বুধবার ১৫ জানু ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বঙ্গাব্দ
জাতীয়

সিজার করতে গিয়ে জরায়ু কেটে ফেলার অভিযোগ, নারীর মৃত্যু

নিউজ ডেক্স ২০ মার্চ ২০২৪ ০১:৪৩ পি.এম

সংগৃহিত ছবি

রাজধানীতে সিজার করতে গিয়ে প্রসূতির জরায়ু কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। এর ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয়েছে ওই নারীর। ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানীর কল্যাণপুর ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। মারা যাওয়া ওই নারীর নাম পলি সাহা। ভুক্তভোগীর স্বজনদের দাবি, সিজার করার সময় অপারেশন টেবিলে জরায়ু কেটে ফেলার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকের অবহেলায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে পলির মৃত্যু হয়েছে। এমনকি মৃত্যু ঘোষণার ৬ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও ডেথ সার্টিফিকেট না দেওয়ায় লাশ বাড়ি নিতে পারেননি তারা।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাতে এসব কথা বলেন মারা যাওয়া পলি সাহার স্বামী মুন্না ও তার স্বজনরা। এর আগে বিকাল ৪টায় কল্যাণপুর ইবনে সিনা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে মৃত ঘোষণা করে। জানা গেছে, গত সোমবার দুপুরে প্রসবজনিত সিজার করাতে স্ত্রীকে নিয়ে ইবনে সিনা হাসপাতালে আসেন স্বামী মুন্না। এরপর অপারেশন করতে গিয়ে কাটা হয় রোগীর জরায়ু। পরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ এবং সেই অবস্থায় হার্ট অ্যাটাক হলে মঙ্গলবার বিকাল চারটায় পলি সাহাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

স্ত্রীর মৃত্যু প্রসঙ্গে মুন্না বলেন, “গত সোমবার(১৮ মার্চ) দুপুর ২টা ১৫ মিনিটের দিকে আমার স্ত্রী পলিকে সিজারিয়ান অপারেশন করা হয়। এরপর ডাক্তার আমাদের জানান— রোগী এবং নবজাতক উভয়েই ভালো আছে। বিকাল ৫টার দিকে যখন তাদেরকে পোস্ট অপারেটিভ রুমে নিয়ে আসা হয়, তখন কর্তব্যরত চিকিৎসকের কাছে সার্বিক অবস্থা জানতে চাইলে তারা জানান— রোগী ভালো আছে, তবে কিছুটা ব্লিডিং হচ্ছে।”

পলি সাহার স্বামী বলেন, “সন্ধ্যা ৭টা থেকে সাড়ে ৭টার দিকে যেই চিকিৎসক সার্জারি করেছেন, তিনি এসে দেখেন এবং রোগীর জন্য এক ব্যাগ রক্ত লাগবে বলে জানান। এরপর রাত ৯টার দিকে আমি আবার এসে রোগীর অবস্থা জানতে চাই, তারা জানান— রোগীর ব্লিডিং এখন আগের চেয়ে কমেছে, এটা নিয়ে আপাতত কোনও শঙ্কা নেই। তবে শঙ্কা হল ব্লাড প্রেশারটা কেন কমছে, সেটা নিয়ে।”“এভাবেই রাত ১টা পর্যন্ত সময় গড়ায়।

যখনই কথা বলি, সে (পলি) বারবার বলতে থাকে তার ব্লিডিং হচ্ছে এবং অস্থির লাগছে। আমি সঙ্গে সঙ্গে কর্তব্যরত চিকিৎসককে জানাই, তারা বলেন— ব্লিডিং এখন কমে গেছে। আমরা এখন রোগীর ব্লাড প্রেশার নিয়ে চিন্তিত। এরপর রাতে আর আমাকে রোগীর সঙ্গে দেখা করতে দেয়নি,” বলেন মুন্না।

তিনি আরও বলেন, “যে চিকিৎসক সার্জারি করেছিলেন তিনি আমাকে ফোন করে বলেন— রোগীর অবস্থা ধীরে ধীরে খারাপ হচ্ছে, আইসিইউতে নিতে হবে। এর ১০ মিনিট পরই তিনি আবার আমাকে বলেন— রোগীর ব্লিডিংটা ইন্টারনাল কোথাও হচ্ছে কি না, সেটা দেখার জন্য আরেকটা সার্জারি করতে হবে। তখন অলরেডি আমার রোগীর অবস্থা খুবই খারাপ।

সে অক্সিজেন পাচ্ছিল না, হার্টবিট পাচ্ছিল না। প্রায় ৬০ থেকে ৭০ পার্সেন্ট কোমায় চলে গেছে। ওই অবস্থায় তাকে আবার নতুন করে সার্জারি করা হয়।”

মুন্না অভিযোগ করে বলেন, “সমস্যার বিষয়ে জানতে চাইলে চিকিৎসকরা জানান— রোগীর জরায়ু কাজ করছে না, এজন্য ব্লিডিং হচ্ছে। তাকে বাঁচাতে হলে জরায়ু কেটে ফেলতে হবে। তারপর আমি সম্মতি দিলে তার জরায়ু কেটে ফেলা হয়। একপর্যায়ে মঙ্গলবার দুপুর ১টায় আমাকে জানানো হয়- রোগীর সিভিয়ার (গুরুতর) হার্ট অ্যাটাক হয়েছে, আমাদের আর কিছুই করার নেই। সবশেষে বিকাল ৪টার দিকে আমার স্ত্রীকে মৃত ঘোষণা করা হয়।”

এ বিষয়ে অভিযুক্ত চিকিৎসক হাসপাতালটির প্রসূতি ও স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. শারমিন মাহমুদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তারকে পাননি সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদক।তবে অবহেলা ও ভুল চিকিৎসার বিষয়টি অস্বীকার করেন ইবনে সিনা হাসপাতালের কাস্টমার কেয়ার শাখার কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন।

তিনি বলেন, রোগীর অবস্থা এমন একটা পর্যায়ে ছিল যে তাকে বাঁচাতে হলে তখন জরায়ু কাটা ছাড়া অন্য কোনও উপায় ছিল না। সেসময় রোগীর স্বামীর মৌখিক এবং লিখিত সম্মতি নিয়ে জরায়ু কাটা হয়। মূলত রোগীর ব্লিডিং বন্ধ করার জন্য চিকিৎসকদের আর কিছুই করণীয় ছিল না। সুতরাং এখানে অপারেশন করতে গিয়ে জরায়ু কেটে ফেলা হয়েছে; এটা পুরোপুরি ভুল অভিযোগ।

তিনি বলেন, রোগীর মৃত্যুর পর তার স্বামী-স্বজনসহ কর্তব্যরত চিকিৎসকদের নিয়ে বসা হয়েছে। তাদেরকে সব বিষয় সুন্দর করে বুঝানো হয়েছে। এমন একটা ক্রিটিক্যাল পরিস্থিতিতে রোগীর মৃত্যু হতেই পারে। কোনও চিকিৎসক কখনওই চান না— তার হাতে একটা রোগীর মৃত্যু হোক। এটা নিয়ে বিভ্রান্তির কোনও সুযোগ নেই।

হাসপাতালের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, রোগীর পরিবার চাইলে এসে লাশ নিয়ে যেতে পারেন। এখানে নিয়মমাফিক একটি বিল করা হয়েছে। তার দাবি, প্রতিবেদকের সঙ্গে কথার সময় পর্যন্ত রোগীর পক্ষ থেকে কেউ লাশ নিতে আসেনি। বিল প্রদান সংক্রান্ত কোনও সমস্যাও যদি হয়, তাহলে সেটি আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব।

নবীন নিউজ/জেড

আরও খবর

news image

পিলখানা হত্যাকাণ্ড: বিচার নিয়ে প্রশ্ন তুললেন ভুক্তভোগী পরিবার

news image

প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত সময় অনুযায়ী নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে : ইসি সচিব

news image

দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ হবে, আসন ৫০৫

news image

সারা দেশে তাপমাত্রা কমার ইঙ্গিত, বর্ধিত শীতের পূর্বাভাস

news image

পিএসসির ৬ সদস্যের নিয়োগ বাতিল করে প্রজ্ঞাপন 

news image

টিউলিপের ক্ষমা চাওয়া উচিত: ড. ইউনূস

news image

আমাদের সামগ্রিক ফোকাস হচ্ছে জাতীয় নির্বাচন : কমিশনার সানাউল্লাহ

news image

সীমান্তে ১৫০ গজের মধ্যে ভারত বেড়া নির্মাণ করতে পারবে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

news image

শিগগিরই আসছে নির্বাচনী রোডম্যাপ: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

news image

কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন নিয়ে নতুন পরিকল্পনা করবে : সিইসি

news image

বাংলাদেশে সরকার পতনে হাত ছিল না যুক্তরাষ্ট্রের : জেক সুলিভান

news image

বাংলাদেশে সরকার পতনে হাত ছিল না যুক্তরাষ্ট্রের : জেক সুলিভান

news image

বাংলাদেশে সরকার পতনে হাত ছিল না যুক্তরাষ্ট্রের : জেক সুলিভান

news image

বঙ্গবন্ধুর ফিরে আসার দিনটি: রাজনৈতিক বিপর্যয়ের মাঝেও উদযাপন

news image

বিলাসবহুল লঞ্চের টিকিট সিন্ডিকেটে যাত্রী সেবায় অচলাবস্থা

news image

শিগগিরই বাস্তবায়ন হবে মহার্ঘ ভাতা

news image

সচিবালয় গেটে পুলিশ-শিক্ষার্থীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ডিএমপির তদন্ত কমিটি

news image

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৭ দিনের জনসংযোগ কর্মসূচি

news image

আন্দোলনে আহতদের মধ্যে ১শ' জনকে পুলিশে কাজ দেওয়া হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

news image

দু’দিনের ব্যবধানে ফের ভূমিকম্পে কাঁপল বাংলাদেশ

news image

দুদক কর্মকর্তা সেজে চাঁদাবাজি: তিন প্রতারক গ্রেপ্তার

news image

সাধারণ পোশাক পরে কোনো আসামি গ্রেফতার নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

news image

পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নে বাংলাদেশ-ভারতের জেলেদের প্রত্যাবাসন

news image

নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করার নির্দেশ সিইসির

news image

ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের পর নতুন অধ্যায়: দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের উন্নতি

news image

জাতিসংঘ পার্ক এখন ‘জুলাই স্মৃতি উদ্যান’

news image

চট্টগ্রামে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নাম পরিবর্তন, যান চলাচল শুরু

news image

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা, ১৩টি বন্ধ ঘোষণা

news image

তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম: নাম ও স্বাক্ষর জালিয়াতি রোধে কঠোর ব্যবস্থা

news image

সরকারের চেয়েও মানুষের শক্তি বেশি: প্রধান উপদেষ্টা