অনেক দিন আগে মানুষ একটি অদ্ভুদ জাদুকারী পদার্থ আবিষ্কার করেছিল । এই জাদুকরী পদার্থটিকে বলা হয় চুয়িং গাম । আধুনিক সময়ে চুয়িং গাম শিশু-কিশোরদের কাছে অতি পরিচিত একটি খাবার। প্রতিটি মুদি দোকানেই বিভিন্ন স্বাদের, রংয়ের, আকার কিংবা মূল্যের চুয়িং গাম দেখতে পাওয়া যায়। শিশুরা এসব দেদারসে কেনে। এই খাবারটির রয়েছে এক মজাদার ইতিহাস।জানা আছে কী সেই ইতিহাস?
ইতিহাসের শুরু হাজার হাজার বছর আগে, অ্যাজটেক এবং গ্রীকদের মতো প্রাচীন সভ্যতায়। এই চতুর লোকেরা বিভিন্ন গাছের রস চিবিয়ে আনন্দ পেত। তারা বিশ্বাস করত যে এই রসের বিশেষ গুণ রয়েছে যা তাদের দাঁত পরিষ্কার করতে এবং তাদের শ্বাসকে সতেজ করতে সাহায্য করতে পারে। তারা খুব কমই জানত যে তারা বড় কিছু অর্জন করতে চলেছে। সাধারণত ক্ষুধা মেটাতে কিংবা তৃষ্ণা নিবারণ করতেই এমনটা করতো মায়ানরা। এরপর মেক্সিকোর বিখ্যাত আজটেক সভ্যতায়ও একইভাবে স্যাপোডিল্লা গাছ থেকে উৎপন্ন চুয়িং গাম খাওয়া হতো।
উত্তর আমেরিকায় পাইন গাছের সদৃশ ‘স্প্রুস ট্রি’র সর্জরস চিবানোর চল ছিল। পরবর্তীতে ইউরোপীয়রা সেখানে উপনিবেশ স্থাপন করলে তারাও চিবানোর সংস্কৃতি অব্যাহত রাখে। ১৮৪০ সালের দিকে প্রথমবারের মতো ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে জন কার্টিস নামের একজন ব্যক্তি চুয়িং গাম শিল্পের সূচনা করেন। কিন্তু তার চুয়িং গামের স্বাদ খুব একটা আকর্ষণীয় ছিল না।
ভাগ্যবশত, থমাস অ্যাডামস নামে অন্য একজন ব্যক্তি যিনি একজন ফটোগ্রাফার এবং উদ্ভাবক ছিলেন; মেক্সিকোতে পাওয়া স্যাপোডিলা গাছ থেকে নিষ্কাশিত আঠা থেকে স্বাদযুক্ত চুইং গাম নির্মানের চেষ্টা করেছিলেন। ১৮৭১ সালে, অসংখ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর, টমাস অ্যাডামস সফলভাবে স্বাযযুক্ত চুইংগাম সবার সামনে নিয়ে আসেন। তিনি চুইং গাম উৎপাদন ও বিক্রি শুরু করেন, যা তাৎক্ষণিকভাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
থমাস অ্যাডামস মিষ্টি এবং সুগন্ধি স্বাদ মিশ্রিত করেছিলেন যা লোকেরা পছন্দ করত। ১৮৯৩ সালের দিকে আমেরিকার ফিলাডেলফিয়ায় উইলিয়াম রিংলে জুনিয়র নামের একজন ব্যক্তি চিউয়িং গাম তৈরির জ্যুসি ফ্রুট এবং রিংলে’জ স্পিয়ারমিন্ট নামে দুটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন । তিনি উদ্ভাবনী বিপণন কৌশল প্রবর্তন করেন। এই কৌশলটি তার ব্যবসার বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছিল।
তবে উদ্ভাবন এখানে থেমে থাকেনি। উদ্ভাবকরা বিভিন্ন স্বাদ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন, চুইং গাম প্রেমীদের জন্য বিস্তৃত বিকল্প পথ তৈরি করেছেন। পেপারমিন্ট, স্পিয়ারমিন্ট, ফলের স্বাদ এবং এমনকি বুদবুদ ফুঁকানোর ক্ষমতা দিয়ে বাবল গাম জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ১৯০৬ সালে ‘ব্লিবার-ব্লাবার’ বাবল গাম এবং ১৯২৮ সালে ‘ডাবল বাবল’ গাম বাজারে আসে ৷
বিশ শতকে চুয়িং গামের বাজার বড় হতে থাকে। আমেরিকার ফিলাডেলফিয়ায় উইলিয়াম রিংলে জুনিয়র নামের একজন ব্যক্তি সাবানের বিপণন করতেন। তিনি তার পণ্য বিপণনের জন্য বিক্রেতাদের বিভিন্ন বাড়তি সুবিধা দেয়া শুরু করেন। যেমন- কোনো বিক্রেতা যদি পাইকারি হারে নির্দিষ্ট পরিমাণ সাবান ক্রয় করতো, তবে তিনি বেশ কিছু বেকিং পাউডারের ক্যান ফ্রি দিতেন।
পরবর্তীতে দেখা গেল বাজারে সাবানের চেয়ে বেকিং পাউডারই বেশি বিকোচ্ছে৷ এরপর তিনি সাবান বাদ দিয়ে বেকিং পাউডারের বিপণন শুরু করেন এবং বাড়তি সুবিধা হিসেবে বিক্রেতাদের কিছু চুয়িং গামের প্যাকেট ফ্রি দিতেন। একপর্যায়ে বাজারে চুয়িং গামের বিশাল চাহিদা তৈরি হয়।
আমাদের দেশে মধ্যবয়স্ক ব্যক্তি কিংবা বৃদ্ধদের কাছে এর তেমন আবেদন না থাকলে ইউরোপে বা আধুনিক দেশগুলোতে সময় কাটানোর মাধ্যম হিসেবে এটি দারুণ এক খাদ্য। খেলোয়াড়েরা খেলার বা অনুশীলনের সময় যেন গলা শুকিয়ে না যায়, সেটি নিশ্চিত করতে প্রায়শই চুয়িং গাম চিবিয়ে থাকেন। সেলিব্রিটি ব্যক্তিত্বদের ফেলে দেয়া চুয়িং গাম কুড়িয়ে এনে পরবর্তীতে নিলামে বিশাল অংকে বিকোনোর খবরও শোনা যায় বেশ কয়েকবার।
নবীন নিউজ/জেড
প্রকৃতি প্রেমীদের কাছে সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে লাল শাপলা
পর্তুগালে স্থায়ী ভাবে থাকার সুবিধা বন্ধ
বঙ্গোপসাগরের যে দ্বীপে মানুষ গেলে আর জীবিত ফিরতে পারে না
২ মিনিটে হাঙরকে একাই গিলে ফেললো তিমি
যে ৬টি কাজ করে আপনি নিজের জীবন নিজেই নষ্ট করছেন
‘মৃত্যুর’ নাম্বার পড়েছে লক্ষ্মীপুরের ১৫ হাজার গাছে!
‘নারীর বিনা বেতনে করা কাজের স্বীকৃতি ছাড়া বাংলাদেশের অর্থনীতি স্মার্ট হবে না’
মাটি খুঁড়তেই বের হলো ২ হাজার বছর আগের শত শত সমাধি
মাছ কী ঘুমায়?
হিজাব পরে আলোচনার ঝড় তুললেন যে মডেল
গাছ লাগানোর সঠিক সময় কখন?
৫০ জন কনের যৌতুক ছাড়া বিয়ে
জীবন্ত অবস্থায় কবর দেবার চারদিন পর বৃদ্ধকে জীবিত উদ্ধার
কর্মক্ষেত্রে একাকিত্ব বোধ করেন?
ভালো কাজ করলেই খাবার পাওয়া যায় যেখানে
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি বাড়ার কারণ ও সমাধান
বৃষ্টির মতো ছিটকে পড়ছে স্বর্ণ
জাপানে খালি পড়ে আছে ৯০ লাখ বাড়ি
আজ বন্ধুর বাড়িতে রাত কাটানোর দিন
তীব্র তাপপ্রবাহে পানি শুকিয়ে জেগে উঠলো ৩০০ বছরের পুরনো শহর
পুরানো প্রেম ভুলবেন কী করে?
মানুষের সেরা বন্ধু ছিল শিয়াল: গবেষণা
‘সুপার-শি’ দ্বীপ; যেখানে পুরুষের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ
চরম পানির সংকটে পড়বে ভবিষ্যৎ পৃথিবী
ইতিহাসের ‘সফলতম’ নারী জলদস্যু; যার আয়ত্ত্বে ছিল ৮০ হাজার সৈন্য
চুয়িং গামের ইতিহাস জানা আছে কী?
একজন মানুষের চেহারা মনে রাখার ক্ষমতা কত?
সুখে থাকার দিন আজ
উদ্যোক্তাদের নেতৃত্বগুণ বাড়াতে করণীয়
চাঁদ হঠাৎ ভ্যানিশ হয়ে গেলে পৃথিবীর কী হবে?