ভারত মহাসাগরে পূর্ব আফ্রিকা উপকূলের সমুদ্রপথটি বরাবরই ঝুঁকিপূর্ণ। তাই, ওই উপকূল থেকে যথেষ্ঠ দূরত্ব বজায় রেখেই চলাচল করে সেই রুটের জাহাজগুলো। আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে মধ্যপ্রাচ্যের আবুধাবি আসার পথে ছিনতাই হওয়া বাংলাদেশি মালিকানাধীন জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ-র রুটও ছিল তীর থেকে প্রায় সাড়ে চারশো নটিক্যাল মাইল দূরে ।
সাধারণত এত দূরত্বে সোমালিয়ান জলদস্যুদের আক্রমণ 'সচরাচর দেখা যায় না' বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে ধারণা করা হয়, জলদস্যুরা দুর্বল জাহাজকে টার্গেট করে।
জলদস্যুরা যেকোনো জাহাজ হাইজ্যাক করা আগে ও পরে বেশ কিছু ধাপরয়েছে। জলদস্যুরা সমুদ্রের যে কোনো জাহাজ নিজেদের আওতায় নেওয়ার আগে সমুদ্রযাত্রায় অর্থায়নের জন্য বিনিয়োগকারী খোঁজেন। জলদস্যুদের স্টক এক্সচেঞ্জ বা শেয়ার বাজার রয়েছে বলেও জানা যায়।
জলদস্যুদের শেয়ার বাজার থেকে বিনিয়োগকারীরা দস্যুতার শেয়ার কেনেন। এই বাণিজ্যে মূলত লাভবান হয় বিনিয়োগকারীরা। যখন কোন জাহাজ থেকে মুক্তিপণ মিলে বিনিয়োগকারীরা এবং অন্যান্য স্টক হোল্ডাররা আপনাদের অংশ কেটে নেয়, জলদস্যুরা কেবল যা অবশিষ্ট থাকে তা ভাগ করে নেয়।
স্টক এক্সচেঞ্জের শেয়ার কেনার পরেই, জাহাজ দখলের নীল নকশা আঁকা হয়। এই ক্ষেত্রে দুটি ভাগে ভাগ হয়ে কাজ করে জলদস্যুরা।
জলদস্যুদের প্রথম দলটির জাহাজ খোঁজা এবং জাহাজ দখলের কাজ করে । জাহাজ পেলে তারা সেটি নিয়ে আসে সোমালিয় উপকূলে। এরপর দায়িত্ব বুঝে নেয় দ্বিতীয় দলটি। আলোচনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা পাহারা দেয় জাহাজটিকে।
মুক্তিপণ না পাওয়া পর্যন্ত ক্রদের খাবার-দাবারের যোগান দিতে যুক্ত হন আরো একজন ব্যবসায়ী। যিনির মুক্তিপণের টাকার বিনিময়ে ক্রুদের দেখাশোনার খরচ বহন করেন।মুক্তি পান পাওয়ার পরে তার বিনিয়োগ সুদে আসলে বুঝে নেন।
তৃতীয় ধাপটি হলো আলোচনা। জাহাজ দখলে নেওয়ার সাথে সাথেই জলদস্যুরা জাহাজের মালিকদের খুঁজে বের করার জন্য বোটে থাকা জাহাজের নথিপথ্য ঘাটতে থাকে। এর মধ্যেই ঠিক করে নেওয়া হয় একজন আলোচককে। সে শিপিং কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করেন এবং পরিস্থিতির ব্যাখ্যা করেন। তবে এক ধরনের পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে শিপিং কোম্পানিগুলোরও বীমা করা থাকে।
জলদস্যুদের সাথে বোঝাপড়া হয়ে গেলে শিপিং কোম্পানির মুক্তিপন পরিশোধের জন্য একটি বেসরকারি নিরাপত্তা কোম্পানির সাথে চুক্তি করে, তবে চুক্তি হলেও জলদস্যুরা তাদের কাঙ্খিত মুক্তিপণ না হওয়া পর্যন্ত জাহাজ এবং ক্রুদের জিম্মি করে রাখে। টাকা গোনার মেশিন দিয়ে পাই পাই করে বুঝে নেওয়ার পর মুক্তি মেলে তাদের।
নবীন নিউজ/জেড
ঢাকা থেকে বিলুপ্ত প্রায় কিছু আদি পেশা
ঘুরে আসতে পারেন বিক্রমপুর জাদুঘর
ভ্রমণপ্রেমীদের কাছে একটি দর্শণীয় স্থান ফেনী
ভুটানের সেরা খাবার
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে গাইবান্ধা
বসন্ত বাতাসে আজ শুধু ভালোবাসার বর্ণচ্ছটা...
পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে রংপুরে
স্বপ্নপুরীর দেশে একদিন
যা কিছু আছে দেখার আছে ব্রহ্মপুত্র ঘেরা কুড়িগ্রামে
বারুণী স্নান উৎসব দেখতে যেতে পারেন নীলফামারীর নীলসাগরে
প্রাচীন ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ জনপদ ঠাকুরগাঁও ভ্রমণ
শেষ সীমান্তের সৌন্দর্য দেখতে লালমনিরহাট ভ্রমণ
ঘুরে আসতে পারেন প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন ‘হিমালয়কন্যা’ পঞ্চগড়
প্রকৃতি প্রেমীদের কাছে সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে লাল শাপলা
পর্তুগালে স্থায়ী ভাবে থাকার সুবিধা বন্ধ
বঙ্গোপসাগরের যে দ্বীপে মানুষ গেলে আর জীবিত ফিরতে পারে না
২ মিনিটে হাঙরকে একাই গিলে ফেললো তিমি
যে ৬টি কাজ করে আপনি নিজের জীবন নিজেই নষ্ট করছেন
‘মৃত্যুর’ নাম্বার পড়েছে লক্ষ্মীপুরের ১৫ হাজার গাছে!
‘নারীর বিনা বেতনে করা কাজের স্বীকৃতি ছাড়া বাংলাদেশের অর্থনীতি স্মার্ট হবে না’
মাটি খুঁড়তেই বের হলো ২ হাজার বছর আগের শত শত সমাধি
মাছ কী ঘুমায়?
হিজাব পরে আলোচনার ঝড় তুললেন যে মডেল
গাছ লাগানোর সঠিক সময় কখন?
৫০ জন কনের যৌতুক ছাড়া বিয়ে
জীবন্ত অবস্থায় কবর দেবার চারদিন পর বৃদ্ধকে জীবিত উদ্ধার
কর্মক্ষেত্রে একাকিত্ব বোধ করেন?
ভালো কাজ করলেই খাবার পাওয়া যায় যেখানে
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি বাড়ার কারণ ও সমাধান
বৃষ্টির মতো ছিটকে পড়ছে স্বর্ণ