বাংলাদেশের যে স্থাপনাশৈলী এখনও বিমোহিত করে চলেছে অগণিত মানুষকে, তার মধ্যে আছে দেশজুড়ে থাকা অগণিত নয়নাভিরাম মসজিদ। এ নিয়েই ধারাবাহিক আয়োজন ‘বাংলাদেশের প্রসিদ্ধ মসজিদ’। আজ থাকছে মৌলভীবাজারের আল-আমান বাহেলা গয়ঘর খোজার মসজিদ।
প্রায় সাড়ে ৫০০ বছর আগে বানানো ঐতিহাসিক গয়ঘর খোজার মসজিদটি দেখতে হলে যেতে হবে মৌলভীবাজার শহর থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরে মোস্তফাপুর ইউনিয়নের গয়ঘর গ্রামে। সেখানে একটি টিলার ওপর দাঁড়িয়ে আছে মসজিদটি।
খোজার মসজিদ নির্মাণকালে দেয়ালে বাঘের থাবা
দেয়ালের শুভ্র রঙ দূর থেকে জ্বলজ্বল করে। মেঝে ও গম্বুজে টাইলস লাগানো হয়েছে। তিনটি বড় দরজা ও ছয়টি ছোট দরজা। ভেতরের পূর্ব দিকের একটি স্তম্ভে গেলে দেখা যাবে বাঘের থাবার চিহ্ন।
স্থানীয় লোকজন জানান, মসজিদের বাইরে দুটি বড় কষ্টিপাথর ছিল। এখন নেই। কথিত আছে, পাথরগুলো নাকি রাতের আঁধারে জায়গাবদল করতো। তাই মানুষ পাথর দুটিকে ভাবতো জীবন্ত! অনেকে আবার এ পাথরকে পবিত্রজ্ঞানও করতেন। ভক্তি করে পাথর-ধোয়া পানিও খেতেন অনেকে।
খোজার মসজিদ নির্মাণ করা হয় সুলতান বরবক শাহের ছেলে সুলতান শামসউদ্দীন ইউছুফ শাহর আমলে। হাজি আমীরের পৌত্র মজলিস আলম ১৪৭৬ খ্রিষ্টাব্দে নির্মাণ করেন এটি। সিলেটের হজরত শাহজালালের মসজিদ ও খোজার মসজিদের শিলালিপিতে উল্লেখ থাকা মজলিস আলম একই ব্যক্তি। মসজিদ দুটি নির্মিত হয়েছিল চার বছরের ব্যবধানে।
স্থানীয় মুসুল্লিরা জানালেন, এ মসজিদ যখন বানানো হচ্ছিল, তখন ঘনজঙ্গল ছিল এলাকাটি। বিচরণ ছিল বাঘের। হয়তো সে সময়ই কোনও বাঘ মসজিদের কাঁচা দেয়ালে থাবা বসিয়েছিল। এখনও টিকে আছে সেই চিহ্ন আছে।
দেয়ালের ওপর আরবি লিপি। আছে ফুল-লতার ছবি। পশ্চিমের দেয়ালে পাথরের পুরনো শিলালিপিও আছে। চুরি ঠেকাতে লোহার খাঁচা দেওয়া হয়েছে এতে। দেয়ালের ইটের গাঁথুনি বেশ পুরু। মূল মসজিদ দৈর্ঘ্য ও প্রস্থে ২৪ হাত করে। গম্বুজ ১৮ ফুট উঁচু।
ঐতিহাসিক মসজিদ হওয়ায় এবং বিশেষ করে বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে অনেকেই আসে এ মসজিদে। কেউ আবার গায়েবি মসজিদ হিসেবেও এটাকে একনজর দেখার লোভ সামলাতে পারে না।
মসজিদটির নামকরণ নিয়ে পরিষ্কার তথ্য মেলে না। তবে প্রচলিত আছে, মানসিংহের কাছ থেকে বিতাড়িত হয়ে পাঠান বীর খাজা উসমান মসজিদটিতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেই খাজা থেকেই খোজা।
মসজিদটি দেখতে আসা লন্ডন প্রবাসী মো. আব্দুল হান্নান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, খোজার মসজিদ একটি প্রাচীন দর্শনীয় স্থান। এখানে নামাজ আদায় করতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে হয়। জায়গাটিও মনরোম।
মসজিদের সহকারী ইমাম মো. আবর আলী গণমাধ্যমকে বলেন, প্রায় ৯ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করছি। কিন্তু কোনও সংস্কার হয়নি। এভাবেই আছে।
মসজিদের ভেতরে দেয়ালে কৃষ্ণ পাথরের বহু পুরোনো একটি শিলালিপি
পেশ ইমাম আব্দুর রহিম বলেন, ‘আমি এক মাস হলো এ মসজিদে ইমামতি করছি। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকেও মুসুল্লিরা আসেন এখানে নামাজ আদায় করতে।’
খোজার মসজিদের এলাকা ৬০ শতক। কাগজেপত্রে জমির পরিমাণ এক একর ৮ শতক। পাশে কবরস্থান আছে। এর সংস্কারকাজে উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন।
খোজার মসজিদের ইতিহাস ঘাঁটতে গিয়ে আরও জানা গেলো, ১৯৩৮-১৯৪০ সালের মধ্যে আজম শাহ নামের এক পীর এ মসজিদে আসেন। ১৯৪০ সালের দিকে মসজিদের গম্বুজ ভেঙে পড়ে। তখন তিনি মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে টাকা সংগ্রহ করে হবিগঞ্জের বানিয়াচং থেকে ইসমাইল মিস্ত্রি নামে একজনকে দিয়ে সংস্কার করান। ১৯৬০ সালে আরও একবার মসজিদটির সংস্কার করান তিনি। আজম শাহ চলে গেলে এটি অরক্ষিত হয়ে পড়ে। ঝোপজঙ্গলে ছেয়ে যায়। গম্বুজে জন্মায় বটের চারা। এরপর দফায় দফায় আরও সংস্কার করা হয়।
নতুন দিনের নতুন রেফ্রিজারেটর
কীভাবে বুঝবেন খাবার ভেজাল আছে নাকি!
ফ্রিজে মাংস সংরক্ষণ করার সঠিক পদ্ধতি
সহজে ডিপ ফ্রিজ পরিষ্কার করার উপায়
বিমানবন্দর সড়ক এলাকা বন্ধ আজ
ব্যর্থ মানুষ ৫টি কাজ দিয়ে দিন শুরু করেন
‘মুড সুইং’ কখন খারাপ?
প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে গেলে যে কাজগুলো করবেন না
কাঁটাচামচে খাবার খাওয়ার নিয়ম মানেন?
কান্নায় রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা, জানেন কী?
নারীরা পুরুষের তুলনায় বেশি বাঁচলেও অসুস্থই থাকেন বেশি: গবেষণা
শাড়ি পরলেই হতে পারে ক্যানসার: চিকিৎসা বিজ্ঞান
কেমন হবে এই বৈশাখের সাজ?
এই গরমে হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচতে যা করবেন
২০ বছর আগেই শনাক্ত করা যাবে ক্যান্সারের লক্ষণ, দাবি গবেষণায়
আজ ইফতারে বানিয়ে নিন ম্যাগি মাঞ্চুরিয়ান, দেখুন রেসিপি
জাল নোট চেনার ৭ উপায়
গ্যাস সিলিন্ডার দুর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজন সচেতনতা
গরম খাবার বা চা খেতে গিয়ে জিভ পুড়ে গেলে করণীয়
রুট ক্যানেল না ফিলিং?
যে রোগে চুল পড়ে যায়
গর্ভাবস্থায় রোজা রাখতে হলে যা করণীয়
শরীরে আঁচিলের সংখ্যা বাড়াটা কতটা ঝুঁকিপূর্ণ
আজ ঘুমাতে হবে
ইফতারে মজাদার ও পুষ্টিকর ক্যাশুনাট সালাদ
সেহরিতে কী খাবেন, কী খাবেন না?
একটি টুথব্রাশ কত দিন ব্যবহার করবেন?
বিয়ে সম্পর্কে যে ধারণাগুলো করা উচিত নয়
সহজেই ঘুমিয়ে পড়া যায় সে বিষয়ে ১০টি উপায়ের কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা।
মানুষের মতো হাতির মধ্যেও অনুভূতি বিরাজমান!