রোজাদারকে ইফতার করালে রোজা রাখার সওয়াব

নিউজ ডেক্স ২১ মার্চ ২০২৪ ১০:৪৩ এ.এম

রমজান মাসে সারাদিন রোজা পালন করে সন্ধ্যায় রোজাদাররা ইফতার করে। ইফতারের এই সময়টা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করলে আল্লাহ বিশেষভাবে কবুল করেন। তা ছাড়া রোজাদারকে ইফতার করানো অত্যন্ত সওয়াবের কাজ।

রোজাদারকে ইফতার করানোর ফজিলত

আল্লাহর রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে সে ওই রোজাদারের সমপরিমাণ সওয়াব পাবে এবং রোজাদারের সওয়াবও কমানো হবে না।’
(তিরমিজি, হাদিস: ৮০৭)

নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা ঈমান আনা ছাড়া জান্নাত যেতে পারবে না। আর পারস্পারিক ভালোবাসা ছাড়া তোমাদের ঈমান হবে না।’
(সহীহ মুসলিম, হাদিস: ৫৪)

যায়েদ ইবনে খালেদ আল-জুহানি (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন- নবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোন রোজাদার ইফতার করাবে সে রোজাদারের সমপরিমাণ সওয়াব পাবে; রোজাদারের সওয়াব থেকে একটুও কমানো হবে না।’
(সুনানে তিরমিজি, হাদিস: ৮০৭; সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১৭৪৬; ইবনে হিব্বান, হাদিস: ৮/২১৬; সহিহ আল-জামে, হাদিস: ৬৪১৫)

ইফতারের ফজিলত নিয়ে আবু সাওয়ার আল-আদাওয়ি বলেন, বনি আদি গোত্রের লোকেরা এই মসজিদে নামায পড়ত। তাদের কেউ কখনো একাকী ইফতার করেনি। যদি তার সাথে ইফতার করার জন্য কাউকে সাথে পেত তাহলে তাকে নিয়ে ইফতার করত। আর যদি কাউকে না পেত তাহলে নিজের খাবার মসজিদে নিয়ে এসে মানুষের সাথে খেত এবং মানুষকেও খেতে দিত।

খাবার খাওয়ানোর ইবাদতের মাধ্যমে আরও অনেকগুলো ইবাদত পালিত হয়। নিমন্ত্রিত ভাইদের সাথে হৃদ্যতা ও ভালবাসা। যে হৃদ্যতা ও ভালোবাসা জান্নাতে প্রবেশের কারণ।

নবীন নিউজ/এফ

রোজা রমজান ইফতার