মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বঙ্গাব্দ
জাতীয়

সীমান্তে নতুন করে আশ্রয় নিয়েছে ৪৫ হাজার রোহিঙ্গা: জাতিসংঘ

নিউজ ডেক্স ২৫ মে ২০২৪ ০৯:২৩ এ.এম

ফাইল ছবি। ফাইল ছবি।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ক্রমবর্ধমান লড়াইয়ে হত্যা এবং বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের কারণে প্রায় ৪৫ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে আশ্রয় নিয়েছে। 

শুক্রবার(২৪ মে) জাতিসংঘের মানবাধিকার দফতর এ তথ্য জানিয়েছে।

জানা গেছে, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে বুথিডাং এবং মংডু শহরে জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘর্ষের কারণে কয়েক হাজার বেসামরিক মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। আনুমানিক ৪৫ হাজার রোহিঙ্গা নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী নাফ নদীর একটি এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে বলে জানা গেছে। যেখানে ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা ইতিমধ্যে বাংলাদেশে আশ্রিত। 

জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার বাংলাদেশ ও অন্যান্য রাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যেন আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী বাস্তুচ্যুত এই রোহিঙ্গাদের কার্যকর সুরক্ষা দেওয়া হয়। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সংহতি নিশ্চিত করার ওপরও জোর দিয়েছেন তিনি। 

প্রত্যক্ষদর্শী, স্যাটেলাইট ছবি এবং অনলাইন ভিডিও ও ছবিতে দেখা গেছে, বুথিডাং শহরটি ব্যাপকভাবে জ্বালায়ে দেওয়া হয়েছে। শহর থেকে সামরিক বাহিনীর পশ্চাদপসরণ করার এবং আরাকান আর্মি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দাবি করার দুই দিন পরে গত ১৭ মে আগুনের সূত্রপাত হয়। তবে এর জন্য কোন পক্ষ দায়ী সে সম্পর্কে নিশ্চিত কোনো তথ্য পায়নি জাতিসংঘ। 

এক ব্যক্তি শহর থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় কয়েক ডজন মৃতদেহ পড়ে থাকে দেখেছেন বলে বর্ণনা করেছেন। আরেকজন বলেছেন, তিনি হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গার একটি দলের সঙ্গে ছিলেন। তারা বুথিডাং থেকে মংডু শহরের পশ্চিমে সংযোগকারী রাস্তায় আরাকান আর্মি হাতে অবরুদ্ধ হয়েছিল। 

ওই ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা বর্ণনা করেছেন, আরাকান আর্মি তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে। তাদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করেছে। শহরের প্রায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার দক্ষিণে রোহিঙ্গা গ্রামে যাওয়ার পথে তারা আরাকান আর্মির নিপীড়নের শিকার হন। গ্রামে গ্রামের হামলার কারণে আগেই সেখানকার রোহিঙ্গারা বাস্তুচ্যুত হয়েছিল, সেখানেই তারা আশ্রয়ে জন্য যাচ্ছিল। এই অঞ্চলে রোহিঙ্গারা কয়েক সপ্তাহ ধরে অপরিচিত অসংখ্য পরিবারের সঙ্গে থাকতে বাধ্য হয়েছে, যেখানে পর্যাপ্ত খাবার নেই। 

বুথিডাং পুড়িয়ে দেওয়ার কয়েক সপ্তাহে আগে থেকেই জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় উত্তর রাখাইন রাজ্যে আরাকান বাহিনী এবং সামরিক বাহিনী উভয়ের দ্বারা রোহিঙ্গা বেসামরিকদের ওপর নতুন করে হামলার তথ্যপ্রমাণ পেয়েছে। বিমান হামলার পাশাপাশি, চালকবিহীন আকাশযান দিয়ে নিরস্ত্র পলায়নরত গ্রামবাসীর ওপর গুলি চালানো, শিরশ্ছেদ, গুম, বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়ার মতো ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। 

কয়েক বছর ধরেই মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী রোহিঙ্গাদের লক্ষ্যবস্তু করেছে। তারা সক্রিয়ভাবে নিষ্ঠুর ও বৈষম্যমূলক বিধিনিষেধ আরোপ করে তাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা অসম্ভব করে তুলেছে। 

জাতিসংঘের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সহিংসতার গুরুতর সম্প্রসারণের স্পষ্ট এবং বর্তমান ঝুঁকি তারা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে। কারণ প্রতিবেশী মংডু শহরের নিয়ন্ত্রণ দখল নিয়ে যুদ্ধ শুরু হয়েছে। সেখানে সামরিক বাহিনীর বেশ কয়েকটি ফাঁড়ি রয়েছে এবং একটি বৃহৎ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বসবাস করে। এরই মধ্যে শত শত বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা নিরাপত্তার জন্য গ্রাম থেকে শহরে চলে এসেছে। 

জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার অবিলম্বে সহিংসতা বন্ধ করা এবং জাতিগত পরিচয়ের ভিত্তিতে কোনো পার্থক্য ছাড়াই সব বেসামরিক নাগরিককে সুরক্ষা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। অবিলম্বে এবং নিরবচ্ছিন্ন মানবিক ত্রাণ প্রবাহের অনুমতি দেওয়া এবং সব পক্ষকে আন্তর্জাতিক আইন সম্পূর্ণ এবং নিঃশর্তভাবে মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে। যেখানে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালত এরই মধ্যে আদেশ দিয়েছেন।

নবীন নিউজ/পি

এই সম্পর্কিত আরও খবর

আরও খবর

news image

৫ বছর সরকারকে ক্ষমতায় রাখার বিষয় আমি কিছু বলিনি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

news image

‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার’ চালানোর অভিযোগ টিউলিপের

news image

ড্রোন শো জানিয়ে দিল ইতিহাসের নানা পর্ব

news image

বাংলাদেশে আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের দুই উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী

news image

কারাগার থেকে গণহারে মুক্তি রাষ্ট্রের জন্য হুমকি: আবু হানিফ

news image

হানাহানি চাই না, শান্তির দেশ চাই: সেনাপ্রধান

news image

বাংলাদেশের পাসপোর্টে 'একসেপ্ট ইসরায়েল' শর্ত পুনর্বহাল

news image

ডিবি প্রধান রেজাউল করিম মল্লিককে সরিয়ে দেওয়া হল

news image

যার যার মত করে বৈশাখ উদযাপন করুন: প্রধান উপদেষ্টা

news image

আদানির বিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি ইউনিট চালু হলো ১৭ ঘণ্টা পর

news image

আদানির কেন্দ্র থেকে সরবরাহ বন্ধের কারণে লোডশেডিং বাড়তে পারে

news image

আমাদের হৃদয়ে বাস করে এক-একটা ফিলিস্তিন: মিজানুর রহমান আজহারী

news image

দল-মত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ফিলিস্তিনিদের পাশে বাংলাদেশ রয়েছে: শায়খ আহমাদুল্লাহ

news image

মার্চ ফর গাজা: লাখো মানুষের কন্ঠে ধ্বনিত হলো 'ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন'

news image

শেখ হাসিনার দোসররা চারুকলায় ফ্যাসিবাদের মুখাবয়ব পুড়িয়েছে: ফারুকী

news image

অ্যামনেস্টি উদ্বেগ জানালো মেঘনা আলমকে নিয়ে

news image

মার্চ ফর গাজা: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মানুষের ঢল

news image

সাবেক প্রতিমন্ত্রী বিপুকে 'সর্বকালের সেরা বিদ্যুৎ চোর' বললেন সিদ্দিকী নাজমুল

news image

দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত

news image

এবার 'মঙ্গল শোভাযাত্রা' নয়, 'বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা'

news image

বাংলাদেশ পুলিশের নতুন লোগো প্রকাশ

news image

পোল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পেলেন সাবেক আইজিপি ময়নুল

news image

দেশে হুমকির মুখে নারীর অবস্থান ও নিরাপত্তা: মহিলা পরিষদ

news image

৬০ কি.মি. বেগে ঝোড়ো হাওয়া: চার অঞ্চলে সতর্কতা

news image

ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলে রপ্তানিতে কোন প্রভাব পড়বে না: বাণিজ্য উপদেষ্টা

news image

শেখ হাসিনা ও পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে প্লট দুর্নীতির কারণে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

news image

বিশ্বকে বদলে দেয়ার মতো দুর্দান্ত আইডিয়া আছে বাংলাদেশের কাছে: প্রধান উপদেষ্টা

news image

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ১৬ এপ্রিল বসছেন বিএনপি নেতারা

news image

হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার অভিনেত্রী শমী কায়সার

news image

কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে হঠাৎ আইনজীবীর ওপর ক্ষেপে গেলেন হাজী সেলিম