পশুর মধ্যে যেসব সমস্যা থাকলে কোরবানি হবে না

নিউজ ডেক্স ০৯ জুন ২০২৪ ০৪:৫৩ পি.এম

সংগৃহীত ছবি

আল্লাহ নৈকট্য অর্জনের অনন্য ইবাদত কোরবানি। কোরআন ও হাদিসে এর গুরুত্ব অপরিসীম। মুসলিম উম্মাহর জন্য ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদে পশু কোরবানি করা একটি মহান ইবাদত। এর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা নিজের প্রতি বান্দার ভালোবাসা পরীক্ষা করেন। বান্দা তার প্রিয় বস্তু একনিষ্ঠ চিত্তে আল্লাহর জন্য কতটুকু উৎসর্গ করতে প্রস্তুত তা যাচাই করে দেখেন তিনি।

৬ ধরনের পশু দিয়ে এ কোরবানি করা যায়। তাহলো- উট, গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা।

নামাজে যেমন ভালো পোশাক পরা উত্তম, তেমনি কোরবানির ক্ষেত্রেও সামর্থ্যের মধ্যে ভালো পশু ক্রয় করা উচিত। কারণ, কোরবানির পশু হৃষ্টপুষ্ট হওয়া উত্তম। একইসঙ্গে পশুতে এমন কিছু দোষ-ত্রুটি আছে, যার কারণে কোরবানি বাতিলও হয়ে যেতে পারে। এজন্য পশু কেনার আগেই বিষয়গুলো সবার জানা থাকা দরকার।

পশুর মধ্যে যেসব সমস্যা থাকলে কোরবানি দেওয়া যাবে না সেগুলো হচ্ছে-

যদি কোরবানির পশু এমন শুকনো ও দুর্বল হয়, যা জবাইয়ের স্থান পর্যন্ত হেঁটে যেতে পারে না, তা দ্বারা কোরবানি করা সহি হবে না।
খোড়া পশু দ্বারাও কোরবানি জায়েজ হবে না। যে পশু তিন পায়ে চলে, এক পা মাটিতে রাখতে পারে না বা ভর করতে পারে না, কোরবানিতে এমন পশু জবাই করা যাবে না।
যে পশুর শিং একেবারে গোড়া থেকে ভেঙ্গে গেছে এবং এ কারণে মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে- এমন পশু দ্বারাও কোরবানি সহি হবে না। বিপরীতে যদি পশুর শিং অর্ধেক বা কিছু শিং ফেটে বা ভেঙ্গে যায় বা শিং একেবারে উঠেইনি সে পশুতে কোরবানি জায়েজ।
দাঁতহীন বা এত বেশি দাঁত পড়ে গেছে যে, ঘাস বা খাদ্য চিবাতে পারে না- এমন পশু দ্বারাও কোরবানি সহি নয়।
যদি পশুর দুটি চোখই অন্ধ কিংবা এক চোখ পুরো নষ্ট অথবা এক চোখের দৃষ্টিশক্তি এক-তৃতীয়াংশ বা তারও অধিক নষ্ট হয়ে যায় সে পশু কোরবানি জায়েজ হবে না।
যে পশুর লেজ বা কোনও কান এক-তৃতীয়াংশ বা তারও বেশি কাটা ওই পশু দ্বারাও কোরবানি সহি হবে না। কিন্তু যদি জন্মগতভাবেই কান ছোট হয় তাহলে অসুবিধা নেই।
কোরবানি করার ক্ষেত্রে মুমিন মুসলমানের উচিত, ইসলামি শরিয়তের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী পশু কোরবানি করা। যেসব পশুতে কোরবানি হবে না বা হলেও মাকরূহ হবে; সেসব পশু কোরবানি করা থেকে বিরত থাকার বিকল্প নেই।

নবীন নিউজ/পি

পশু সমস্যা কোরবানি