নিউজ ডেক্স ০৬ এপ্রিল ২০২৪ ১২:২৪ পি.এম
হাজার মাসের চেয়েও উত্তম বলা হয় পবিত্র লাইলাতুল কদর বা শবে কদরের রাতকে। এই রাতেই আল্লাহ তায়ালা জিবরাঈল আলাইহিস সালামের মাধ্যমে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর কোরআন নাজিল করেছেন।
শবে কদর ফার্সি শব্দ। শব শব্দের অর্থও রাত্রি। কদর শব্দের অর্থ সম্মান, মর্যাদা, সমাদর, খাতির। আরবিতে এই রাতকে লাইলাতুল কদর বলা হয়। আরবি ‘লাইলাতুন’ অর্থ রাত্রি। শব ফার্সি শব্দ, এর অর্থও রাত্রি। কদর শব্দের অর্থ সম্মান, মর্যাদা, সমাদর, খাতির। আরেক অর্থ ভাগ্য, পরিমাণ ও তকদীর নির্ধারণ। রমজান মাসের শেষ দশদিনের যে কোনো বেজোড় রাত্রে, ‘শবেকদর’ ঘটে।
আল্লাহ তায়ালাও পবিত্র কোরআনে বলেছে, আপনি কি জানেন মহিমান্বিত রজনী কী? মহিমান্বিত রজনী হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ। ( সূরা কদর, আয়াত, ২-৩)
শবে কদরের ফজিলত
শবে কদরের ফজিলতের বিষয়টি কোরআন ও হাদিসের মাধ্যমে স্পষ্টভাবে প্রমাণিত। এই রাতে ইবাদতের সৌভাগ্য লাভ করা হাজার মাসের ইবাদতের থেকে উত্তম।
এক হাদিসে হজরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি ঈমান ও বিশ্বাসের সাথে এবং সওয়াবের আশায় রমজানের রোজা রাখে, শবে কদরের রাত্রে দাঁড়ায়, তার আগেকার সব গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়। (বুখারি)।
আয়েশা রা. বলেন, নবীজি বলেছেন, তোমরা রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতে লাইলাতুল কদরের সন্ধান কর। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২০১৭, সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১১৬৯)
শবে কদরে নামাজের নিয়ম
শবে কদর নফল নামাজ, দোয়া, ইস্তিগফার, জিকিরের মাধ্যমে কাটানো উচিত। এ রাতে বেশি বেশি নফল নামাজ পড়া উত্তম। তবে শবে কদরে নফল নামাজ পড়ার আলাদা কোনো নিয়ম বা নিয়ত নেই। অন্যান্য নফল নামাজ যেভাবে পড়া হয়, এ দিন রাতেও যেভাবে স্বাভাবিক নিয়মে নফল নামাজ পড়তে হবে। আলাদা করে কোনো নিয়ত করতে হবে না। এবং কোনো রাকাতে নির্দিষ্ট করে কোনো সূরা পড়া বাধ্যতামূলক ভাবা যাবে না।
কেউ এ রাতে নফল নামাজ পড়ার আলাদা কোনো নিয়ম বা নিয়ত সাব্যস্ত করলে তা বিদয়াত বলে গণ্য হবে। কারণ, শবে কদরে নামাজ পড়ার কোনো নিয়ম বর্ণনা করেননি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
আর আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াাসল্লাম বর্ণনা করেননি, সাহাবিরা পালন করেননি- এমন কোনো বিষয়ে ইবাদত বা নির্দিষ্ট করে আমল তৈরি করলে তা বিদয়াতের অন্তর্ভুক্ত। বিদয়াত আবিষ্কারকদের প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন আল্লাহর রাসূল।
বর্ণিত হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই সর্বোত্তম বাণী আল্লাহর কিতাব। আর সর্বোত্তম আদর্শ মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াাসল্লামের আদর্শ। সবচেয়ে নিকৃষ্ট বিষয় হলো, (দীনের মধ্যে) নব-উদ্ভাবিত বিষয়। (দীনের মধ্যে) নব-উদ্ভাবিত সবকিছুই বিদআত। প্রত্যেক বিদআত ভ্রষ্টতা, আর প্রত্যেক ভ্রষ্টতার পরিণাম জাহান্নাম।’ (মুসলিম, হাদিস, ১৫৩৫; নাসায়ি, হাদিস, ১৫৬০)
শবে কদরের নামাজের দোয়া
শবে কদরে একজন মুসলিম যেসব ইবাদত করবেন তার পুরোটাই নফল। এ রাতে কোরআন তিলাওয়াত, জিকির, নামাজ সব নফল। কোনোটাই ফরজ, ওয়াজিব বা অন্ততপক্ষে সুন্নতে মুয়াক্কাদাও নয়।
এজন্য কেউ এ রাতে নফল নামাজ পড়লে তা অন্যান্য যেকোনো সময়ের নফল নামাজের মতো পড়বে, নফল নামাজে সানা, সূরা ফাতিহা, সূরা মিলানো, বৈঠক, তাশাহুদ, দরুদ, দোয়া মাসুরা, সব স্বাভাবিক নিয়মে পালন করতে হবে। দুই রাকাত করে নফল নামাজ পড়তে পারেন। চাইলে একসঙ্গে চার রাকাত করে নফল নামাজও পড়া যেতে পারে।
নামাজ শেষে চাইলে আল্লাহ তায়ালার কাছে যেকোনো দোয়া করতে পারেন। মনের ইচ্ছা জানিয়ে যা ইচ্ছা তাই চাইতে পারেন। তবে এ রাতের নফল নামাজের জন্য নির্দিষ্ট করে আলাদা কোনো দোয়া নেই। তাই শবে কদরের রাতে কারো জন্য নির্দিষ্ট কোনো দোয়া করা উচিত হবে।
শবে কদরের আমল
শবে কদরের রাতে বেশি বেশি নফল নামাজ পড়তে হবে। দুই রাকাত দুই রাকাত করে নফল নামাজ আদায় করতে হয়। এই নামাজগুলোতে কিরাত, রুকু-সেজদায় দীর্ঘ সময় ব্যয় করা উচিত। যাতে আল্লাহর অনুগ্রহ লাভ করা যায়। এই রাতে বেশি বেশি কোরআন পাঠ এবং মহান প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি বেশি বেশি দরূদ শরিফ পড়তে হবে।
এ ছাড়া নফল নামাজ, যেমন : তাহিয়্যাতুল অজু, দুখুলিল মসজিদ, আউওয়াবিন, তাহাজ্জুদ, সালাতুত তাসবিহ, তাওবার নামাজ, সালাতুল হাজাত, সালাতুশ শোকর ও অন্যান্য নফল নামাজ পড়া উচিত। তাওবা-ইস্তিগফার, দোয়া-কালাম, তাসবিহ-তাহলিল, জিকির-আজকার, কবর জিয়ারত করা বিশেষ করে পিতা-মাতার জন্য ও সব মোমিন মুসলমানের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা উচিত। কেননা বান্দা যখন তার প্রভুর কাছে চায়। আল্লাহ এতে ভীষণ খুশি হন।
হাদিসে এসেছে, যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে কিছু চায় না আল্লাহ তার ওপর রাগ করেন (তিরমিজি শরিফ)। সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘তোমাদের পরওয়ারদিগার লজ্জাশীল ও দাতা; লজ্জাবোধ করেন যখন বান্দা তার কাছে দু’হাত ওঠায়, তখন তা খালি ফিরিয়ে দিতে’। (তিরমিজি, আবু দাউদ, বায়হাকি শরিফ)
হজরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! আমি যদি লাইলাতুল কদর সম্পর্কে জানতে পারি, তাহলে আমি ওই রাতে আল্লাহর কাছে কী দোয়া করব? রসুল উত্তর দিলেন; তুমি বলবে, ‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন, তুহিব্বুল আফওয়া; ফাওফা আন্নি।’ অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমাশীল, ক্ষমা করতে ভালোবাসেন; তাই আমাকে ক্ষমা করে দিন’। (ইবনে মাজাহ শরিফ, সহিহ আলবানি)
নবীন নিউজ/পি
শাওয়াল মাসে ছয়টি রোজার বিশেষ সওয়াব
গোর-এ-শহীদে সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত
ঈদের প্রথম জামাত জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত
চাঁদপুরের অর্ধশতাধিক গ্রামে আজ ঈদ
যেভাবে আদায় করব ফিতরা
জুমাতুল বিদার মাহাত্ম্য
ঐতিহাসিক বদর দিবস আজ
ঈদুল ফিতরের সম্ভাব্য তারিখ জানালো আবহাওয়া দপ্তর
ফজরের আজানের সময় সেহরি খেলে রোজার বিধান কী?
রোজার প্রকৃত উদ্দেশ্য
জাকাত: ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান
প্রথম তারাবিতে মসজিদে মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড়
আগাম রোজা পালন পিরোজপুরের ১০ গ্রামে
সৌদির সঙ্গে কাল রোজা রাখবেন ভোলার ৫ হাজার মানুষ
সৌদিতে শনিবার থেকে রোজা
রমজানে অফিস সময় নির্ধারণ
পহেলা মার্চ রোজা, ৩৩ বছর পর দেখা মিলবে ‘বিরল’ দিনের
রোজায় ওমরাহ পালনকারীদের বরণ করতে সৌদি আরবের প্রস্তুতি
দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মোনাজাতে শেষ হলো বিশ্ব ইজতেমা
সৌভাগ্যের রজনী পবিত্র শবে-বরাত আজ
দুপুরে আখেরি মোনাজাতে শেষ হবে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব
আমিন আমিন ধ্বনিতে মুখরিত হল টঙ্গীর তুরাগতীর
রমজানের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি প্রকাশ
মধ্যরাত থেকে ইজতেমা এলাকায় বন্ধ থাকবে গণপরিবহন
টঙ্গীর তুরাগে বিশ্ব ইজতেমা শুরু কাল
চলন্ত ট্রেনে নামাজ পড়ার নিয়ম
বান্দার জিকিরের মাধ্যমে আল্লাহর সঙ্গে যোগসূত্র তৈরী হয় : ছারছীনার পীর ছাহেব
যুবক বয়সের তওবা মহান আল্লাহর কাছে অত্যাধিক প্রিয় : ছারছীনার পীর সাহেব
নফল ইবাদত মুমিনের জীবনে বিশেষ গুরুত্ব বহন
বিশ্ব ইজতেমা আগামী জানুয়ারিতে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা