নিউজ ডেক্স ১১ জুন ২০২৪ ০৫:০৯ পি.এম
বিংশ শতাব্দী মানুষের ইতিহাসে সবচেয়ে ঘটনাবহুল। পারমাণবিক যুদ্ধ, দুনিয়ার রাজনীতিসহ সমস্ত জটিল ও বিস্তৃত পরিবর্তন কেবলমাত্র এই একটি কোকাকোলা প্রতীক দিয়ে বোঝানো সম্ভব। বাংলাদেশের বাজার যে সম্প্রতি তেমনি একটি চাপ পড়ল, তা বোঝা গেছে এদের সাম্প্রতিক একটি বিজ্ঞাপনে। বলা ভালো, বিজ্ঞাপনের নামে পিআর ডিজাস্টারে।
‘এক বিলিয়ন ঘণ্টা আগে, পৃথিবীতে জীবনের আবির্ভাব হয়েছিল
এক বিলিয়ন মিনিট আগে, খ্রিস্টীয়বাদের সূচনা হয়েছিল
এক বিলিয়ন সেকেন্ড আগে, বিটলস সংগীতের দুনিয়া পাল্টে দিয়েছিল
এক বিলিয়ন কোকাকোলা আগে গতকাল সকাল ছিল’
উপরের চারটি লাইন ১৯৯৭ সালে বলেছিলেন কোকাকোলা কোম্পানির প্রধান নির্বাহী রবার্ট গোইজুয়েটা। এর কয়েক বছর আগে সোভিয়েতের পতন হয়েছে, মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ দুনিয়াতে এককভাবে রাজত্ব করছে। মুক্তবাজার অর্থনীতি আর নব-উদারতাবাদ তখন দুনিয়া কব্জা করে ফেলার অহমে উড়ছে। তাই বলে কি একটা পানীয় কোম্পানির একজন নির্বাহীর এই দম্ভ সাজে?
বাজেভাবে নির্মিত বিজ্ঞাপনটিতে স্পষ্ট করে বলে দিলো কোকাকোলা ১৯৩ টি দেশে তৈরি হয় এবং ফিলিস্তিনেও কোকের ফ্যাক্টরি রয়েছে। ইসরায়েলি কোম্পানি নামে যে কথা প্রচলিত রয়েছে তা একেবার অসত্য, বিজ্ঞাপনে দাবি করা হয় এমনই। বিজ্ঞাপনের শেষ সংলাপটি হলো একটা চুমুক দেন- তারপর সার্চ দেন। অর্থাৎ গুজবে কান না দিয়ে গুগলে সার্চ দিয়ে দেখুন-এমনই বক্তব্য।
এতে একে তো ভোক্তাকে ‘সত্য জানে না’ বলে এক ধরনের কটাক্ষ করা হয় এবং উপরন্তু আগ্রহী ভোক্তার মনে এই প্রশ্ন জাগাচ্ছে কোকের কোম্পানি কি ইসরায়েলের দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূমিতে স্থাপিত?
এই বিজ্ঞাপনের ফলে পণ্য আর কোম্পানি হিসেবে কোক বাংলাদেশে আরও বেশি অপছন্দের মুখোমুখি হতে পারে তা-ই নয়, এমনকি মুদি দোকানিরা পর্যন্ত কোক রাখার কারণে ক্রেতার রোষের শিকার হতে পারেন। এখন প্রশ্ন আসে, কোকের বিজ্ঞাপনের ওপর ভর করে এর বেচাবিক্রি কেন ওঠানামা করে?
মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ যেমন প্রতিরোধের মুখোমুখি হয়েছে, কোকও তাই। আরব দেশগুলো ১৯৬৭ থেকে ১৯৯১ সালে সরকারিভাবেই কোক বর্জন করেছিল ইসরায়েলে কারখানা করার প্রতিবাদে। ল্যাটিন আমেরিকা, আফ্রিকা, এশিয়ায় এ ধরনের বর্জন কখনো কখনো দেখা গেছে। কোক তার বিপুল ক্ষমতা দিয়ে সামলে নিয়েছে।
জিজেক ২০১৩ সালে প্রকাশিত ডকুমেন্টারি দি পার্ভার্ট’স গাইড টু আইডলজিতে বলেন— কোকাকোলা কনজুমারিজমের আদর্শ পণ্য, কারণ কোক আমাদের ভোগের শূন্যতাকে বিক্রি করে।
জিজেক বলতে থাকেন, ‘মার্কস বহু আগে জোর দিয়ে বলেছিলেন একটি ভোগ্যপণ্য কেবলমাত্র একটি বস্তু নয় যা আমরা কিনি ও ভোগ করি। একটি ভোগ্যপণ্য হচ্ছে এমন একটি বস্তু যার রয়েছে ধর্মতাত্ত্বিক, এমনকি আদিভৌতিক সূক্ষ্মতা। এর উপস্থিতি সবসময় একটা অদৃশ্য সর্বোৎকৃষ্টতার প্রতিফলন ঘটায়। আর কোকের যে ধ্রুপদী বিজ্ঞাপন তা এই অনুপস্থিত, অদৃশ্য গুণের কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করে। কোকের বিজ্ঞাপন বলতে থাকে কোক হচ্ছে ‘আসল ব্যাপার’ আর ভোক্তাদের আহ্বান জানায়— ভোগ, ভোগ আরও ভোগের।’
জিজেক আরও বলতে থাকেন, ‘এতে কেবল পণ্য হিসেবে কোকের যে গুণাবলি তুলে ধরা হয় তাই না, এতে ধারণা দেওয়া হয়— এর মধ্যে লুকিয়ে থাকা এক রহস্যের। উদগ্র আকাঙক্ষাকে জাগিয়ে তোলার এক অবর্ণনীয় অতিরিক্ত কিছু। আমরা বাধ্য হই উপভোগ করতে। উপভোগ হয়ে ওঠে এক ধরনের অদ্ভুত অশ্লীল কর্তব্য। কোকের ধাঁধা হচ্ছে আপনি তৃষ্ণার্ত, আপনি একে পান করবেন, কিন্তু সবাই জানে আপনি যত পান করবেন আপনি তত বেশি তৃষ্ণার্ত হতে থাকবেন।’
কিন্তু গত অক্টোবর থেকে ইসরায়েল ফিলিস্তিনে যে গণহত্যা চালাচ্ছে তাতে আগের অনেক হিসাব পাল্টে গেছে। এই গণহত্যা ঠেকাতে না পারলেও এর সহযোগীদের প্রতি ঘৃণা ও বর্জনকে নিজেদের রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ভাবছে দেশে দেশে বহু মানুষ। এই ডাক আরও জোরালো হচ্ছে দিনের পর দিন, খোদ মার্কিন মুলুকেই। এই ডাকের বিশ্বায়ন মার্কিন পুঁজিবাদ আর কনজুমারিজমকেও হুমকির মুখে ফেলে দিতে পারে। ফলে কোকের একটা বিজ্ঞাপনের ব্লান্ডার এবং এর প্রতিক্রিয়াকে কেবল সামান্য বিজ্ঞাপন হিসেবে পাঠ করা ভুল হবে। এর প্রভাব সুদূরপ্রসারী।
নবীন নিউজ/জেড
প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত সময় অনুযায়ী নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে : ইসি সচিব
দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ হবে, আসন ৫০৫
সারা দেশে তাপমাত্রা কমার ইঙ্গিত, বর্ধিত শীতের পূর্বাভাস
পিএসসির ৬ সদস্যের নিয়োগ বাতিল করে প্রজ্ঞাপন
টিউলিপের ক্ষমা চাওয়া উচিত: ড. ইউনূস
আমাদের সামগ্রিক ফোকাস হচ্ছে জাতীয় নির্বাচন : কমিশনার সানাউল্লাহ
সীমান্তে ১৫০ গজের মধ্যে ভারত বেড়া নির্মাণ করতে পারবে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
শিগগিরই আসছে নির্বাচনী রোডম্যাপ: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন নিয়ে নতুন পরিকল্পনা করবে : সিইসি
বাংলাদেশে সরকার পতনে হাত ছিল না যুক্তরাষ্ট্রের : জেক সুলিভান
বাংলাদেশে সরকার পতনে হাত ছিল না যুক্তরাষ্ট্রের : জেক সুলিভান
বাংলাদেশে সরকার পতনে হাত ছিল না যুক্তরাষ্ট্রের : জেক সুলিভান
বঙ্গবন্ধুর ফিরে আসার দিনটি: রাজনৈতিক বিপর্যয়ের মাঝেও উদযাপন
বিলাসবহুল লঞ্চের টিকিট সিন্ডিকেটে যাত্রী সেবায় অচলাবস্থা
শিগগিরই বাস্তবায়ন হবে মহার্ঘ ভাতা
সচিবালয় গেটে পুলিশ-শিক্ষার্থীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ডিএমপির তদন্ত কমিটি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৭ দিনের জনসংযোগ কর্মসূচি
আন্দোলনে আহতদের মধ্যে ১শ' জনকে পুলিশে কাজ দেওয়া হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দু’দিনের ব্যবধানে ফের ভূমিকম্পে কাঁপল বাংলাদেশ
দুদক কর্মকর্তা সেজে চাঁদাবাজি: তিন প্রতারক গ্রেপ্তার
সাধারণ পোশাক পরে কোনো আসামি গ্রেফতার নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নে বাংলাদেশ-ভারতের জেলেদের প্রত্যাবাসন
নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করার নির্দেশ সিইসির
ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের পর নতুন অধ্যায়: দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের উন্নতি
জাতিসংঘ পার্ক এখন ‘জুলাই স্মৃতি উদ্যান’
চট্টগ্রামে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নাম পরিবর্তন, যান চলাচল শুরু
অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা, ১৩টি বন্ধ ঘোষণা
তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম: নাম ও স্বাক্ষর জালিয়াতি রোধে কঠোর ব্যবস্থা
সরকারের চেয়েও মানুষের শক্তি বেশি: প্রধান উপদেষ্টা
ভোটার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১২ কোটি ৩৬ লাখ