়া সোফিয়াকে বিশ্ব ঐতিহ্যর স্বীকৃতি দেয়।
৪. আল-আকসা মসজিদ, পূর্ব জেরুজালেম, ইসরায়েল
জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদ মুসলিম স্থাপত্যশৈলীর শুরুর দিককার অন্যতম নিদর্শন।
খোলাফায়ে রাশিদিনের অন্যতম খলিফা হজরত উমর (রা.) এর শাসনামল ৬৩৭ খ্রিষ্টাব্দে শুরু হয় এই মসজিদটির নির্মাণকাজ। বর্তমানে আল-আকসা বলতে পুরো চত্বরটাকেই বোঝানো হয়। মূল আল-আকসা বা কিবলি মসজিদ হলো ধূসর সীসার পাতে আচ্ছাদিত গম্বুজওয়ালা একটি স্থাপনা।
পর্যটকের কাছে আল-আকসা নামে বেশি প্রসিদ্ধ সোনালি গম্বুজের স্থাপনা কুব্বাতুস সাখরা। ১৯৮১ সালে জেরুজালেমের এই মসজিদ ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় উঠে আসে।
একসঙ্গে প্রায় চার লাখ মুসল্লি এখানে নামাজ আদায় করতে পারেন। তবে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমে অবস্থিত আল-আকসা মসজিদ বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েলি পুলিশ। কোনো মুসল্লিকে তারা মসজিদ প্রাঙ্গণে ঢুকতে দিচ্ছে না।
৫. দ্বিতীয় হাসান মসজিদ, মরক্কো
মরক্কোর বাদশাহ দ্বিতীয় হাসান নির্মিত মসজিদটির নকশাকার ফরাসি স্থপতি মিশেল পিনসু। এই মসজিদের মিনার, উচ্চতা ৬৮৯ ফুট।
আটলান্টিক মহাসাগরের একটি শৈলান্তরীপের মাথায় মসজিদটির অবস্থান। এর মেঝের একটা অংশ স্বচ্ছ কাচের তৈরি বলে আটলান্টিকের নীল পানি দেখতে পান নামাজে যাওয়া মুসল্লিরা। মসজিদের দেয়ালে রয়েছে অসাধারণ মার্বেলের কারুকাজ।
এই মসজিদে একসঙ্গে ১ লাখ ৫ হাজার মুসল্লির নামাজ আদায় করার সুবিধা আছে।
নতুন দিনের নতুন রেফ্রিজারেটর
কীভাবে বুঝবেন খাবার ভেজাল আছে নাকি!
ফ্রিজে মাংস সংরক্ষণ করার সঠিক পদ্ধতি
সহজে ডিপ ফ্রিজ পরিষ্কার করার উপায়
বিমানবন্দর সড়ক এলাকা বন্ধ আজ
ব্যর্থ মানুষ ৫টি কাজ দিয়ে দিন শুরু করেন
‘মুড সুইং’ কখন খারাপ?
প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে গেলে যে কাজগুলো করবেন না
কাঁটাচামচে খাবার খাওয়ার নিয়ম মানেন?
কান্নায় রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা, জানেন কী?
নারীরা পুরুষের তুলনায় বেশি বাঁচলেও অসুস্থই থাকেন বেশি: গবেষণা
শাড়ি পরলেই হতে পারে ক্যানসার: চিকিৎসা বিজ্ঞান
কেমন হবে এই বৈশাখের সাজ?
এই গরমে হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচতে যা করবেন
২০ বছর আগেই শনাক্ত করা যাবে ক্যান্সারের লক্ষণ, দাবি গবেষণায়
আজ ইফতারে বানিয়ে নিন ম্যাগি মাঞ্চুরিয়ান, দেখুন রেসিপি
জাল নোট চেনার ৭ উপায়
গ্যাস সিলিন্ডার দুর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজন সচেতনতা
গরম খাবার বা চা খেতে গিয়ে জিভ পুড়ে গেলে করণীয়
রুট ক্যানেল না ফিলিং?
যে রোগে চুল পড়ে যায়
গর্ভাবস্থায় রোজা রাখতে হলে যা করণীয়
শরীরে আঁচিলের সংখ্যা বাড়াটা কতটা ঝুঁকিপূর্ণ
আজ ঘুমাতে হবে
ইফতারে মজাদার ও পুষ্টিকর ক্যাশুনাট সালাদ
সেহরিতে কী খাবেন, কী খাবেন না?
একটি টুথব্রাশ কত দিন ব্যবহার করবেন?
বিয়ে সম্পর্কে যে ধারণাগুলো করা উচিত নয়
সহজেই ঘুমিয়ে পড়া যায় সে বিষয়ে ১০টি উপায়ের কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা।
মানুষের মতো হাতির মধ্যেও অনুভূতি বিরাজমান!