শাওয়াল মাসে রোজা রাখার ফজিলত

নিউজ ডেক্স ২২ এপ্রিল ২০২৪ ১১:৪৯ এ.এম

রাসুল সা. আইয়ামে বীজে (আরবি মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে) রোজা রেখেছেন এবং সাহাবিদের রোজাগুলো রাখতে উদ্বুদ্ধ করেছেন। হজরত আবু যার রা. থেকে বর্ণিত, রাসুল সা বলেন, হে আবু যার! যখন তুমি মাসের মধ্যে তিন দিন রোজা রাখবে; তবে ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে রোজা রাখবে।’

প্রত্যেক মাসে ৩টা করে রোজা পালন করলে সারা বছর নফল রোজা পালনের সমান সওয়াব পাওয়া যায়। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘প্রতি মাসে তিনটি করে রোজা পালন, সারা বছর ধরে রোজা পালনের সমান’।

হজরত আদম ও হাওয়া আলাইহিস সালাম বেহেশতের নিষিদ্ধ ফল খাওয়ার পর তাদের শরীর থেকে জান্নাতি পোশাক চলে যায়। আর তাদের শরীরের রংও কুৎসিত হয়ে যায়। এরপর হজরত আদম ও হাওয়া আলাইহিস সালাম আল্লাহর হুকুমে চন্দ্র মাসের ১৩, ১৪ এবং ১৫ তারিখে রোজা রাখলে আবার তাদের শরীরের রং পূর্বের ন্যায় উজ্জ্বল হয়ে যায়। তাই এই তিন দিনকে আইয়্যামে বিজ বা উজ্জ্বলতার দিন বলা হয়।

জান্নাতের একটি দরজা রয়েছে। যেটির নাম রাইয়্যান। কিয়ামতের দিন শুধু রোজা পালনকারীরা ওই দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে। তাদের ছাড়া অন্য কেউ সেই দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। সেদিন ঘোষণা করা হবে, রোজা পালনকারীরা কোথায়? তখন তারা দাঁড়িয়ে যাবে ওই দরজা দিয়ে প্রবেশ করার জন্য। তারা প্রবেশ করার পর দরজাটি বন্ধ করে দেয়া হবে।

আইয়ামে বিজের রোজা রাখার গুরুত্ব অনেক বেশি। কারণ বছরজুড়ে সহজে রোজার সওয়াব পাওয়ার অন্যতম মাধ্যম এ রোজা। এ ছাড়াও বছর জুড়ে রোজার সওয়াব পাওয়ার আরও আমল আছে। তবে তুলনামূলক ভাবে সহজে ও সারা বছর রোজার সওয়াব মেলে এ রোজায়।

নবীন নিউজ/এফ

শাওয়াল মাস আইয়ামে বিজের রোজা রোজা আমল হাদিস রাইয়্যান দরজা